জীবনের গল্প || সম্পর্কের পুনর্জীবন ভাবনা
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ্য আছি। তবে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি এখন। কারণ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি, গ্রামের বাড়ি বলতে দাদার বাড়ি যাচ্ছি। আসলে আমাদের মোটামুটি ছোটবেলা হতেই নানার বাড়ির সাথে বেশী সংযোগ ছিলো। কারণ সেটার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজ ছিলো। কিন্তু দাদার বাড়িতে যাতায়াতে চরম কষ্ট সহ্য করতে হতো, তাই আমরা সেদিকে যাওয়ার খুব একটা আগ্রহ দেখাতাম না। এই কারণে সেদিকে খুব একটা বেশী যাওয়া আসা ছিলো না আমাদের।
তবে দাদা মারা যাওয়ার পর সেটা একদমই বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তার আগে মোটামুটি কম হলেও একটা যাওয়া আসা থাকতো। একটা পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি যাতে আপনাদের বুঝতে কিছুটা সুবিধা হয়, সর্বশেষ সন্ধীপ গিয়েছি করে সেই তারিখ ধরে হিসেব করলে মোটামুটি ১৮ বছর পার হয়ে যাবে, হি হি হি। বুঝতেই পারছেন নিশ্চিতভাবে কতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি দাদা মারা যাওয়ার পর। অবশ্য এখনো দুই চাচা আছেন, চাচাতো ভাই-বোন, ফুফাতো ভাই-বোনরা আছেন। যেহেতু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ কিছুটা উন্নত হয়েছে এবং যাতায়াতের সমস্যাও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
সেহেতু যাওয়া একটা আগ্রহ তৈরী হয়েছে। আর এর মাঝেই এক চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে সেখান হতেও বেশ তাগাদা দেয়া হচ্ছিলো। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব ছোট একটা ট্যুর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেহেতু পরিবারের সবাইকে নিয়ে যাচ্ছি, সেহেতু সবার মাঝে দারুণ একটা চঞ্চলতাও কাজ করতে শুরু করেছে। এর মাঝে কেনাকাটারও একটা চাপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে এখন যেহেতু পূজার একটা উৎসব মুখর পরিবেশ বিড়াজ করছে এবং শপিং সেন্টারগুলোতে প্রচুর ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেহেতু কেনাকাটায় আমাকেও বাড়তি চাপ সহ্য করতে হচ্ছে।
ছোটবড় সবার জন্যই বেশ কিছুটা কেনাকাটা করতে হয়েছে, সবার মাঝেই একটা চঞ্চলতা তৈরী হয়েছে, যেহেতু ছোটরা এবারই প্রথম দাদার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। অনেকটা এই রকম যে, আমি আমার দাদার বাড়ি যাচ্ছি, আমার ছেলে মেয়েরাও তাদের দাদার বাড়িতে যাচ্ছে, হা হা হা বিষয়টি সত্যি দারুণভাবে মিলে গেছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এমন আধুনিক মানে উন্নত মানের স্পিডবোর্ড যেমন ছিলৈা না ঠিক তেমনি ফেরি পারাপাাড়ের বিষয়টিও আমাদের কল্পনায় ছিলো না। কারণ সাগরের উপর ফেরি চলাচল করবে সেটা কেউ তখন ভাবতেও পারতেন না।
কিন্তু এটা এখন বাস্তব হয়ে গেছে, আধুনিক মানের স্পিডবোর্ড যেমন চলাচল করছে ঠিক তেমনি সরকারি উদ্যোগে ফেরি চলাচলও করছে সুন্দরভাবে। সুতরাং খুব সহজেই কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই এখন সন্ধীপে যাতায়াত করা যায়। বিশেষত এই কারণেই সন্ধীপে যাওয়ার আগ্রহটা বেড়েছে। আশা করছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর এবং চমৎকার একটা ট্যুর হবে এটা। এছাড়াও দীর্ঘ সময় পর আত্নীয়দের সাথেও দারুণ একটা আনন্দময় মুহুর্ত উপভোগ করার সুযোগ পাবো।
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Great post! Featured in the hot section by @punicwax.