অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কোলকাতা (পর্ব-০৫)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমরা ট্যাক্সি ক্যাব নিয়ে ছুটতে লাগলাম কাংখিত অবস্থানে, যেখানে দাদা আগেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন। আমরা যেতে যেতে উত্তেজনাটা একটু হ্রাস করার জন্য ড্রাইভারের সাথে গল্প জুড়ে দিলাম। সত্যি বলতে আমরা যতগুলো ট্যাক্সি ক্যাবে চড়েছিলাম সবগুলোর ড্রাইভারই যথেষ্ট ভালো ছিলো, ব্যবহারের দিক হতে অনেক বেশী আন্তরিকও ছিলো, যা আমাদের বেশ মুগ্ধ করেছে। কোন কারনে কেউ ট্রাফিক ভঙ্গ করে নাই, অনাকাংখিতভাবে কোন ওভারটেক করে নাই। তাই আমরা গল্প করতে করতে এবং দুই পাশের দৃশ্যগুলো উপভোগ করেছি। আর ড্রাইভার আমাদের সাথে এতোটা আন্তরিক হয়ে গেলো যে, উনার ফোন নাম্বার দিয়ে বললেন, আপনাদের প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেলে আমাকে নক দিয়েন আমি আবার আপনাদের নিয়ে আসবো। বলে রাখছি ভাড়া কিন্তু খুব বেশী ছিলো না, তবুও উনার আগ্রহ আমাদের বেশ আশ্বস্ত করেছিলো, যেহেতু সেখানে আমরা নতুন এবং হোটেলটি ছিলো বাইপাস সড়কের পাশে।
দেখুন যে কোন নতুন জায়গায় ভ্রমণের সময় অনেক বিষয় নিয়েই অনেক কৌতুহল থাকে, আমরা সেই ড্রাইভারের সাথে গল্প করে সেগুলোর সমাধান নেয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা কাংখিত অবস্থানে দাদাদের আগেই পৌঁছে যাই এবং সেখানে অপেক্ষা করতে থাকি। আমাদের সাথে সকল যোগাযোগ রক্ষা করেন নিলয় মজুমদার ভাই। টাইম টু টাইম আরিফ ভাইয়ের সাথে উনার কথা হতে থাকে। আমরা বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করলাম সেখানে, তারপর আমার বাহিরে আসি এবং অনাকাংখিত একটা ঘটনার স্বীকার হই, যা আমার পক্ষে মেনে নেয়াটা সত্যি অনেক বেশী কষ্টকর ছিলো। আরিফ ভাই বেশ শান্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে সুমন ভাই একদমই চুপচাপ ছিলেন এবং নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেছেন। আসলে আমার বয়স একটু বেশীতো তাই রাগের পরিমানটাও যথেষ্ট বেশী, তাই আমার মোড পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। হয়তো দাদারা যে বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন, তাই তাদের আন্তরিকতায় খুব বেশী সময় লাগেনি আমার সেটা ভুলে যেতে।
যাইহোক, বাইপাস সড়কের পাশে আমরা বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করি, বেশ দারুণ ছিলো কিন্তু পরিবেশটা, অনেকেই দেখলাম সড়কের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছে, প্রেমিক প্রেমিকারাও কিন্তু ছিলো হি হি হি। কিছু সময় পর সেখানে নিলয় ভাই আসলেন আমাদের নিয়ে যেতে, আমি তখনও না যাওয়ার জন্য জেদ ধরে বসে ছিলাম। আরিফ ভাই আর সুমন ভাই শেষ পর্যন্ত আমার মনোভাব পরিবর্তন করতে সক্ষম হন এবং আমরা নিলয় ভাইয়ের সাথে কাংখিত জায়গায় যাই। যদিও এর মাঝে ব্ল্যাকস দাদা এবং বড় দাদা কয়েক বার ফোন দিয়েছিলেন। সুমন ভাই আর আরিফ ভাই আগে আগে আর আমি বয়স্ক মানুষ পেছনে পেছনে হাঁটছি। হোটেলের চারপাশের মুগ্ধকর পরিবেশ, পারিপাটি ডেকোরেশন, সত্যি দারুণ ছিলো। আমরা হাঁটছি আর চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করছি। তারপর দাদাদের সামনে এসে একেবারে থমকে গিয়েছি, যদিও তখনো আমার মুড ভালো ছিলো না।
একটা কথা কি জানেন? ভালোবাসার মানুষের প্রতি যেমন আমাদের আবেগ-উত্তেজনাটা বেশী পরিমাণে থাকে ঠিক তেমনি কোন কারনে তাদের প্রতি আমাদের রাগ অভিমানটাও কিন্তু বেশী মাত্রায় থাকে। ভালোবাসার মানুষদের প্রতি আমাদের অলিখিত একটা অধিকার চলে আসে, যার উপর ভিত্তি করে আমরা যেমন ভালোবাসার পরিমানটা বেশী প্রকাশ করার চেষ্টা করি ঠিক তেমনি রাগ অভিমানের পরিমানটা বেশী হয়ে থাকে। সালাম করে কৌশল বিনিময় করলাম দাদাদের সাথে, তারপর সবার সাথে সবাই কথা বললাম। বড় দাদা বার বার আমাকে বলতে লাগলেন হাফিজ ভাই ভুলে যান সব, অনাকাংখিত বিষয় মনে রাখতে হয় না। দাদা যথেষ্ট পরিমানে চেষ্টা করলেন আমাকে স্বাভাবিক করার জন্য, আমি বললাম দাদা একটু সময় লাগবে, আমার রাগ হুট করেই কিন্তু চলে যায় না। ছোট দাদা হাসি মুখে কথা বললেন, ইউংলেস ভাইকে যতটা কল্পনা করেছিলাম তার চেয়ে বেশী চঞ্চল এবং সুন্দর। ছোট দাদা এবং ইউংলেস ভাইয়ের কণ্ঠ কিছুটা গম্ভির টাইপের কিন্তু বাস্তবে তারা ঠিক ততটাই উল্টো, যথেষ্ট আন্তরিক এবং হাস্যোজ্জ্বল, সামনা সামনি না দেখলে সেটা কখনো বুঝতে পারবেন না।
বড় দাদা কিন্তু আমার সাথে কথা বলতে ছিলেন বার বার, উদ্দেশ্য ছিলো আমার মুডটা পরিবর্তন করার। এক পর্যায়ে দাদা বলে ফেললেন ঠিক আছে যান শোধবাদ, বাংলাদেশে আমার সাথে ঘটা অনাকাংখিত আমি ভুলে গেলাম, আপনারটাও ভুলে যান দুটোতে শোধবাদ হয়ে গেলো। সত্যি বলছি আমি, দাদাদের সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে আমার মুড পরিবর্তন হয়ে গেছে সেটা আমিও বুঝতে পারি নাই। তারপর দাদা উঠলেন বললেন ঠিক আছে আমরা খেতে খেতে কথা বলি। আমরা দুই দাদার সাথে হ্যান্ডশেক করলাম এবং তার সাথে বাড়তি পাওয়া ছিলো কোলাকোলি। সত্যি বলছি এটা আমি দাদাকে আগেই বলেছিলাম যে, দাদা আপনাকে সামনে থেকে দেখতে চাই এবং কোলাকোলি করতে চাই। আসলে এই কোলকাতার অন্য এক ভদ্রলোকের অনাকাংখিত ঝামেলা আমার হৃদয়ে একটা কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছিলো, বড় দাদার সাথে কোলাকোলি করে সেটাকে স্থায়ীভাবে মুছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। কারন ঐ যে ভালোবাসার ছোঁয়া সব পরিবর্তন করে দিতে পারে।
আমি বললাম, এতো আইটেম এবং এতো রকমের খাবার কি থেকে কি নেবো পরে আবার না পেট খারাপ হয়ে যায়, হা হা হা তাই বড় দাদার পিছে পিছে থাকবো আমরা আর দাদা যা যা নিবে আমরাও তাই তাই নিবো। সত্যি বলছি শুরু দিকে সেটা ঠিক ঠাকই করেছি কিন্তু পরের দিকে আর পারি নাই। কারণ দাদা হঠাৎ করেই মাছের প্রতি ঝোঁকে গেলেন এবং প্রায় পুরো বিশাল সাইজের একটা মাছ একাই শেষ করে ফেললেন। অবশ্য দাদা বলে দিয়েছেন এটা খেয়ে আপনারা তেমন মজা পাবেন না কারন এটা স্মোক দিয়ে সেদ্ধ করা, তেমন কোন মসলা নেই কিন্তু আমার কাছে দারুণ লাগে। তারপর আমরা এলোমেলো ভাবে অনেকগুলো আইটেম নিলাম তারপর দাদাদের কাছে আমরা সারেন্ডার করি। আসলে আমরা দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম বেশ দেরিতে তাই আমাদের অতো বেশী খিদে ছিলো না এই জন্য অল্পতেই থেমে গিয়েছিলাম, না হলে হয়তো একটু লড়াই করতাম, হা হা হা।
কিন্তু বেশ উপভোগ করেছি, দাদাদের খাবার, ইউংলেস ভাইয়ের খাবার। নিলয় ভাই অবশ্য বেশ চেষ্টা করেছেন আমাদের ভিন্ন ভিন্ন পদের সাথে পরিচয় করাতে, কিছু আইটেম উনি নিজেই এনে দিলেন আমাদের। মাঝে তো একটা পিৎজাও নিয়ে আসলেন। তবে শেষের দিকে আরিফ ভাই বেশ কিছু মিষ্টি জাতীয় আইটেম নিয়ে আসেন সেগুলো খেতে কিন্তু ভুল করি নাই, শুনেছি মিষ্টি খেলে নাকি কথাও মিষ্টি হয়ে যায়, তাই সেটা খেয়েছিলাম হা হা হা। ইউংলেস ভাইয়ের পাশে একজন বসেছিলেন মাশাআল্লাহ উনার খাবার দেখে আমরা পুরাই হা হয়ে গিয়েছিলাম, উনি একদম পুরো পয়সা উসুল করেছেন, আর আমরা পুরাই লস হা হা হা। দাদা অবশ্য তার কথা থামান নাই, খাওয়ার সাথে সাথে আমাদের সাথে বেশ আড্ডায় জমে গিয়েছেন, হয়তো আড্ডার কারনেই দাদা এতোগুলো প্লেট খালি করতে পেরেছিলেন, হা হা হ।
আর ব্ল্যাকস খাবার নিয়েছিলেন সত্যি কিন্তু প্লেট আর খালি করতে পারেন নাই। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের খাবার আর আড্ডার কারনে সত্যি দারুণ কিছু সময় সেদিন উপভোগ করেছি, দারুণ একটা পরিবেশের দারুণ কিছু স্মৃতি নিয়ে আমরা ফিরে আসি। আর একটা কথা, বের হওয়ার পর দাদা ততক্ষন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন যতক্ষন পর্যন্ত না আমাদের উবারের গাড়ি সেখানে আসছেন। এটা আমাদের আরো বেশী মুগ্ধ করেছে, দাদার মতো এতো বড় মাপের একজন মানুষ আমাদের এভাবে এতোটা সম্মান দিবেন সেটা আমাদের কোন ভাবেই কল্পনায় ছিলো না। সত্যি দাদা অন্য মাপের একজন মানুষ, মানুষ শুধু টাকা পয়সায় বড় হয় না সেটা দাদা আবারও প্রমাণ করলেন তার সুন্দর ব্যবহার এবং আন্তরিকতার সাথে সাথে আতিথিয়েতা দিয়ে। সেদিন সত্যি অন্য রকম একটা অনুভূতি তৈরী হয়েছিলো, দাদার প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মান দুটোই দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। বাকিটা পরের পর্বগুলোতে পাবেন ......
তারিখঃ মার্চ ২৫, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ আইটিসি রয়েল বেঙ্গল হোটেল, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
হোটেল আইটিসি রাত্রে বেলায় ফ্লাইওভারের উপর থেকে দেখতে এত চমৎকার লাগে হাফিজ ভাই 😀👌👌👌। আমি তো মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় বার শুধুমাত্র ওই দৃশ্যটা দেখার জন্যই ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে পাকাপাকি করেছি 😉। সবশেষে মুড পরিবর্তন যে হয়েছিল এটা কিন্তু দারুণ ছিল 😀। আসলে এখানে সবাই ভীষণ হাস্যোজ্জ্বল মানুষ, তাই মন খারাপ করে রাখার কোন অপশনই আপনি পাবেন না। হিহিহিহি। আর উইঙ্কলেস দাদা সম্ভবত ডায়েটে আছেন। তা না হলে দাদার খাওয়া দেখলে আপনি নিজেও চোখ উপরে তুলে দিতেন 🤪। খুব ভালো লাগছিল লেখাগুলো পড়তে। একদম যেন মিশে গিয়েছিলাম ভেতরে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যাক অবশেষে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে গেলেন।দাদাদের আগেই পৌঁছে গেলেন।কিন্তু কি এক অনাকাংখিত ঘটনার জন্য একটু খারাপ লাগছিলো।তারপর তো সে মাহেন্দ্রক্ষন।আমার ই বুক ঢিপ ঢিপ করছে পড়ে। যাক দেখা হল, খাওয়া দাওয়া করলেন।শেষে আরিফ ভাইয়া মিষ্টান্ন এনেছিল তা খেয়েছেন।খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে।দাদা গল্প বলার তালে তালে খাবার খেয়ে নিচ্ছিল।খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হুম, টান টান উত্তেজনা নিয়ে তারপর উত্তেজনার আবেগে কিছু খেতেই পারি নাই হা হা হা।
হৃদয়ের টানে কোলকাতা:-পঞ্চম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। আসলে ভাইয়া আমাদের ফাউন্ডার দাদা যে এত মধুর তা আমরা কিছুটা হলেও কল্পনায় বুঝতে পারি। আমাদের ফাউন্ডার দাদার সাথে কোলাকুলি করতেই আপনার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে যাওয়া ঘটনার সমস্ত কিছুই হয়তো মনের ভিতর থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল। আসলে আমাদের ফাউন্ডার দাদার মতো মানুষের সংস্পর্শ পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। ভাইয়া আপনাদের বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার খাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে। কলকাতায় ফাউন্ডার দাদা ও আমাদের ছোট দাদা ও অন্যান্যদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ এর মধুর মুহূর্তটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিছু মানুষের স্পর্শ হৃদয়ের মাঝে যেমন চঞ্চলতা বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি কিছু মানুষের স্পর্শ হৃদয়ের সকল অন্ধকার দূরীভুত করে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
কল্পনায় দিনটি পুরাতন হচ্ছে না। আপনার পোস্টটা যখন পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল এই তো সেদিন ঘুরে এলাম। দারুন কিছু স্মৃতি নিয়ে চলে আসলাম বাংলাদেশে।
আমার এখন মাঝেমধ্যে মনে হয় কি যে ভুল করলাম অল্প খেয়ে। ওগুলো যদি আবার সামনে পেতাম সব মন মতন মারতে পারতাম। কারণ অনেক ইন্টারেস্টিং জিনিস আমরা টেস্ট ই করতে পারি নাই শেষমেষ। এমন এক্সাইটমেন্ট পরিবেশে কখনো মন মতন খাবার খাওয়া যায় না। এজন্যই আমরা ফেল মারছি।
সত্যি ভাই সেদিন খাবারের সাথে যথার্থ ব্যবহার আমরা করতে পারি নাই, তবে পরের বার গেলে ইউংলেস ভাইয়ের পাশে বসবো, তারপর চ্যালেঞ্জ নিয়ে সব খাবো, হা হা হা।
আরেকবার গেলে ওইখানে আমরা যাব। আমি খরচপাতি সম্পর্কে সব খোঁজ নিয়েছি।
https://twitter.com/hafizdhaka/status/1652645615187410944?s=20
ইস্ সেখানে যদি আমরা থাকতাম 🤗
যাক আপনার উচ্ছসিত বর্ননা থেকে কেমন যেন অনেক বেশি উত্তেজনা আর আনন্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম। মাঝের কিছুটা সময় একটু আনন্দে ছন্দপতন ছিল, আসলে নতুন জায়গায় কখন কি ধরনের পরিস্থিতিতে পরতে হয় তা বোঝা মুশকিল। তবুও পরিস্থিতি সামলিয়ে ভীষণ আনন্দঘন মূহুর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আর খাবারের বর্ননা শুনে তো খিদে পেয়ে গেছে মারাত্মক 😄
যাক দাদার সাক্ষাত পেয়েছেন এবং দারুন একটা সময় কাটিয়েছেন এটাই সবথেকে বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। সবার জন্য দোয়া রইল 🤗
সত্যি ভাই সেই মুহুর্তটা অন্য রকম ছিলো, হয়তো পুরো অনুভূতিটা উপস্থাপন করতে পারি নাই কারন অনেক কিছুই সঠিক ভাবে লিখে প্রকাশ করা যায় না। আর দাদাতো দাদাই অন্য উচ্চতার এক মানুষ, তার সাক্ষাতটা ছিলো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আসলে ভাইয়া আজকে আপনার পোস্ট পড়ে আমার ই বুক ধড় ফড় করছে। তাই ভাবছি যদি কোন দিন দাদার সাথে দেখা হয় তাহলে আমার কি হবে। আমি তো ফিট খেয়ে যাবো। যাক তবুও সব সমস্যা কাটিয়ে উঠে অবশেষে দাদার সাথে দেখা আর ভাল ভাল খাওয়ার মঝেই আপনার ৫ম পর্ব শেষ হয়ে গেল।
আসলে হোটেল এর ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহারের জন্য আমরা সকলেই খুবই দুঃখিত। আমাদের দেশে এসে কেউ কষ্ট পেয়ে যাবে, এটা আমাদের জন্য একেবারেই কাম্য নয় হাফিজ ভাই।তবে আপনারা চলে যাওয়ার পর আমরা আরো একবার গিয়েছিলাম ITC তে blacks দার জন্মদিন উপলক্ষে। সেই দিনও আসলে খুব মজা হয়েছিল।