মিলিত উদ্যোগেই সাফল্য আসে!
18-09-25
০৩ আশ্বিন , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি সুস্থ্য না থাকেন তাহলে কোনো কিছুই আপনার ভালো লাগবে না। তো মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে বছরের পর বছর একসাথে বসবাস করে আসছে। একজন মানুষের একার পক্ষে কখনে একটা সমাজ গঠন করা সম্ভব নয়। সকলের সহযোগিতায় সমাজ গড়ে উঠে। তো সমাজে সকলের সহযোগিতা নিয়েই এক জন মানুষ বেড়ে উঠে। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের সমস্যা থাকবেই। অনেক সময় দেখা যায় সব সমস্যা একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব হয় না। তো সকলের সহযোগিতা নিয়েই আমাদের চলতে হয়। একজনে একটা কাজ করতে যতটা সময় লাগবে দশজনে মিলে ঠিক সেইম কাজটা করতে তার চেয়েও কম সময় লাগবে। এবং দেখা যায় কাজটা অনেক গোছালো ও সুন্দর হয়।
আপনি নরমাল একটা বিষয় চিন্তা করেন। বিয়ের কথায় ধরেন। একটা বিয়ের প্রোগ্রাম সামলানো কিন্তু অনেক ঝামেলার একটা কাজ। সে প্রোগ্রামটা ভালোভাবে শেষ করা একজনের পক্ষে সম্ভব না। বিয়ের বাড়িয়ে বিভিন্ন রকমের কাজ থাকে। গেস্ট রিসিভ করা, বাজার করা, খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা সবমিলিয়ে একজনের পক্ষে মোটেও সম্ভব না। কিন্তু কাজগুলো সহজ হয়ে যায় যখন সবাই সাহায্য করে এবং প্রোগ্রামটাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়। এই যে একে অপরের মিলিত সহযোগিতায় কাজটা সহজ হলো এটার কারণে মানুষ সামাজিক জীব। আবার ধরেন গ্রামে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সংস্কারমূলক কাজ যেগুলো সকলের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করতে হয়। সকলে কাজটা করলে খুব দ্রুতই শেষ করে ফেলা যায়। তো জীবনের যেখানেই আপনি যান না কেন অন্য কারো সাহায্য আপনার লাগবেই। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে, কারো সহযোগিতা ছাড়া আপনি চলতে পারবেন! সেরা আসলে মোটেও সম্ভব হবে না।
আমাদের ভার্সিটিতে একটা প্রোগ্রাম আছে সেটা হচ্ছে ন্যাশনাল ইভেন্ট। রোবটিক টেকফেস্ট-২০২৫। নভেম্বরের দিকে হওয়ার কথা রয়েছে। তো ন্যাশনাল একটা ইভেন্ট দাড়ঁ করানো কঠিন একটা কাজ। তার মধ্যে আমাদের আবার রোবটিক রিলেটেড প্রতিযোগিতা রয়েছে। এ বছর ৮টি সেগমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের টিম সোকার বানানোর প্লেন করেছি। তো এই যে সোকার বানানোর প্লেন করলাম সেটা কিন্তু একার পক্ষে সম্ভব হয় না! আমাদের টিমে সদস্য চারজন। তো চারজনের প্রচেষ্টায় আমাদেরকে কাজটা করতে হবে। আপনি যখন গ্রুপওয়ার্ক কাজ করবেন তখন সেটা আপনার কাছে সহজ লাগবে। তো আমরা মোটামোটি সোকারের একটা ডিজাইন করেছি। এখনও অনেকটা কাজ বাকি। সে কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তো কথাটা এজন্য শেয়ার করা সেটা হচ্ছে মিলিত প্রচেষ্টায় সাফল্য আসে।
আবার আপনি যদি প্রফেশনাল লাইফের কথায় চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন অফিসের কাজগুলো কিন্তু একা কেউ করে না। ধরেন, একটি কোম্পানি একটি প্রজেক্ট হাতে নিল! এখন প্রজেক্ট ম্যানেজারের পক্ষে একা কি সম্ভব প্রজেক্টটাকে সামনে তোলা। এটা কখনোই সম্ভব না আসলে। আপনি দেখবেন প্রজেক্ট ম্যানেজার একেকজনকে একেক রকমের কাজের দায়িত্ব দিয়েছে। যার ফলে হয়কি প্রজেক্টটা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়। আসলে আপনি জীবনের যেখানেই যান না কেন, একা কাজ কমপ্লিট করা খুবই কঠিন! সেটা হোক শিক্ষা ক্ষেত্রে অথবা পেশার ক্ষেত্রে।
দিনশেষে, আমরা যেখানেই থাকি না কেন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন। সকলের সহযোগিতায় পারে কোনো কাজকে সুন্দর করতে। এমনকি সকলের সহযোগিতায় পারে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুন্দর করতে। সহযোগিতার মনোভাবই মানুষকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়! তাই আমাদের উচিত ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানো।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।