লাইফ স্টাইল: হঠাৎ করে ছেলের হাতে মেহেদি দেওয়ার আনন্দ ও অনুভূতি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি বন্ধুরা
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজ শুক্রবার , ২০ জুন ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব হঠাৎ করে মেহেদি দেওয়ার আনন্দ। আমরা সব সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান উৎসব উপলক্ষে মেহেদী হাতে দিয়ে থাকি। কিন্তু আজকে হঠাৎ করেই মেহেদী হাতে দেওয়ার কারণ কি সেটা আপনাদের বলি। এবার ঈদে টিউব মেহেদী কিনলেও হাতে দেওয়া হয়নি টিউব মেহেদী। আমাদের সবজি বাগানে সুন্দর একটি মেহেদী অর্থাৎ মেহেদির গাছ লাগানো রয়েছে। ওখান থেকে ওই গাছের পাতা ছিঁড়ে এনে গাছের মেহেদি হাতে বেটে লাগিয়েছিলাম। তাই আর বাজার থেকে কিনে আনা মেহেদির প্রয়োজন পড়ে নি তেমন। শুধুমাত্র আমার ছেলের হাতে একটু দিয়ে দিয়েছিলাম ঈদের আগের দিন রাতে। আর আমরা আমাদের পরিবারের সবাই বাড়িতে লাগানো মেহেদী গাছের পাতা সুন্দর করে শীল পাঠায় পেটে হাতে দিয়েছিলাম। এই গাছের মেহেদি হাতে দিলে অনেকদিন পর্যন্ত এর রং থাকে আর দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
বলা যায় ঈদে যে মেহেদী হাতে দিয়েছি সেই মেহেদী এখনো হাতে থেকে ওঠেনি। নতুন করে আর হাতে কি মেহেদি লাগাবো। তাতে আবার ব্যস্ত দিন ছোট বাচ্চা নিয়ে সারাদিন যে কিভাবে কাটে বুঝতেই পারি না। আজকে বিকেল বেলা যখন বসেছিলাম তখন আবু রায়হান খেলা খেলতে খেলতে বাজার থেকে কিনে আনা টিউব মেহেদী দেখে ফেলে। মেহেদী দেখার সাথে সাথে সে আমার কাছে নিয়ে এসে তার হাত দেখায় আর বলে হাতে মেহেদী দিয়ে দিতে। আমি ওর হাত থেকে মেহেদি টা নিতে ও হাত দেখিয়ে বলে মানান লাগিয়ে দাও। মানান মানে হাতে সুন্দর করে মেহেদি লাগানো এটা আমার ছেলের ভাষা হা হা হা। ও এখনো অনেক ছোট মাত্র দেড় বছর বয়স অনেক কথা বের হয়েছে ওর এই কথাগুলো শুনতে যে কি ভালো লাগে। বাচ্চারা এমনিতেই আস্তে আস্তে কেমন তোতলা করে কথা বলে আবার অনেকগুলো কথায় স্পষ্টভাবে বলতে পারে।
তবে ওর এই যে বেড়ে ওঠা কথা বলার এই মুহূর্তটা এতটা সুন্দর সেটা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস দেখার নতুন নতুন কিছুই শেখা সব মিলিয়ে আমাকে মুগ্ধ করে। হয়তো জানি না এটাই মা হওয়ার মধ্যে মা এবং সন্তানের ভেতরের আনন্দ। যাইহোক ছেলে যখন বলছে মেহেদী লাগিয়ে দিতে তখন তো দিতেই হয়। তাই আর দেরি না করে ওর হাতে সুন্দর করে মেহেদি লাগিয়ে দিলাম। তবে মেহেদি লাগানোর সময় ও একটুও নড়েনি বা কথা বলেনি। শুধুমাত্র মেহেদি লাগানো দেখছে আর হাসছে এটা দেখে আমিও একটু অবাক হয়ে গেলাম। ঠিক একদম বড়দের মতো কোন কথা নড়াচড়া না খুব সুন্দর ভাবে মেহেদি লাগালো। কিন্তু যেই মেহেদি লাগানো হয়ে গেল অমনি সে নাড়াচাড়া করতে শুরু করে দিয়েছে। তারপর একটা আঙ্গুল দিয়ে মেহেদি গুলো একদম ঘেটে ফেলল। এটা দেখে আমি সাথে সাথে একটা টিস্যু দিয়ে পুরো হাত মুছে দিলাম। কেননা মেহেদী ডিজাইন করে দিয়েছি এবার যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তো অন্যরকম হয়ে যাবে।
মেহেদির কালার আসবে কিন্তু ডিজাইন টা তো আর বোঝা যাবে না। তারপর ওর হাত ধুয়ে দিলাম। টিউব মেহেদী তাই দ্রুত রং হয়ে গেছে তবে এটা বেশিক্ষণ থাকবে না। যদি ১০-১৫ মিনিট রাখতো তাহলে হয়তো ৪-৫ দিন থাকতো। যাইহোক মেহেদি দিয়ে আবু রায়হান তো ভীষণ খুশি। আর ওর খুশি দেখে আমাদের পরিবারের সবাই অনেক খুশি। এখন বৃষ্টির সময় প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে এর মধ্যে সবাই সুস্থ থাকাটা জরুরী। দোয়া করি পৃথিবীর সকল সন্তান মা মানুষজন সুস্থ থাকুক। সবার জন্য শুভ কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট বাচ্চাদের হাতে মেহেদি দিলে দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনার ছেলের হাতে মেহেদি দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
https://x.com/MstFatema137069/status/1936079906569634180?t=MzgYOpQ59MKopSYUuyvJDQ&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1936080340428505395?t=EpFurJ0kb4fAvPu9TgxJ0A&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1936082167437967573?t=PewK-ObhLjFt1-KwT0KUbw&s=19
https://x.com/MstFatema137069/status/1936092395105665258?t=Bkf3yHKREPjMQBuKyMWtLQ&s=19
আপু গাছের পাতার মেহেদি লাগালে অনেকদিন পর্যন্ত রং থাকে। আগে কিন্তু মানুষ গাছের মেহেদী ব্যবহার করত। তবে আপনার ছেলের হাতে মেহেন্দি লাগিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এটি ঠিক বলেছেন ছোট বাচ্চা খুশি হলে পরিবার ও খুশি থাকে। আর এ বয়সে বাচ্চা গুলোর কথাবার্তা এবং দুষ্টামি পরিবারের সবার কাছে ভালো লাগে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।