নদীর পাড়ে সন্ধ্যায় কাটানো কিছু মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ27 days ago

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সন্ধ্যা নদীর পাড়ে কাটানো কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000069853.jpg

সেদিন বেশ অনেকদিন পর বাইরে বেরিয়ে ছিলাম। আসলে এখন বাইরে বেরোনো একদমই হয় না বা আগে যেরকম ঘোরাঘুরি করা হতো সেটা আর এখন একদমই হয়ে ওঠে না বিভিন্ন কারণে। কিন্তু সেদিন আর বাসায় ভালো লাগছিল না ভাবলাম বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসি। কিন্তু কৃত্রিম কোন জায়গায় যে যেতে মন চাইছিল না যেটা মানুষের দ্বারা সাজানো গোছানো। মন চাইছিল একটু প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে একটু বাতাস খেয়ে আসি। যেমনটা আগে আমাদের বাড়িতে ছোটবেলায় নদীর পাড়ে গিয়ে একটু হেঁটে আসতাম বাতাস খেয়ে আসতাম। আসলে ঠিক এরকমটাই মন চাইছিল কিন্তু এখন কোথায় পাবো নদী পার আমাদের এলাকায় সেরকম নদীর পাড়। এখানে রয়েছে তাও সেটা অনেক দূরে যেটা আমাদের এখান থেকে আসলে অনেকটাই দূরে হয়ে যায় সেজন্য সেই দিকে আর যাওয়া হয় না।

1000069856.jpg

1000069859.jpg

আরুশের বাবাকে বলছিলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারলে ভালো লাগতো। সে আমাকে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্টের কথা বল আমি বললাম রেস্টুরেন্টে যাব না। তার কাছে আবদার করলাম যে নদীর পাড়ে আমাকে বাতাস খেতে নিয়ে চলো। কি আর করার একটু দূরে হলেও আমাদের এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটা নদীর পাড়ে রয়েছে। সেটা জনপ্রিয় সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুডের দোকান বা মানুষ ঘুরতে যায় এরকম একটা জায়গার কথা বলল। যদিও দূরে কিন্তু বায়না যখন করেছি সে পূরণ করবেই। সেজন্য বিকেল বেলা আমরা বেরোলাম সেখানে যেতে যেতেই সন্ধ্যা হয়ে গেল। যদিও আমরা একটু লেট করি বেরিয়েছি।

1000069862.jpg

1000069865.jpg

সেখানে যাওয়ার পর ঠান্ডা যে বাতাসটা নদীর দিক থেকে ভেসে আসছিল সে বাতাসটা যখনই গায়ে লাগলো সাথে সাথেই যেন শরীরটা একদম ভালো হয়ে গেল এবং মনটাও একদম ফ্রেশ হয়ে গেল। এই প্রাকৃতিক বাতাসটা যে মানুষের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ যারা এই ধরনের বাতাসের আসল মজা বুঝে তারাই জানে। নদীর পাড়ের এই ঠান্ডা স্নিগ্ধ বাতাসটা সেখানে গিয়ে পেলাম আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সন্ধ্যাবেলা চারদিকে নিরিবিলি অন্ধকার হয়ে আসছিল আকাশে সূর্যটা ডুবে গিয়েছিল। আকাশটায় কালো হয়ে যাচ্ছিল আস্তে আস্তে এই বিষয়গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যেমনটা চেয়েছিলাম ঠিক সেরকম একটা পরিবেশ ছিল।

1000069868.jpg

সেখানে যে শুধু আমরা গিয়েছিলাম একদম তা নয়। সেখানে অনেক অনেক মানুষ সবাই আসলে প্রকৃতি প্রেমী। প্রকৃতির সৌন্দর্যের জন্য সবাই দূর-দূরান্ত থেকে সেখানে ছুটে এসেছে এই সুন্দর মুহূর্তটুকু উপভোগ করতে। সেখানেই মানুষজনকে ঘিরে অনেক খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও করেছে। অনেক ধরনের দোকান ছিল যেমন আচার, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি এ ধরনের জিনিসগুলো বিক্রি করছিল। তাছাড়া একটু দূরে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান ছিল সেগুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে। আমি আসলে বাইরে গেলে সেরকম কোন কিছু খেতে আমার কাছে ভালো লাগে না আমি ফুচকা টাই বেশি খাই । সেজন্য সেখান থেকে একটা দোকানের ফুচকা নিয়ে নিলাম। ফুচকাটা এত জঘন্য ছিল যে খেতেই কষ্ট হচ্ছিল। যাইহোক এরপর একটা ঝাল মুড়ি খেলাম ঝাল মুড়িটা খেয়ে ভালো লাগল। এই ছিল সন্ধ্যাবেলা বাইরে ঘুরাঘুরি করার কিছুটা মুহূর্ত আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীট্রাভেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1000052972.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

1000041574.jpg