নবম শিরোপা ঘরে তুললো ভারত!

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

29-09-25

১৪ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ। তো আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর নিয়মিত রাখার চেষ্টা করেন। আপনারা জানেন যে এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো জমে উঠেছিল। বিশেষ করে ফাইনালের আগে আরেকটা ফাইনাল আমরা দেখতে পেয়েছিলাম শ্রীলংকা ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচে। ২০২ রানে টার্গেট দিয়েছিল ভারত আর সে খেলা শেষ অবধি ড্র করে শ্রীলংকা। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে! তবে সুপার ওভারে জয় লাভ করেছিল ভারত। এশিয়া কাপে শুরু থেকেই হট ফেভরিট ছিল ভারত। কারণ তারা অলওয়েস টপ ফর্মে থাকে। এশিয়া কাপে আনবিটেন থেকে ফাইনাল অব্দি এসেছিল ভারত! বুঝায় যাচ্ছিল ফাইনালের শিরোপাটা আবারো ঘরে তুলতে চলেছে ভারত। তবে কিছু হিসাব নিকাশ তো আছেই। পাকিস্তান বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল। অথচ ফাইনালে থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের। সেটা আর স্বপ্নই থেকে গেল!

Screenshot_2025-09-29-15-12-32-87.jpg

Screenshot_2025-09-29-15-13-34-19.jpg

screenshot from Asian Cricket Council

এবারের এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তান দুবার মুখোমুখি হয়েছে আর দুবারই ভারতই জিতেছে। যেহেতু এ দুদলের খেলায় দর্শকরা তাকিয়ে থাকে। কিন্তু পাকিস্তানের খেলা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না। তার চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলে। তবে গোল বলের খেলায় দিনশেষে যে দল পারফর্ম করবে তারাই জিততে পারবে। তো ফাইনালের মতো মঞ্চে আশা করছিলাম খেলাটা হয়তো জমবে। তবে দর্শকরা ভারতকেই এগিয়ে রেখেছিল। আর এটা স্বাভাবিক। কারণ তাদের দলটা যথেষ্ট গোছানো সবদিক দিয়ে! ফাইনালে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ভারতের টিমে তিনজন প্লেয়ার পরিবর্তন করা হয়। হার্ডিক পান্ডিয়া ইনজুরির কারণে ফাইনালে থাকতে পারেনি। দলে নেয়া হয় রিংকু সিংকে! রিংকু সিং ফাইনালের মতো মঞ্চে ভালো পারফর্ম করে। ভালো ফিনিশার বলা যায়।

Screenshot_2025-09-29-15-17-54-91.jpg

Screenshot_2025-09-29-15-20-01-07.jpg

screenshot from Asian Cricket Council

পাকিস্তান টিমে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে শাহিবজাদা ফারহান ও ফখার জামান! দুজনই হার্ড হিটার ব্যাটার। তবে ভারত শুরুতেই বল তুলে দেয় শিবম ডুবের কাছে। যেহেতু হার্ডিক পান্ডিয়া মিসিং! ওভারের শুরুটা ভালোই করে শিভম ডুবে। তারপরে আসে বুমরাহ! আমরা আগের দুইটা ম্যাচ যদি খেয়াল করি সেখানে ফারহান দারুণ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছিল বুমরাহ এর ওভারে। সেটার ব্যতিক্রম হয়নি! পাওয়ারপ্লেটা দারুণভাবে কাজে লাগায় পাকিস্তান। কোনো উইকেট হারায়নি। তবে যেভাবে রান যাচ্ছিল মনে হচ্ছিল ১৭০+ রান ইজিলি হয়ে যাবে। কিন্তু ৮৪ রান যখন তখন ফারহান আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে সায়েম আইয়ুব! ফখর জামান তারপর আইয়ুবকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ দাড়ঁ করানোর চেষ্টা করে।

Screenshot_2025-09-29-15-21-02-77.jpg

Screenshot_2025-09-29-15-23-34-94.jpg

screenshot from Asian Cricket Council

দলীয় সংগ্রহ যখন ১১৩ রান তখন কুলদীপ যাদবের বলে আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায় আইয়ুব। তারপর মাঠে আসে হারিস। কিন্তু শূন্য রান করে সেও আউট হয়ে যায়। তারপর সালমান আলী আগা নামে। তবে ফখার জামান চেষ্টা করছিল খেলাটাকে চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু তারও ইনিংস থামে ৪৬ রান করে। তারপর পাকিস্তানের বেহাল দশা শুরু। একের পর এক আউট হয়ে সাজঘরে সবাই। সবশেষে সব উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়! তো ফাইনালের মতো এমন একটি মঞ্চে এমন রানে টার্গেট দেয়া, এটা টোটালি কমই বলা যায়! তো ভারতের জন্য এটা ইজি চেইস করা বলা যায়। তবে দেখার বিষয় ছিল পাকিস্তান কেমন বোলিং করে! ব্যাটিং করতে নামে আবিশেক শর্মা ও শুভমান গিল। এবারের এশিয়া কাপে হট প্লেয়ারের তালিকায় রয়েছে অভিশেক শর্মা!

অভিশেক শর্মা মাঠে নেমেই তার রীতিমত হার্ড হিটিং ব্যাটিং শুরু করে দেয়। যতক্ষণ থাকে মাঠে রানের বন্যা বয়ে দেয়। পাকিস্তানের বোলারদের টার্গেট হয়তো ছিল অভিশেক শর্মাকে যত তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়ন এ পাঠানো যায়। আর সে কাজটাই করে ফাহিম আশরাফ। দ্বিতীয় ওভারেই অভিশকে শর্মাকে আউট করে সাজঘরে পাঠায়। তারপর মাঠে আসে সুরিয়াকুমার। কিন্তু শাহীন আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে সেও সাজঘরে চলে যায়। কিছুটা চাপে পরে যায় ভারত। তারপর মাঠে আসে তিলক ভার্মা। তিলক ভার্মা আসার পর দলীয় সংগ্রহ যখন ২০ রান তখন শুভমান গিলও আউট হয়ে যায়! তারপর মাঠে আসে সানজু সেমসন! তাকে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে তিলক ভার্মা। কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাটিং করতে থাকে দুজন! কারণ উইকেট ধরে খেলাটা গুুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচে যে ভুলটা করেছিল বাংলাদেশ!

Screenshot_2025-09-29-15-24-37-47.jpg

Screenshot_2025-09-29-15-26-39-64.jpg

screenshot from Asian Cricket Council

ভারতের দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৭ রান তখন সেমসনও আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। আবরারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে সে সাজঘরে ফিরে। তারপর মাঠে আসে শিভম ডুবে! ডুবে আসার পরেই হার্ড হিটিং ব্যাট করতে থাকে। বিশেষ করে হারিসরউফের ওভারটাতেই ভারত খেলাটা তাদের এখানে নিয়ে আসে। শেষ অবধি শিবম ডুবে ও তিলক ভার্মার হাফ সেঞ্চুরির সুবাধে ভারত নবম বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালের শিরোপা তাদের ঘরে তুললো। ম্যন অফ দা ম্যাচ হয় তিলক ভার্মা।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।