রিয়ালের জয়ের দ্বারা অব্যাহত!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মঙ্গলবার রাতে দিয়েছে ব্যালন ডিঅর। ২৪-২৫ মৌসুমের সেরা খেলোয়ারের হাতে এই পুরষ্কার উঠে। কিন্তু এই পুরষ্কার নিয়ে গতবারের মতো এবারেও রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক। সবচাইতে বেশি গোল অ্যাসিস্ট করা রাফিনহা ছিল ৫ এ। যেটা কেউই মেনে নিতে পারেনি। এই পুরষ্কার টা এখন একটা মজা হিসেবে পরিণত হয়েছে। গত রাতে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল। লা লীগায় নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটা ছিল স্প্যানিস ক্লাব লেভান্তে এর বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে। রিয়াল মাদ্রিদ ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে মাঠে নামে। অন্যদিকে লেভান্তের ফর্মেশন ছিল ৪-৪-২।তারা মিডফিল্ডে নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য এমন ফর্মেশনে নামে। ম্যাচের আগে থেকেই ভিনিসিয়াস কে নিয়ে বিতর্ক চলছে।
বিতর্কের কারণ ভিনির পারফরম্যান্স আগের মতো নেই। কথাটা খুব একটা ভুল না। এবং ভিনি রিয়ালের সাথে নতুন চুক্তি এখন পযর্ন্ত করে নাই বেতন বাড়ানোর ইস্যু নিয়ে। বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টার সময় খেলা শুরু হয়। ম্যাচের প্রথম থেকেই অসাধারণ খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। বিশেষ করে ভিনিসিয়াস। একের পর এক বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডিবক্সে ঢুকে যাচ্ছিল এবং দারুণ সব আক্রমণ করছিল। কিন্তু গোলকিপার সেগুলো সেভ দিয়ে দেওয়াই গোল করতে পারছিল না মোটেই। ম্যাচের তখন ২৮ মিনিট। ডিবক্সের এক কোণা থেকে দারুণ এক ট্রিভেলা শর্টে গোল করে ভিনিসিয়াস। একেবারে দেখার মতো দৃষ্টিনন্দন গোল। গোলকিপার সেটা শুধু তাকিয়ে দেখেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ০-১ গোলে এগিয়ে যায়।
ততক্ষণে আর্জেন্টাইন তরুণ মাস্তুয়ানতোনা বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল। এবং ম্যাচের ৩৮ তম মিনিটে সে দারুণ একটা গোল করে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এটা তার প্রথম গোল। ০-২ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একটা গোল খেয়ে বসে রিয়াল মাদ্রিদ। লেভান্তে একটা গোল করে ম্যাচে ব্যবধান কমিয়ে নিয়ে আসে। ম্যাচের ৬৪ মিনিট। ডিবক্সের মধ্যে এমবাপ্পে কে ফাউল করে বসে লেভান্তের খেলোয়ার পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিক নিয়ে গোল করে এমবাপ্পে। মাদ্রিদ তখন পুরোপুরি ১-৩ গোলে এগিয়ে। খেলা চলতে থাকে। রিয়াল মাদ্রিদ একের পর এক আক্রমণ করতেই থাকে এবং সুন্দর ফুটবল উপহার দিতে থাকে।
এর কিছুক্ষণ পরে ৬৬ মিনিটের সময় দারুণ একটা বল এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দেয় ভিনিসিয়াস। সেই বল থেকে গোলকিপার কে পুরোপুরি ড্রিবল করে গোল করে এমবাপ্পে। এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোলে পুরোপুরি ১-৪ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। কাঙ্খিত ভাবেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এই নিয়ে এই সিজেনের সবগুলো ম্যাচ তারা জিতেছে। তবে এই ম্যাচে সবচাইতে ভালো পারফরম্যান্স করেছে ভিনিসিয়াস। পুরো ম্যাচে ভিনি যেন ছিল অপ্রতিরোধ্য। এক গোল এক অ্যাসিস্ট করে ৯.১ রেটিং নিয়ে ম্যাচসেরা হয় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সমালোচকদের একটা দারুণ জবাব সে এই ম্যাচে দিয়েছে। নিজের দিনে ভিনিকে আটকানোর ক্ষমতা কারো নেই এই ম্যাচটা ছিল তার একটা প্রমাণ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1970766158086410752?t=Kq86lx2Fp5YkqIMAhRNYFA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1970765854385283563?t=mPTnRmqeED7bWEInuyTsCw&s=19