"সুন্দরবনের কেওড়া ফল খাওয়ার অনুভূতি"

in আমার বাংলা ব্লগlast month

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালো আছি।যাইহোক আজ চলে আসলাম সম্পূর্ণ নতুন একটি ইউনিক রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।

"সুন্দরবনের কেওড়া ফল খাওয়ার অনুভূতি"

GridArt_20250825_181600579.jpg

অনেক দিন পর যদি শৈশবের সেই চির পরিচিত ফল ফিরে পাওয়া যায় তাহলে আনন্দের আর শেষ থাকে না।কত স্মৃতি উপচে পড়ে মনে। হ্যাঁ বন্ধুরা, ঠিক তেমনই এই কেওড়া ফলগুলো।আমাদের বর্ধমানে কেওড়া ফল পাওয়া যায় না,তবে বারাসাতে পাওয়া যায়।তাই কয়েক দিন আগে যখন বাবা ও দাদা তাদের কাজ মেটানোর জন্য বারাসাত গিয়েছিলেন তখন কাজ মেটানোর পর কোর্টের মাঠ থেকে 80 টাকা কিলো দরে 500 গ্রাম কেওড়া ফল 40 টাকা দিয়ে কিনে এনেছিলেন।আমার ভাবতেও অবাক লাগে সেই শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলে।যখন আমাদের নিজেদের নদীর পাশে বাড়ি ছিল আর নিজেদের কত কেওড়া গাছ ছিল।যে গাছের ডালে উঠে জোয়ারের সময় ভাটার সময় বসে থাকতাম আর কেওড়া খেতাম।বেশি টক না হলে ফেলে দিতাম আর কেওড়া পছন্দ করে বাছাই করে করে খেতাম।

যখন গাছ থেকে ডালসহ নামিয়ে কেওড়া খেতাম আর গাছের নিচে পড়ে থাকা পাকা কেওড়াগুলি কখনোই খেতাম না।অবশ্য সেই সময়ে অনেক এলাকায় ওই কেওড়ারও মূল্য ছিল আর 20 টাকা দরে কিলো বিক্রি হতো।আমাদের গাছ থেকে বাইরের অনেকেই কেওড়াসহ ডাল ভেঙে নিয়ে গিয়ে বাজারে কিংবা অন্য এলাকায় বিক্রি করতো।ইয়া বড় বড় কেওড়া গাছ আর কেওড়ার সাইজও বেশ বড় ছিল।আর একটি গাছ ছিল যার কেওড়াগুলি খুবই ছোট ছোট কিন্তু ভীষণই টক আর খেতে খুবই মজার ছিল ।যেটা আমার খুবই পছন্দের গাছ ছিল ,আমি প্রায় সেই গাছে উঠে বসে থাকতাম।অবশ্য আমি একা নই জোয়ারের সময় গেছো সাপও থাকতো দুই একটি গাছের ডালে।কখনো কেওড়ার মুকুট নিয়ে মাটিতে ঘুরিয়ে খেলতাম।

আর আজকের সময়ে কয়েক বছর হয়েছে শহরে এসে আমরা কেওড়া খায়নি ,এমনকি তার মুখ দর্শনও না করার মতো অবস্থা।তাই অনেক দিন পর সামনে পেয়ে বেশি দাম দিয়ে হলেও বাবা কিনে আনলেন,আমরা তো বেশ মজা করেই খেয়েছিলাম।তো কিভাবে খেলাম চলুন দেখে নিই---

উপকরণসমূহ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

1.কেওড়া-500 গ্রাম
2.জল

IMG_20250825_181326.jpg

পদ্ধতিসমূহ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

ধাপঃ 1

IMG_20250825_181400.jpg
প্রথমে আমি কেওড়ার মুকুটগুলি ফেলে দেব।

ধাপঃ 2

IMG_20250825_181430.jpg
এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নেব কেওড়ার গায়ের আঠাগুলি।

ধাপঃ 3

IMG_20250825_181446.jpg
এবারে পরিমাণ মতো জল নিয়ে 3-4 মিনিট কেওড়াগুলি ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নেব।এখন একটি পাত্রে ঢেলে নেব সেদ্ধ করা কেওড়াগুলি।

শেষ ধাপঃ

GridArt_20250825_181600579.jpg
সবশেষে এগুলি ওই সেদ্ধ করা জলে গুলে নিয়ে কেওড়ার খোসা ও বিচিগুলি ফেলে দেব।এখন কেওড়ার রসগুলিতে সামান্য লবণ ও পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে ভাত দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।আবার চাইলে অন্য রেসিপি তৈরি করে খাওয়াও সম্ভব।


আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওখানেই অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।

Sort:  
 last month 

সুন্দরবনের কেওড়া ফল খাওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লেগেছে। এই ফল খায় খাইনি। আপনার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লেগেছে।

 last month 

সুযোগ পেলে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, টক স্বাদের।

 last month 
 last month 

@green015, বেশ কিছু ছবি আপলোড হয়নি। এডিট করে ঠিক করে নেবে দ্রুত।

 last month 

দাদা,এতে মাত্র 6 টি ছবি আপলোড করেছি।আমার এখান থেকে তো সবগুলোই আপলোড করা দেখাচ্ছে।আসলে ওটা মূলত অনুভূতিমূলক পোষ্টের সঙ্গে সঙ্গে একটু রেসিপিও তুলে ধরেছি।ধন্যবাদ দাদা।।