জীবনের গল্প || অসচেতনতার বাস্তব দৃশ্য
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। যদিও চঞ্চলতার সাথে দারুণ একটা অনুভূতিও বেশ সুন্দরভাবে জাগ্রত আছে। অবশ্য কিছুটা চাপ আছে, কারণ অফিস নিয়ে একটু বেশী চাপে পড়ে গেছি। যেহেতু এই মাসে বেশ লম্বা একটা ছুটি উপভোগ করবো আমি, সেহেতু হাতে থাকা অনেকগুলো কাজই দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হচ্ছে। অবশ্য এর পরের অনুভূতিগুলো আবার সুন্দর হয়ে উঠবে পারিবারিক ট্যুরের কারণেই। কিছু পেতে হলে তো কিছু চাপ সহ্য করতেই হবে হি হি হি।
যাইহোক, আজকে ভিন্ন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো আর সেটা হলো সচেতনতা। যদিও এটা নিয়ে আমরা নানা সময় নানা বিষয়ের সাথে উদহারণ দিয়ে কথা বলে থাকি, সবাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করি। কিন্তু আদতে কি আমরা কখনো সতর্ক হই বা হওয়ার চেষ্টা করি? বাস্তবতা হলো আমরা শুরু হতে শেষ পর্যন্ত অধিকাংস বিষয়েই নিজেদের অসতর্ক অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করি। সেদিন অফিসে হতে আসার পথে এমন একটা ঘটনার স্বাক্ষী হলাম নতুন করে। অবশ্য এসব ঘটনা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে খুব নতুন কিছু না বরং পুরাতনই বলতে পারেন।
বাসটা গাবতলী মাজার রোডে থামার সাথে সাথে এক মহিলা খুব দ্রুত হেঁটে আসতে ছিলেন বাসে উঠার জন্য। তার ঠিক পেছনে দুটো ছেলে ছিলো। হটাৎ আমার চোখ সেদিকে গেলে, লক্ষ্য করলাম একজন জানালার কাছে এসে দাঁড়ালো আর একজন মহিলার পেছন পেছন হাঁটছে। ঠিক বাসের দরজার কাছাকাছি আসার সাথে সাথে ছেলেটি মহিলার কাধে থাকা ব্যাগটির চেইন খোলার চেষ্টা করলো, সঙ্গে সঙ্গে আমি ডাক দিয়ে বললাম মোবাইল নিলো নিলো। ব্যস এই কথা শুনার সাথে সাথে ছেলে দুটোই সেখান হতে দ্রুততার সাথে চম্পট দিলো।
মানে একটুর জন্য মাহিলার ব্যাগের চেইন খুলে কিছু নিতে পারলো না। হয়তো আমি ডাক না দিলে সেদিন কিছু একটা সেখান হতে নিতে পারতো তারা। অথচ আমাদের দেশে এমন পরিবেশে আমরা প্রায় অনেক কিছু হারিয়ে ফেলি, জানা সত্বেও এমন ক্ষেত্রে আমরা কখনো নিজেদের সচেতন অবস্থান ধরে রাখতে পারি না। যার ফলাফল পরবর্তীতে সেই বিষয় নিয়ে খুব বেশী পরিমানে আফসোস করতে বাধ্য হই। অথচ এমন পরিবেশে আমাদের আরো বেশী পরিমাণে সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো। না শুধুমাত্র চুরির বিষয়ে সতর্কতা নয় এখানে বরং বাসে উঠার ক্ষেত্রেও হওয়া উচিত ছিলো।
আমরা একটু সতর্ক হলে এমন অসংখ্য ঘটনা আমাদের জীবনের অনুভূতিগুলোকে পাল্টে দিতে পারে, আবার সামান্য একটু সতর্ক অবস্থান ধরে রাখতে পারলেই হয়তো অনেক সমস্যা বা আশাংকা মুহুর্তের মাঝেই দূর করা সম্ভব হয়ে যায়। বাস্তবতা আমাদের বার বার শিক্ষা কিংবা সতর্ক করার শিক্ষা দেয় কিন্তু আমরা কখনোই সেই শিক্ষাগুলোকে সঠিক অর্থে কাজে লাগাতে পারি না, এটা আমাদের একটা অন্যতম ব্যর্থতা কিংবা উদাসিনতাও বলতে পারেন।
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
শুরুতেই আপনার ফ্যামিলি ট্রিপের জন্য অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো।আশাকরি পুরোটা সময় সবাই মিলে খুব খুব আনন্দ উপভোগ করবেন এবং তা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।সেগুলো দেখে আমরা না হয় দুধের স্বাদ ঘোলেই মিটিয়ে নিবো... হি হি হি 😁
সত্যিই ভাইয়া আমরা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে একটু সচেতনতা অবলম্বন করি তাহলে হয়তো আমরা অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবো আর পরবর্তী সময়ে আক্ষেপ করতে হবে না।ভাগ্যিস আপনার চোখে পড়েছিলো তা না হলে তো ভদ্রমহিলার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতো।ঈশ্বর সবাইকে নিরাপদ জীবন দান করুক এই প্রার্থনা করি।🙏