"রসুন ভর্তা রেসিপি"
নমস্কার
"রসুন ভর্তা রেসিপি"
রসুন হচ্ছে আমাদের অতি পরিচিত একটি সবজি।যা রান্নার কাজে মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।এছাড়া এটি তীব্র ও ঝাঁঝালো ঘ্রাণযুক্ত হয়ে থাকে।শরীরের ব্যথা কমাতে রসুন খুবই উপকারী একটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।যাইহোক অনেক দিন ধরেই বেশ রসুন ভর্তা খেতে ইচ্ছে করছিলো।আর যেকোনো ভর্তা রেসিপি-ই বাঙালির প্রিয় খাবার।তাই আমি চেষ্টা করেছিলাম একটু ভিন্ন কিছু করার।আমি তৈরি করেছিলাম"রসুন ভর্তা রেসিপি।"এই প্রথমবার রসুন ভর্তা রেসিপিটি খেয়ে বুঝেছিলাম বন্ধুরা, এটি অনেক সুন্দর ঘ্রাণযুক্ত এবং সুস্বাদু খেতে।এই ভর্তা রেসিপিটি একথালা গরম ভাতে মেখে কিন্তু নিমিষেই খাওয়া সম্ভব।আশা করি রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।তো চলুন শুরু করা যাক---
উপকরণসমূহ:
2.ভাজা শুকনো মরিচ- 3 টি
3.পেঁয়াজ কুচি- 3 টি
4.লবণ-1 টেবিল চামচ
5.সরিষার তেল- 2.5 টেবিল চামচ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি গোটা রসুন থেকে কোয়াগুলি ছাড়িয়ে নেব।তারপর কোয়াগুলি থেকে খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নেব।
ধাপঃ 2
এখন আমি কিছু গোটা শুকনো মরিচ নিয়ে নেব।
ধাপঃ 3
এরপর একটি পরিষ্কার কড়াইতে সামান্য সরিষার তেল দিয়ে শুকনো মরিচগুলি ভেজে নেব মুচমুচে করে।
ধাপঃ 4
এখন গরম গরম ভাজা শুকনো মরিচগুলি নামিয়ে নেব।
ধাপঃ 5
এবারে পুনরায় কড়াইতে তেল দিয়ে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে রাখা কোয়াগুলি নেড়েচেড়ে বাদামি রঙের করে ভেজে নেব।
ধাপঃ 6
এখন ভেজে নেওয়া রসুনগুলি নামিয়ে নিলাম একটি পাত্রে।
ধাপঃ 7
এরপর ভেজে নেওয়া রসুনগুলি হাত দিয়ে গলিয়ে নেব গরম অবস্থায়।
ধাপঃ 8
তো এইভাবে সমস্ত রসুনের কোয়াগুলি গলিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 9
এখন পেঁয়াজ কুচি, লবণ ও তিনটি ভাজা শুকনো মরিচ নিয়ে নিলাম।তারপর একত্রে ভালোভাবে মেখে নিলাম।
ধাপঃ 10
এবারে ওই লবণ,মরিচ ও পেঁয়াজের মিশ্রনটি গলিয়ে নেওয়া রসুনের সঙ্গে মেখে নেব একত্রে।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে সরিষার তেল রসুন মাখার মধ্যে দিয়ে আরো ভালোভাবে মেখে নেব।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "রসুন ভর্তা রেসিপি।"
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে দারুণ সুস্বাদু ও সুন্দর ঘ্রাণযুক্ত হয়েছিলো।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
টুইটার লিংক
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রসুন ভর্তা কখনো খাইনি। তবে মনে হচ্ছে এই ভর্তার টেস্ট অনেক বেশি হবে। আমার তো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু। চমৎকার রেসিপি আপনি সবার মাঝে শেয়ার করেছেন।
আসলেই ভাইয়া, সত্যিই অনেক বেশি স্বাদ ছিল এটির।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে খুবই ইউনিক একটি রেসিপি। এমন করে কখনো রসুন ভর্তা করে খাওয়া যায় সেটা আগে জানতাম না। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি আমার কাছ থেকে শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দিদি।
আমিও বানাই রসুঅন ভর্তা তবে পাটায় বেটে।গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে এই ভর্তাটি। তবেই এই রসুন ভর্তা পরিমাণ মতো খেতে হয়। তানা হলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,আর পাটায় বাটলেও মজা লাগে।
এমন সুন্দর লোভনীয় ভর্তা রেসিপি দেখে লোভ হচ্ছে। ভর্তা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তবে আগে কখনো এমন ভর্তা খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুস্বাদু দাদা,অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন।
ঝাল ঝাল রসুন ভর্তা খেতে ভালোই লাগে। আপনার তৈরি করা রসুন ভর্তার রেসিপিটা দেখেই বিমোহিত হয়ে গেলাম। বর্তমান জ্বরে ভুগতেছি তাই মনে হচ্ছে এরকম রসুন ভর্তা করে ভাত খেলে ভালই লাগবে। কাজে লাগাবো আইডিয়াটা, পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অবশ্যই ভাইয়া, খেয়ে দেখতে পারেন।মুখে রুচি ফিরবে আশা করি, ধন্যবাদ আপনাকে।