লখনৌ সুপার জায়েন্টসের দারুণ জয়!
24-05-2025
১০ ই জৈষ্ঠ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হচ্ছে প্রথম কথা। আমি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। তবে সময়গুলো খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ক্লাস টেস্ট, ল্যাব, রিপোর্ট, টিউশন সব মিলিয়ে মনপ হচ্ছে রোলার চলছে উপর দিয়ে। তবে এ বয়সে চাপ নিতে না পারলে তো হবে না। সামনের সময়গুলো যেন ভালো যায় সেজন্য হলেও চাপ নিতে হবে। কারণ একটা সময় পরে শরীর আর সায় দিবে না। আগেই জানতাম ইঞ্জিনিয়ারিং বহুত প্যারার জায়গা! আশা করছি সে প্যারাটা আস্তে আস্তে সহ্য করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে। তো অনেকদিন পর আইপিএল খেলা নিয়ে আলোচনা করতে চলে এলাম।
আপনারা হয়তো জানেন মাঝে ভারত পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধ হওয়ার কারণে আইপিএল খেলা স্থগিত ছিল। তো পরিস্তিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার শুরু হয়েছে আইপিএল। তো আজকে গুজরাট টাইটান্স ও লখনৌ সুপার জায়েন্টের মধ্যকার দু টিমের ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। তো ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট টাইটান্স। শুভমান গিলের নেতৃত্বে দলটি ভালোই খেলছে। তবে দেখার বিষয় তারা কেমন পারফরর্মেন্স করে। শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে মারকার্ম ও মিচেল মার্শ! দুজনই রাইট হ্যান্ডেড ব্যাটার। তো ইনিংসের শুরুটা দারুণভাবে করে মারকার্ম ও মিচেল মার্শ। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে গুজরাটের বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে দুজনই।
টি-টোয়েন্টিতে পার্টনারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা বড় পার্টনারশিপ হলে খেলার মোড়ই ঘুরে যায়। তো মারকার্ম ও মিচেল মার্শ যে স্টাইলে ব্যাটিং করতেছিল মনে হচ্ছিল তাদের পার্টনারশিপ আর ভাঙবে না। রশিদ খানের ওভারে চার ছয়ের বন্যায় বয়ে দেয় মিচেল মার্শ! লেগ স্পিনারকে খেলা রাইট হ্যান্ডেড ব্যাটারদের জন্য একটু টাফ বলতেই হয়। মিচেল মার্শ যেভাবে মারতেছিল বলকে বলই মনে করছিল না। তবে লখনৌ এর দলীয় সংগ্রহ যখন ৯১ রান তখন কিশোরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে মিড ওনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয় মারকার্ম। এরই মাধ্যমে তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে। আউট হওয়ার আগে মারকার্ম ২৪ বলে ৩৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হয়।
তারপর মাঠে নামে ক্যারিবীয় হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। নিকোলাড পুরান নামার পর দুজনের ব্যাটিং এ যেন আগুন ঝরতে থাকে। নিকোলাস পুরান এমনিতেই কম বল খেলে বেশি রান করে। এবারের আই পি এলে তার ৪১+ ছক্কা হয়েছে! ভাবা যায়! কতো হার্ড হিটার ব্যাটার সে। তো সেদিনই তার ব্যাটিং ঝড় দেখায় নিকোলাস পুরান। পাশাপাশি মিচেল মার্শও দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। মিশেল মার্শ তার আইপিএল এ প্রথম সেঞ্চুরি করে ফেলে। এদিকে নিকেলাস পুরানও হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে। দুজনের রানের সুবাধে খুব সহজেই ২০০+ রান স্কোরবোর্ডে আসে। দলীয় সংগ্রহ যখন ২১২ রান তখন মিচেল মার্শ ব্যক্তিগত ১১৭ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। শেষ অবধি লখনৌ ২৩৫ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।
তো ২৩৫ রান চেইস করে জেতাটা খুবই কঠিন। কারণ ১২০ বলে রান রেইট দশের উপরে করে নিতে হবে। বলতে গেলে চার ছয়ের বন্যা ভাসিয়ে দিতে হবে। গুজরাটের দর্শকরা অবশ্য তাকিয়েছিল শুভমান গিলের দিকে। কারণ শুভমান গিল ভালো করলে জয়ের কাছাকাছি যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। শুরুতেই মাঠে নামে সুধারসন ও শুভমান গিল। ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে দারুণভাবে শুরু করে গুজরাট টাইটান্স। তারপর দুজনই মারমুখী কন্ডিশনে ব্যাট করতে। ওভারপ্রতি ১০ এর মতো রান রেইট নিয়ে আসে দুজন। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৪৬ রান তখন সুধারসন আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে জস বাটলার।
জস বাটলারও মারমুখী ব্যাটার। জস বাটলারকে সাথে নিয়ে গিল দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। রানরেইটটাও ভালো রাখে। তবে দলীয় সংগ্রহ ৮৫ রান তখন শুভমান গিল আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর থেকে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। তারপর মাঠে আসে রাদারফোর্ড। ক্যারিবীয় এ ব্যাটারও হার্ড হিটার। নামার পরেই চার ছক্কা মারা শুরু করে দেয়। এদিকে শাহরুখ খানও দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। তাদের পার্টনারশিপ একটা আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি হয়নি। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৮২ রান তখন রাদারফোর্ড আউট হয়ে যায়। এদিকে শাহরুখ খানও হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যায়। শেষ অবধি গুজরাট টাইটান্স ৯ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় মিচেল মার্শ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share