মানুষ বদলায় কিন্তু স্মৃতি শেখায়!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হলো সবচেয়ে বড় বিষয়। কিন্তু আমরা কি সবসময় সুস্থ্য থাকতে পারি! মাঝে মাঝে আমরা ভালো থাকতে পারি না। কি যেন একটা মিসিং থেকে যায় জীবনে। আসলে একটা সময় আপনি যাদের সাথে সবচেয়ে বেশি সময় কাটাতেন তারাই দেখবেন জীবনের একটা পর্যায়ে এসে আপনার পাশে নেই। সময়ের সাথে মানুষ বদলায় সাথে মানুষের অনুভূতিও! আপনি ভাবতেন হয়তো তারা আজীবন আপনার পাশেই থাকবে ছায়া হয়ে! আপনি তাদেরকে নিয়েই হয়তো বাচঁবেন। কিন্তু যখন তারা পাশে থাকে না তখনই মনে হয় আপনার উপর পুরো আকাশটাই ভেঙে পরেছে! তারপর কি আপনি তাদের ছাড়া থাকেন নি? অবশ্যই আপনি বেচেঁ থাকবেন। যতদিন আপনার হায়াত আল্লাহ তায়ালা লিখে রেখেছেন ততদিন আপনি বেচেঁ থাকবেন। কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে এসে আপনি শিখে গেলেন কিভাবে একা থাকতে হয়? কিভাবে একা সময়টা পার করতে হয়?
আর যখন আপনি একাকিত্বের মাঝে নিজেকে খুঁজে পাবেন সেটাই হলো আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা! আপনি হয়তো ভাবতে পারেন তারা তো আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেল! কতো প্রিয়জন এ পথের সঙ্গী হয়েছিল! কিন্তু প্রিয়জনদের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো আপনাকে ভাবায় প্রতিনিয়ত। আপনি শিখতে পেরেছেন মানুষ বদলায় সাথে মানুষের অনুভূতিও। হয়তো যারা আপনার প্রিয়জন ছিল তারা ব্যস্ততার জন্য অথবা তারাও আপনার মতো একাকীত্ব কে ভালোবেসে জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। তারাও কিন্তু কোনো এক বিকেলে বসে ভাবে। জীবন কতো বৈচিত্র্যময়! কতো দিন, কতো রাত চলে যাচ্ছে! কিন্তু প্রিয়জনদের সাথে কাটানো সময়গুলো স্মৃতি হিসেবে থেকে যায়! এই যে স্কুল লাইফের কথায় ধরুন না কেন! একজন মানুষের জীবনের বেস্ট সময় আমি মনে করি স্কুললাইফ! স্কুল লাইফের মতো জীবন আর কখনো মনে হয় পাওয়া যাবে না! তখনকার জীবনটাই ছিল অন্যরকম! কতোরকমের অনুভূতি কাজ করতো তখন!
স্কুল লাইফে কতোশত অনুভূতি জমে আছে। তখন ভাবতাম কখন বড় হবো! কখন দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াবো! কিন্তু যখন বয়স বাড়ে তখন চিন্তাও বাড়ে, কাধেঁ দায়িত্বের বুঝাও চলে আসে! অনেক রকমের দায়িত্ব পালন করতে হয়। দায়িত্বের বুঝা বহন না করতে পেরে অনেকে আবার মানসিক সমস্যায় ভুগে। তবে জীবনের শেষ সময়ে এসেও স্মৃতিচারণ করে শৈশবের সময়টাকে। যেটা আজীবন মনে থাকে। মানুষ স্মৃতি নিয়েই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাচেঁ। আপনি শৈশব থেকে ৩০ বছর অবধিই চিন্তা করুন। কতোশত অভিজ্ঞতা আর গল্পের সাক্ষী হতে পেরেছেন আপনি! জীবনের অর্ধেক সময়টা হয়তো শেষ! অনেক অভিমান, অভিযোগ জমা পরে আছে। যার কাছ থেকে এক আকাশ পরিমাণ ভালোবাসা পাওয়ার কথা ছিল, যার সাথে সুখের সংসার করার কথা ছিল তাকে হয়তো পাননি। তবে আপনি শিখেছেন সবাই জীবনে আপন হয় না! আপনি এটাও শিখেছেন পরিবার ছাড়া কেউ পাশে থাকে না, কেউ না!
এই ছোট্র জীবনে আপনার হয়তো অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। জীবনে যা হারিয়েছেন তার থেকে বেশি আপনি শিখেছেন! এজন্য যা হারিয়েছেন তার জন্যও কৃতজ্ঞ থাকুন এবং যা পেয়েছেন তার জন্যও কৃতজ্ঞ থাকুন। জীবন আপনার ভালো থাকার দায়িত্বটাও আপনার। মানুষ স্মৃতি নিয়েই বাচেঁ। আপনার অভিজ্ঞতা আপনারই বড় শিক্ষক! মানুষ বদলায় হয়তো কোনো প্রয়োজন ছাড়াই এটা আপনি যত তাড়াতাড়ি বুঝে যাবেন ততো তাড়াতাড়ি জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।