হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। পূজোর ছুটির ফাঁকে গ্রামের বাড়ি হতে দারুণ একটা ট্যুর দিয়ে পুনরায় নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছি। না না না খুব যে ভালো ট্যুর হইছে সেটা বলা যাবে না, কারণ লম্বা ছুটির কারনে সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলো, যার ফলশ্রুতিতে প্রচুর চাপ পড়েছিলো সড়কগুলোর উপর। বিশেষ করে মহাসড়কগুলো যানজটে পূর্ণ ছিলো অতিরিক্ত গাড়ির কারনে। যে পথ পাড়ি দিতে সময় লাগার কথা দুই ঘন্টা সেই পথ পাড়ি দিতে হয়েছিলো ৮ ঘন্টায়, সুতরাং বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা হয়েছিলো।
সত্যি বলতে ছুটির দিনগুলোতে সড়কের উপর একটা বাড়তি চাপ পরে সেটা জানা কথা আর সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই আমরা বাড়ি হতে সকাল না ভোর ৬.৩০ মিনিটে বের হয়েছিলাম। কিন্তু তবুও যানজট এড়াতে পারি নাই। এতো সকালেও যে এমন অবস্থা হবে সেটা কল্পনায় ছিলো। খারাপ হলেও একটা অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে, এরপর হতে লম্বা ছুটির দিনে আর কখনো বাড়ি হতে কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করবো না। আমরা আসলে ভুল করি, অনেক সময় সেটা অনিচ্ছায় হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে সেটা ইচ্ছাকৃত হয়ে যায়। তবে শিক্ষাটা যদি কাজে লাগাতে না পারি তাহলে সবই বৃথা।

আমরা যেমন অনেক ক্ষেত্রে নিজের ভুলগুলোকে আড়ালে রেখে অন্যের ভুলের সমালোচনা করি, নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি, আবার দিনশেষে সেই একই ভুলে আমরা নিজেরাও আক্রন্ত হয়ে যাই। এখানে কিন্তু ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত বিষয়টির কোনটাই আসে না, বরং ভিন্ন মানসিকতার পরিচয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। কিছু বিষয় সচেতনতার উপর আবার কিছু বিষয় মানসিকতার উপর নির্ভর করে। আর ভুলের বিষয়টি এখান হতেই তৈরী হতে থাকে।
অন্যের সমালোচনাকে আমরা যেমন জায়েজ মনে করি, ঠিক তেমনি অন্যদের উপদেশ দেয়াটাকেও আমরা দায়িত্ব মনে করি কিন্তু বাস্তবতা হলো এই বিষযগুলো হতে আমরা কখনো সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করি না। বরং একই ভুল বার বার করতে করতে একটা সময় সেই ভুলটাকে সঠিক হিসেবে মেনে নিতে থাকি। সুতারাং ছুটির দিনগুলোতে আমরা এভাবে হুমরি খেয়ে না পরে বরং ভিন্নভাবে সেগুলোকে উপভোগ করার প্লান করতে পারলে হয়তো কারো জন্যই সেটা অসুখকর হতো না।
যাইহোক, তবুও শত বাধা বা সমস্যা উপেক্ষা করে ট্যুরটা সম্পন্ন করতে পেরেছি এটাই হয়তো বড় কথা, প্রায় ১৮ বছর পর দাদার বাড়িতে গিয়েছিলাম, সবাইকে নিয়ে দারুণ কিছু মুহুর্ত চমৎকারভাবে উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। সত্যি বলতে যেখানে যত সমস্যা থাকে সেখানে আগ্রহের মাত্রাটা ততো বেশী থাকে, সেটা আমি এইবার দারুণভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি।
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah



আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
