জীবনের গল্প || সঠিক মানসিকতার প্রভাব

in আমার বাংলা ব্লগ20 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। যথারীতি সকল চাপ উপেক্ষা করে মানসিকভাবে চঞ্চল থাকার চেষ্টা করছি। অবশ্য এর সাথে সাথে একটা শান্তনার বাণীও হৃদয়ের মাঝে জাগ্রত রাখার চেষ্টা করছি। কারণ যা কোনদিনও আমার ছিলো না সেটা কখনোই নিজের বলে পাবো না, আবার যা সব সময়ই আমার ছিলো তা না চাইলেও আমার পাশে থাকবে। সুতরাং যা নিজের হবে না কিংবা যা অন্যের ছিলো তা নিয়ে অযথা চিন্তা-ভাবনা করে শুধু শুধু আফসোস বাড়িয়ে কি লাভ? তার চেয়ে ভালো নয় কি? যা আছে তা নিয়ে চিন্তা করা?

আমি আমার কথাগুলো আমার মতো করে বললাম, না না এগুলো একদমই কমন কথা, আমরা প্রায় এসব শব্দগুলো শুনে থাকি। আমরা মানুষতো তাই হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই এসব কথার গুরুত্ব দেই না বা দেয়ার চেষ্টাও করি না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই নিজেদের সূত্র তৈরী করার চেষ্টা করি, কে কি বললো সেগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ফর্মুলায় ভাবনাগুলোর বাস্তবায়ন দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা যে কখনোই কাংখিতভাবে আসতে পারে না বা সফল হতে পারে না সেটা অনেক পরে বুঝতে পারি। কিন্তু ততোক্ষণে আমাদের কিছুই করার থাকে না।

jellyfish-7001410_1280.jpg

বাস্তবতা অনেক বেশী কঠিন, আমরা যতটা চিন্তা করি বা কল্পনা করি তারচেয়েও বিশাল কিছু। সুতরাং অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে নিজের ভিন্ন মানসিকতার রূপ দেখতে না চাইলে বাণীর আড়ালে অন্যদের মুখ হতে যা শ্রবণ করি সেগুলোকে গুরত্ব দেয়া উচিত আমাদের। তাতে নিজের কাংখিত অবস্থান নিশ্চিত হোক বা না হোক, তবুও অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরী হবে না সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। যা আপনার হবার নয় সেটা নিয়ে যতই চেষ্টা করুন না কেন, সেটা কখনোই আপনার হবে না সেটা অন্তত নিশ্চিতভাবে বলা যায়। সুতরাং সেটার জন্য নিজেকে বিপন্ন করার কোন মানেই হয় না।

যদি আমার অবস্থানই ঠিক না থাকে তাহলে এমন বিজয় দিয়ে কি হবে? সেই বিষয়ের সুফল কে ভোগ করবে? প্রশ্ন আসলে করতে হয় না বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনিতেই চলে আসে। তাই যা হবার নয় সেটা নিয়ে অযথা লড়াই করার কোন মানেই হয় না, সংগ্রামে সব অর্জন হয় সেটাও কিন্তু সত্য নয়। যদি তাই হতো তাহলে পৃথিবীর সকল মানুষই অধিকাংশ সময় সংগ্রাম বা আন্দোলনে ব্যয় করতেন। সুখ কিংবা ভালো অনুভূতিগুলো উপভোগ করার সুযোগ পেতেন না আর। আমার বিষয়টি একদমই সহজ, আগে পিছে অতো চিন্তা না করে এখন চলমান যা আছে তা নিয়েই চিন্তা করা উচিত।

দিন শেষে আমরা সবাই রক্তে মাংসে মানুষ, আমাদের আবেগ কিংবা মনোভাব কোন না কোন ভাবে সঠিক পথ হারিয়ে ফেলতে পারে, যদি তাৎক্ষনিকভাবে সেটা আমরা বুঝতে পারি তাহলে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করা উচিত, তাতে বৃহৎ কোন ক্ষতির আশংকা থাকবে না। বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে কাংখিত অবস্থানে পৌঁছানো অসম্ভব একটা বিষয়, এটা মেনে নিয়েই আমাদের গতিশীল হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সব কাজ বা চেষ্টার ফলাফল তাৎক্ষনিক পাওয়া যায় না কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফল আসতে অনেক দেরীও হতে পারে, তাই সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

Image Taken From Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

@hafizullah, this is a wonderful post! Your reflections on life, acceptance, and the importance of focusing on what truly matters are profoundly relatable. I appreciate how you've articulated the struggle between forging our own paths and heeding the wisdom of others, and the reminder to value what we have.

The jellyfish image adds a beautiful, contemplative touch to your words. Thank you for sharing your thoughts in such a thoughtful and accessible way. I think many readers will find comfort and insight in your perspective. What personal experiences led you to these conclusions? I'm sure your readers would love to read more about that. Keep up the great work!

 20 days ago 

অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাইয়া।আসলেই অবস্থান শক্তভাবে ধরে রাখাটাই জরুরি।আপনার লেখাগুলি পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।