অভিযোগ নয়, দরকার অ্যাকশন
07-09-25
২৩ ভাদ্র , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সুস্থ্য না থাকতে পারেন তাহলে আপনার কাছে কোনে কিছুই ভালো লাগবে না। এখন কথা হলো আপনার সুস্থ্যতা যদি অন্যের উপর নির্ভরতা হয়ে যায় তাহলে আপনি কখনো ভালো থাকতে পারবেন। এই যেমন ধরেন কেউ যখন সম্পর্কে জড়ায় প্রতিদিন তার ভালোবাসার মানুষের সাথে কথা বলে। আর প্রতিদিন কথা বলার অভ্যাসটা একটা সময় কাল হয়ে দাড়ায়। কারণ আপনার ভালোবাসার মানুষ যদি আপনার সাথে কথা না বলে আপনি পাগলের মতো হয়ে যাবেন। কারণ আপনার ইতোমধ্যে ধরে নিয়েছে আপনি তার সাথে কথা বললে ভালো ফিল করেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভিন্ন। আপনার ভালো থাকাটা যদি অন্যের উপর ডিপেন্ডেবল হয়ে যায় তাহলে আপনি কখনোই ভালো থাকতে পারবেন না।
আপনি শুধু নিজের উপর অভিযোগ দিবেন ভালো থাকা নিয়ে। যখন ব্যাপারটা মানসিক ট্রমায় চলে যায় তখন সেখান থেকে চলে আসাটাও কঠিন তবে এটা সম্ভব! কিন্তু আপনি যদি বাস্তবতা না বুঝেন তাহলে সেটাও আপনার কাছে নাটকের মতো মনে হবে। সবার জীবনেই কমবেশি সমস্যা থাকে। কেউ অর্থ কষ্টে থাকে, কেউ আবার চাকরি পায়না, কেউ ব্যবসায় ব্যর্থ হয়েছে। প্রত্যেকের সমস্যার ধরণ ভিন্ন! আপনি যখন কষ্টে থাকেন তখন আপনার মনে প্রথমে যে কথাটা আসে সেটা হলো " আমার সময় ভালো নেই, অথবা আমি ভাগ্যবান নয়! " এই যে নিজের উপর এক ধরনের অভিযোগ! এটার কারণে হয়কি আপনার মাঝে একটা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। স্টুডেন্টদের কথায় যদি! যদি কোনো স্টুডেন্ট পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট না করতে তাহলে সে পরিস্থিতির দোষ দেয় অথবা ঐ সময়টা সে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেনি!
এই যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হলো মনে যার কারণে সে আবার পরীক্ষা দিতে ভয় পায়। তার মনে হয় আবার যদি রেজাল্ট টা আমার অনুকূলে না আসে তখন! এই যে একটা দূর্বল মাইন্ডসেট তার মনে তৈরি হলো যার কারণে সে একপ্রকার হীনমন্যতায় ভোগে! যার কারণে সে রিস্ক নিতে ভয় পায়। আর জীবনে রিস্ক নিতে পারলে সফল্যের দেখা পাওয়া যায় না! আমি দেখেছি এমন অনেককে যারা একবার এডমিশন পরীক্ষা দিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমার সাথেই কেন এমন হয়! মনে রাখতে হবে, সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য যা করে ভালোর জন্যই করে। তাই বলে হতাশ হওয়া যাবে না। আপনাকে আবার উঠে দাঁড়াতে হবে। আবার একশনে যাওয়াটাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। বোকারা শুধু অভিযোগ করে যায়, একশনে যায় না। তো অভিযোগ না করে একশনে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি জবের জন্য অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু জব আপনার হচ্ছে না। আপনি নিজেকে অভিযোগ করছেন। কতো এপ্লাই করা হলো কিন্তু চাকরি আর হলো না। কিন্তু আপনি যদি অল্প অল্প করে স্কিল ডেভলপ করতেন তাহলে আপনার চাকরি না হয়ে উপায় নেই! কারণ একজন দক্ষ মানুষ কখনো বেকার থাকে না সেটা আমি অন্তত বিশ্বাস করি। এজন্য নিজেকে অভিযোগ না করে কাজে লেগে পরুন। যেকোন কাজ শিখুন। বর্তমান দুনিয়াতে এআই আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে। তবে আপনাকে সময়ের সাথে সাথে আপডেট হতে হবে তবেই আপনি বর্তমান দুনিয়াতে টিকে থাকতে পারবেন। আপনি একটা জিনিস চিন্তা করেন, বাল্ব আবিষ্কার করা থমাস আলভা এডিসন অনেকবার ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু তিনি একবারো অভিযোগ করেননি নিজের সাথে। প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে গেছেন।
আমাদেরকেও তাই করতে হবে। তবেই আমরা সামনের দিকে এগোতে যাবো। অনেকের মাঝে হয় কি একটা ব্যবসা দাড়ঁ করানোর প্লেন থাকে কিন্তু সে শুরু করবে করবে বলে আর করা হয় না। এখন তার মাইন্ডসেট যদি থাকতো আজ এই মুহূর্ত এ শুরু করবো তাহলে কিন্তু সে এগিয়ে যেত। কোনো একটা বিজনেস একদিনে বড় হয় না। প্রতিনিয়ত আপনাকে ছোট ছোর ধাপে আগাতে হবে। এক লাফ দিয়ে কেউ গাছের সবচেয়ে উঁচু ঢালে কেউ উঠে যায় নি, যারা সফল হয়েছে তারা ছোট ছোট টার্গেট নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছে এবং দিনশেষে তারা সফলও হয়েছে। তো অভিযোগ করার মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। একশনে জোর দিতে হবে। তবেই যেকোন কাজের ফলাফল বুঝা যাবে এবং সহজে টার্গেট ফিল আপ হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share