জীবনের গল্প || সব সত্য- সুন্দর হয় না
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। সুন্দর সময়গুলোকে আরো বেশী সুন্দর করার চেষ্টা করছি। অসুন্দর বিষয়গুলোকে সযত্নে আরো একটু বেশী আড়ালে রাখার চেষ্টা করছি। কারণ আমরা সত্যটা খুব বেশী সময়ের জন্য পছন্দ করি না বরং অসত্য বিষযগুলোকে একটু বেশী পছন্দ করি। হয়তো আমরা একটু বেশী শিক্ষিত কিন্তু আমাদের মানসিকতা এখনো অশিক্ষিত রয়ে গেছে, যার প্রভাবে আমরা সত্যকে আড়ালে রেখে মিথ্যাকে উপস্থাপন করতে বেশী পছন্দ করি।
এমন অনেক বিষয় আসে আমাদের সামনে আমরা মাঝে মাঝে দ্বিধায় পড়ে যাই, একটা অন্য রকম দ্বন্ধ তৈরী হয় আমাদের মাঝে কারণ আমরা যা দেখি সুন্দর তার আড়ালে বিষয়টি সব সময় কিন্তু সুন্দর নাও হতে পারে, সামনে দেখা সব সত্য কিন্তু সত্য নাও হতে পারে। কারণ আড়ালে থাকা বিষয়গুলো আমরা সব সময় যেমন দেখতে পারি না ঠিক তেমনি আড়ালে থাকা বাস্তবতাও আমরা অনুধাবন করতে পারি না। এই জন্যই হয়তো বলা হয়, সত্য সব সময় সুন্দর নাও হতে পারে, মিথ্যা অনেক সময়ই আমাদের কাছে সুন্দর কিছু হিসেবে উপস্থাপন হতে পারে।
তবে সামনে যা কিছুই থাকুক না কেন? আমরা কিন্তু সব সময় সেগুলোর প্রকৃত অবস্থা যাচাই করতে পারি না কিংবা সেই সুযোগটাও আমাদের সামনে থাকে না। আর এটাই হলো মূল বিষয়, এই সুযোগটাই বর্তমান সময়ে সবাই গ্রহণ করে, সত্যকে আড়ালে নিয়ে যায় কিংবা ঢেকে রাখে। আবার মিথ্যাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করে মানুষের কাছে আনন্দময় কিছু হিসেবে নিয়ে যায়। আমরা আসলে এই সভ্যতার চরম এক অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করছি, যেখানে প্রকৃতপক্ষে সব কিছুই ধোঁকার মাঝে চলে, প্রকৃত বিষয়কে আড়ালে রেখে সাজানো গোছানো মিথ্যাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়, আবার সবাই সেটাকেই আকঁড়ে ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কি আজব এক সমাজ ব্যবস্থা এটা, যেখানে সত্যের কোন মর্যাদা নেই, যে সত্যটা প্রকাশ করে তাকে সবাই অপছন্দ করে, যিনি সত্যবাদী হিসেবে থাকতে পছন্দ করে তাকে সবাই সব কিছু হতে বঞ্চিত রাখে এবং সুযোগ পেলেই সবাই তাকে অসম্মানজনক পরিস্থিতির মাঝে ঠেলে দেয়। পক্ষান্তরে যে বা যারা মিথ্যার ধারক কিংবা বাহক হয়ে প্রবঞ্চনার মাধ্যমে স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে এবং সত্য বিষয়টিকে গোপন করে মিথ্যাকে সুনিপুণভাবে উপস্থাপন করতে পারে, তাকে সবাই সাদরে গ্রহণ করে এবং ভালোবাসে। সকল সুযোগ সুবিধা কিংবা কাংখিত অবস্থান তার জন্য নির্ধারিত থাকে।
সত্যি মাঝে মাঝে খুব বেশী পরিমাণে হতাশ হয়ে যাই আমি, আধুনিক সভ্যতার নামে এই মিথ্যা ব্যবস্থাপনারা বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমিও সেই মিথ্যার শেকড়ে বন্দি তাই চাইলেও সেটা করতে পারি না। আর সেই কারণেই আমি যেটা পারি বা যেটা করার সামর্থ্য আমার আছে সেটা করতে দ্বিধাবোধ করি না। আর সেই কাজটি হলো আড়ালে চলে যাওয়া, দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া। আমার কাছে এটাই অনেক সহজ বিষয়, হয়তো অনেক কিছু হতে বঞ্চিত হই, হয়তো সবাই অতো বেশী পছন্দ করে না কিন্তু তাতে কি? নিজের কাছে কিংবা নিজের মনের আদালতে আমিও সঠিক থাকি।
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
@hafizullah, আপনার আজকের লেখাটি খুবই প্রাসঙ্গিক এবং গভীরভাবে চিন্তাশীল! সমাজের বাস্তবতা, সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ এবং আমাদের নীরবতা নিয়ে আপনি দারুণভাবে আলোকপাত করেছেন। আপনার লেখার প্রতিটি লাইনে যেন জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে, "আমরা আসলে এই সভ্যতার চরম এক অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করছি" - এই কথাটি আমাকে ভাবিয়েছে।
আমি মনে করি, আপনার এই লেখাটি অনেক পাঠককে নিজেদের ভেতরের চিন্তাগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করবে। সমাজের এই দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা খুবই জরুরি।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার লেখালেখি আরও সমৃদ্ধ হোক, সেই কামনা করি। অন্যান্য পাঠকদেরকেও অনুরোধ করছি, @hafizullah এর এই লেখাটি পড়ে নিজেদের মতামত জানান।