পাকিস্তানের সাথে সিরিজ জয়!
23-07-2025
৮ শ্রাবণ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তবে আজকে প্রচন্ড তাপদাহে অবস্থা মোটামোটি সবারই খারাপ। বাংলা এখন শ্রাবণ মাস! সে হিসেবে বর্ষাকাল। কিন্তু আজকের তাপমাত্রা দেখে মনে হচ্ছিল গ্রীষ্মকাল! আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে কত কয়েক বছরে। এর জন্য আসলে আমরাই দায়ী বলা যায়! তো যাইহোক, এসব নিয়ে কথা বলবো না। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ টিম শ্রীলংকা সফরে গিয়েছিল। লাস্ট টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বাংলাদেশ জিতে এসেছিল। সে হিসেবে বাংলাদেশ টিম দারুণ ছন্দে রয়েছে আসলে। এদিকে পাকিস্তান টিম এসেছে বাংলাদেশে। ইতোমধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়ে গেল! আজকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়েই কথা বলবো। আগের ম্যাচটিও দেখেছিলাম, দূর্দান্ত খেলেছিল বাংলাদেশ!
প্রথম ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ টিম অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে পারলেই তাদের সিরিজ জেতা হয়ে যাবে। সেদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে। পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ হারার পর অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের! তারাও চেষ্টা করবে দ্বিতীয় ম্যাচে কামব্যাক করার। তো টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান! শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে নাইম শেখ ও ইমন। আগের ম্যাচে তানজিদ তামিম ইনজুরিতে পরে। এজন্য দলে নেয়া হয় নাইম শেখকে! তো শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেটের পতন বাংলাদেশের! নাইম শেখ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন লিটন দাস! লিটন দাস নামার পরে আমি ভেবেছিলাম একটা ভালো পার্টনারশিপ দেখতে পাবো। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ যখন ২৫ রান তখন লিটন দাসও আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যায়। তারপর মাঠে আসে তৌহিদ হৃদয়।
তৌহিদ নামার পরেই রান আউটের শিকার হয় সে। শূন্য রান করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে জাকের আলী। জাকের আলীর হাতে যথেষ্ট জোর রয়েছে। মাঠে থাকতে পারলে রান আসে! ২৮ রানেই বাংলাদেশ চারটা উইকেট হারায়। টি-টোয়েন্টিতে পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা পঞ্চাষোর্ধ পার্টনারশিপ হলে খেলার মোড় ঘুরে যায়। আর সে কাজটাই করে জাকের আলি ও শেখ মেহেদী! দুজনেই দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করে ভালো একটা সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায় টিমকে। শেষ অবধি জাকের আলীর ব্যক্তিগত ৫৫ রানের সুবাধে বাংলাদেশ টিম সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। তো টি-টোয়েন্টিতে ১৩৩ রান চেইস করা সহজ! তবে মিরপুরে বাংলাদেশ একটা সুবিধা পাবেই! মোস্তাফিজ, শরীফুল জ্বলে উঠতে পারলেই খেলাটা জেতা সম্ভব!
ব্যাটিং করতে নামে ফখার জামান ও আইয়ুব। দুজনেই টি-টোয়েন্টি এর জন্য পারফেক্ট ব্যাটসম্যান। মাঠে থাকতে পারলে জিতিয়ে উঠবে। তবে শুরুটা পাকিস্তানেরও ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই একটি উইকেটের পতন ঘটে। ভুল বুঝাবুঝির কারণে আইয়ুব রান আউটের শিকার হয়। তারপর মাঠে আসে হারিস! তবে সেও ব্যর্থ হয়। শূন্যকরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন সালমান আলী! নামার পরে ফখার জামান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে। পাকিস্তান টিম তখন অনেক প্রেসারে পরে যায়। তারপর মাঠে আসে হাসান নওয়াজ। শূন্য রান করে মাঠ ছাড়ে। ঠিক পরের বলে মোহাম্মদ নওয়াজও আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান টিম তখন চাপে পরে যায়! টপ অর্ডারের প্রধান ব্যাটসম্যান সবাই আউট হয়ে যায়।
তারপর খুশিদুল শাহ ও ফাহিম আশরাফ চেষ্টা চালিয়ে যায়। খেলার শেষ পর্যায়ে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান জিতে যাবে। কারণ শেষের দিকে একের পর এক ছক্কা বাউন্ডারি মেরে রানরেইট কমিয়ে ফেলে আশরাফ! লাস্ট দুওভারে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে খেলায়। রিশাদ হাসানকে যখন বল দেয় আমি ভেবেছলাম বাংলাদেশ হয়তো হয়তো হেরে যাবে। আগের ওভারে ২০ রান দিয়েছিল সে! মোটামোটি ভালোই চেক দেয় সে। শেষ ওভারে দরকার ১৩ রান। বল হাতে মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের মাত্র একটি উইকেট দরকার ছিল। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ডেনিয়ালকে আউট করে এবং এরই মাধ্যমে ২-০ তে সিরিজ জয় লাভ করে এক ম্যাচ হাতে বাকি রেখে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলাদেশ যেভাবে টানা টানা দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় করল এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।এইরকম বাংলাদেশ যদি খেলতে থাকে তাহলে তারা ভবিষ্যতে আরো উন্নতি করতে পারবে।বাংলাদেশ টিমের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।