নাটক রিভিউঃ " খোয়াবনামা "
04-09-25
২০ ভাদ্র , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
নাম | খোয়াবনামা। |
---|---|
স্টরি ও ডিরেকশন | ভিকি জাহেদ। |
প্রযোজক | আনয়ারুল আলম সজল। |
অভিনয়ে | তৌসিফ মাহবুব, তানজিন তিশা , আশরাফ টুলু ,একে আজাদ সেতু ,আবিদ বিন পারভেজ প্রান্ত ,তমা ইসলাম , ইজাজ ইমন সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | মেহেদী হাসান। |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ০৭ মিনিট। |
মুক্তির তারিখ | ২৮ই আগস্ট , ২০২৫ ইং |
ধরন | হরর, থ্রিলার, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
সিয়ামঃ
তৌসিফ মাহবুব।রূপাঃ
তানজিন তিশা।কাহিনী সারসংক্ষেপ
সাল ২০৩০। জেলের ভিতরে সিয়াম। রাতে হঠাৎ করেই সাপের স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায়। এটা তার প্রতিদিনকার রুটিন। গত ২০ বছর ধরে জেলে। কিন্তু সিয়ামকে কেউ দেখতে আসেনি। জেলের ভিতরের লোকগুলোও অবাক হয়! একটা মানুষকে দেখতেও কেন আসে না। আপন মানুষ ছিল একজন, নাম রূপা!
সাল ২০০৫। নতুন বছর উদযাপনে ব্যস্ত সবাই । সিয়াম তখন হঠাৎ করেই রূপা কে দেখতে পায়। রূপাকে দেখেই তার ভালো লেগে যায়। রূপা ও সিয়াম একই ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে। রূপার হাসি, অবাক করা চেহারা সবই সিয়ামের কাছে ভালো লাগে। কিন্তু রূপাকে ভালোবাসি কথাটা বলতে পারেনা সিয়াম। একদিন ভার্সিটিতে গিয়ে সিয়াম দেখতে পায় রুপাকে রাশেদ প্রপোজ করে ফেলেছে । সেটা দেখে সিয়াম একদম ভেঙে পড়ে । সিয়াম দিয়ে রুপাকে ভালবাসে এটা তার দুলাভাই ও তার বড় বোন জানে । কিন্তু রাশেদ রুপাকে ভালোবাসার কথাটা বলে দেওয়ার পর সিয়াম রুপার থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করে । সিয়াম রুপার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করলেও সে আসলে পারিনি । এলাকার প্রতাপশালী টলু শিকদারের ছেলে রাশেদ রুপা কে ভালবাসে এজন্য সিয়াম অনেকটা ভয় থাকে । এদিকে ক্লাস কাজ করার জন্য দুইজন করে টিম বানিয়ে দেই স্যার । ভাগ্যক্রমে রুপা ও সিয়াম একই টিম এ পড়ে ।
কিন্তু রুপা যেহেতু রাশেদ কে ভালবাসে তাই রূপা সিয়াম কে অনুরোধ করে যেন তার রাশেদ ও রুপা একই টিমে গ্রুপ ওয়ার্ক কাজ করবে সেটা স্যার কে বুঝিয়ে বলার জন্য । এদিকে সিয়াম তার দুলাভাইকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলে যে সে রুপাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারতেছে না । তারপর হঠাৎ করে একদিন তার দুলাভাই খবর নিয়ে আসে সিয়ামের কাছে রুপা ও রাশেদের সম্পর্কটা ভেঙ্গে গিয়েছে । তারপর রুপা সিয়াম কে বলে যেন তাকে তার গ্রুপে রেখে দেয় তারা দুজনে গ্রুপ স্টাডি করবে । ধীরে ধীরে রুপা ও সিয়ামের সম্পর্কটা গভীর হতে থাকে । কিন্তু সেটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিল না রাশেদ । তাই রাশেদ সিয়াম কে অনুরোধ করে যেন সে রুপা থেকে দূরে চলে যায় । রাশিদ এর কথা সিয়াম কে রাশেদের লোকজন অনেক মারধর করে । আর তখন রুপা এসে তা দেখে ফেলে । তারপর রুপা সিয়ামের কাছে ক্ষমা চায় তার জন্য সে মার খেয়েছে।
এদিকে রাশেদ মাদক সেবন করে নিজ নিজ শেষ করে দিতে চায় কিন্তু তখন তার বাবার তার কাছে ওয়াদা করে সে ১০ দিনের ভিতরেই রুপাকে তার কাছে এনে দিবে । কিন্তু রাশেদ তার বাবাকে বলে আসলে জোর করে কারো ভালোবাসা পাওয়া যায় না সে বিশ্বাস করে একদিন ঠিকই রুপা তার কাছে ফিরে আসবে । এদিকে রুপা ও সিয়ামের বিয়ে হয়ে যায় । দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিয়ে হয় । বিয়ে হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ করে দেখতে পায় সিয়ামের দুলাভাই ও বোন ও তার ভাতিজাকে মেরে ফেলেছে । আবার এদিকে রুপার বান্ধবী ফোন দিয়ে বলে রাশেদ সুইসাইড করেছে । তারপর সিয়াম রুপাকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় । শিকদারের লোকজন তাদেরকে খুঁজতে থাকে । শিকদারের লোকজন সিয়ামের দুলাভাইয়ের দোকান থেকে কিছু ছবি সংগ্রহ করে যেগুলো সিয়ামের দুলাভাই পাঠিয়েছিল রুপার কাছে । যেখানে রাশেদের সাথে অন্য একটি মেয়েকে ছবি বানিয়ে পাঠিয়েছিল।
সেটা জানার পর রুপার সব বিশ্বাস ভেঙ্গে যায় সিয়ামের উপর থেকে এবং তাদের ভাবি ভাইকে স্বামী নিজের হাতে খুন করেছে সিএমকে যেহেতু রূপায় মেনে নিতে পারবে না তাই সিয়াম সিদ্ধান্ত নেয় সে পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করবে । কিন্তু রুপার পেটে বাচ্চা ছিল সিয়াম তাকে বলে দেয় যেন বাচ্চাটাকে টাকে সে রক্ষা করে । ২০৩০ সাল , সিয়াম জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। তার আপনমানুষ রূপাকে বলেছিল একটি জায়গার কথা। সেখানে তাদের হবে। কিন্তু রূপা আসেনি। এখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামত
ভিকি জাহেদ এর নাটকগুলো সবসময় রহস্যেঘেরা এমন টাইপের। যারা পূনর্জন্ম দেখেছেন তারা নিশ্চয় জানেন। খোয়াবনামা নাটকটিও চমৎকার ছিল। কাহিনী থেকে সংলাপ,সিনেমাটোগ্রাফি সবকিছুই অসাধারণ। নাটকের গল্পটাও বেশ ইন্টারেস্টিং। শেষ অবধি নাটকটি না দেখলে আপনি গল্প বুঝবেন না। নাটকটিতে তানজিন তিশা ও তৌসিফ মাহবুব দারুণ অভিনয় করেছে। বিশেষ করে তৌসিফ মাহবুবের প্রশংসা করতে হয়। কবের দৃশ্যটা ও বুড়া হওয়ার ক্যারেক্টার টা ইন্টারেস্টিং ছিল। সবমিলিয়ে নাটকটি দেখার মতো ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯.৮/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
বাহ্ আপনি তো আজকে দারুন একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।তানজিন তিশার অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।যদিও নাটকটি আমার দেখা হয়নি তবে নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর যখনই সময় পাই তখনই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। আজকে আপনি দারুন একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে সবার মাঝে হাজির হয়েছেন। পুরো কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ রিভিউ টা শেয়ার করার জন্য।
নাটকটি দারুণ ছিল আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি সময় পেলেই নাটকটা আমি দেখবো। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
নাটকটি দেখতে পারেন, আশা করছি পুরোটা সময় উপভোগ করবেন।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ এই নাটকটির ছোট ছোট ক্লিপ আমি দেখেছিলাম৷ ভেবেছিলাম যে নাটকটি দেখে নেব৷ তবে দেখলাম যে আজকে আপনি এই নাটকের শেয়ার করে দিয়েছেন৷ এই নাটকের রিভিউ করে নাটকটি অনেকটাই দেখে নিয়েছি বলে মনে হচ্ছে৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷