হঠাৎ করে ডাক্তার দেখানোর মূহুর্ত।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি বন্ধুরা
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজ সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। কাজে আপনাদের মাঝে আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। গত সপ্তাহে এবং এই সপ্তাহে আমার অসুস্থতার কারণে আপনাদের মাঝে কোন পোস্ট করতে পারিনি। তাই আজকে আমার অসুস্থতা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম সেটা নিয়েই আপনাদের মাঝে পোস্ট লিখেছি। গত কয়েকদিন ধরে আমি বেশ অসুস্থ মাথা ঘুরছে, মনে হচ্ছে শরীরে কোন এনার্জি পাচ্ছি না। তাছাড়াও শারীরিকভাবে একটু অসুস্থতার মধ্যে রয়েছি। তবে গত বুধবার একটু বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। আমি একজন মহিলা ডাক্তার দেখিয়েছিলাম উনি বেশ ভালো ডাক্তার। সকালের দিকে শরীরটা অনেক খারাপ হয়ে যাবার কারণে আপনাদের ভাইয়া স্কুল ছিল উনার কাছে কল দিয়ে আমার অসুবিধা টা জানালাম। তারপর উনি ডাক্তারের চেম্বারে ফোন দিয়ে জেনে নিলেন যে আজকে থাকবে কিনা। আসলে আমি সব সময় একজন ডাক্তারকে দেখাই। কেননা যদি এক ডাক্তারকে দেখায় তাহলে উনি পরবর্তীতে বর্তমান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ভালোভাবে ঔষধ লিখে দিতে পারে। তাছাড়া যদি সবসময় আলাদা আলাদা ডাক্তারের কাছে যায় তাহলে তো অসুবিধা। এজন্য আমি অনেক আগে থেকেই প্রায় তিন বছর ধরে এই ডাক্তারকে দেখায়।
হুদা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডক্টর সাইমা গাইনী বিশেষজ্ঞ উনি প্রতি দিন বসেন। তবে সপ্তাহে শুক্র ও শনিবারে বসের না চেম্বারে। তো সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত উনার চেম্বার খোলা থাকে। আপনাদের ভাইয়া ইস্কুল শেষ করে বাড়ি আসতে আসতে প্রায় 2:30 বেজে গেল। এরপর শুরু হলো বৃষ্টি। এখন বৃষ্টি থামবে কখন সেটা আমাদের জানা নেই তাই আমরা বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে পড়লাম। কেননা বৃষ্টির মধ্যে যদি না বের হয় তাহলে আর ডাক্তারকে চেম্বারে পাবো না আর আমি তো অনেক অসুস্থ দেখানো হবে না ডাক্তার। এজন্য আমরা যখন বাড়ি থেকে বের হলাম তখন ভাবলাম আবু রায়হানকে ওর নানি বাড়ি রেখে আসবো। যেমন ভাবনা তেমন কাজ প্রথমে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার বাবার বাড়িতে চলে গেলাম। আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার বাবার বাড়ি যেতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগে। তো আমরা ওখানে আবু রায়হানকে দেখে দ্রুত চলে গেলাম গাংনি ডাক্তার দেখানো জন্য। গাংনীতে আমাদের বড় শহর। তাই সব ধরনের জিনিস ওখানে পাওয়া যায়। যেহেতু বড় শহর তাই সবকিছুই রয়েছে। আমাদের বাসা থেকে গান নিতে যেতে 15-20 মিনিট সময় লাগে। তো আমরা তিনটা সময় ওখানে পৌঁছে গেলাম। এরপর ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তার দেখিয়ে উনি অনেকগুলো টেস্ট দিলেন।
যেহেতু সময় কম মাত্র এক ঘন্টা তাই আমরা একটু দ্রুত টেস্ট করার জন্য বললাম। তবে ডাক্তার অনেক ভালো উনি বললেন সমস্যা নেই আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করবো। তাছাড়াও অন্য দিক থেকে উনি আমাদের আত্মীয় হন। আমার শাশুড়ির ছোট আব্বুর মেয়ে উনি। তো সেই দিক থেকে উনি আমাদের ভিজিট নেন না। তাছাড়া এমনিতেই ৫০০ টাকা করে ভিজিট নেন। তো টেস্ট গুলো করতে করতে আমার প্রায় চারটা বেজে গেল এরপর আবারো ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম। এরপর উনি অনেকগুলো ঔষধ দিলেন এবং আবার সাত দিন পর আমাকে যেতে বললেন। আল্লাহ তাআলা ভালো করলে সামনে বুধবার আবার যাব ডাক্তারের কাছে। তবে এর মাঝে একটাই দোয়া যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে সুস্থ করে দেয়।
হুদা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সব সময় প্রচুর ভিড় থাকে কেননা এখানে অনেক বড় বড় ডাক্তার বসে। আর খুব ভালো এবং উন্নত মানের চিকিৎসা দেন। তাছাড়া এখানকার যেসব টেস্ট রয়েছে সবগুলো বেশ ভালো। যাইহোক আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন দ্রুত সুস্থ হতে পারি। আজকে আপনাদের মাঝে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR