আফগানদের বাংলাওয়াশ করলো বাংলাদেশ!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ। তো আপনি সুস্থ্য থাকলে সবকিছু করতে ভালো লাগবে। আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর নিয়মিত রাখেন! আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এর মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি তিনটি টি-টোয়েন্টি হয়েছে দুটিতেই বাংলাদেশ দারুণভাবে জয় লাভ করেছে। তৃতীয় ম্যাচটা ছিল বাংলাওয়াশ করার। আফগানিস্তান কে এর আগে কখনো বাংলাওয়াশ করতে পারেনি টি-টোয়েন্টি তে। তো এটাই শেষ একটা সুযোগ বলতে গেলে। বাংলাদেশের পারফর্মেন্স বলতে গেলে খুবই ভালো যাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি তে আফগানিস্তান যথেষ্ট শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়ে আসছে গত কয়েক বছর ধরে।
তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়! মোস্তাফিজকে বসিয়ে শরীফুল ইসলামকে দলে নেয়া হয়। তো টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ! মজার ব্যাপার হলো আগের দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ পরে ব্যাটিং করে রান চেইস করে জিতেছে। এজন্য মূলত বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচেও টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্তটাই নিয়েছিল। শুরুতে ই ব্যাটিং করতে নামে জাদরান ও গুরবাজ। আগের ম্যাচগুলোতে গুরবাজ ও আতাল ওপেনিং এ নেমেছিল। তাদের প্ল্যানিং মেবি পরিবর্তন হয়েছিল। তো আফগানদের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ যখন ২০ রান তখন তানজিদ সাকিবের বলে জাদরান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে আতাল! আতাল নামার পরেই গুরবাজ নাসুমের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। গুরবাজ তিনটা ম্যাচেই তেমনভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। টপ দুই ব্যাটার আউট হয়ে আফগান ব্যাটাররা তখন কিছুটা চাপে। তারপর মাঠে আসে ওয়াফিউল্লাহ!
তো আতাল একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার চেষ্টা করে। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ যখন ৩৯ রান তখন সাইফুদ্দিন এর স্লোয়ার বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। তারপর মাঠে আসে রাসুলি! রাসুলি আসার পর একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে কিন্তু আতাল আউট হওয়ার মাধ্যমে ভাঙে। তারপর ওমরজাই মাঠে নামে কিন্তু তেমন ব্যাটিং করতে পারেনি। আফগানিস্তান এর দলীয় সংগ্রহ যখন ৯৮ রান তখন আট উইকেট হারায় আফগান! তখন অনেকটা প্রেসারে পরে যায় আফগানিস্তান! ভেবেছিলাম হয়তো ১২০ এর আগেই অলআউট হয়ে যাবে। শেষের দিকে মুজিব ও রাসুলির কারণে আফগান ১৪৩ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়! তো আগের দুইটা ম্যাচেই এমন রান করতে পেরেছিল আফগানিস্তান! এটা চেইস করা সহজই বলা যায়। কারণ বাংলাদেশের কনফিডেন্স অলরেডি আছে।
ব্যাটিং করতে নামে তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। দুজনই দারুণ ফর্মে রয়েছ। শুরুটা স্লোলি করে দুজন। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ যখন ২৪ রান তখন পারভেজ ইমন ওমরাজই বলে আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। তারপর মাঠে আসে সাইফ হাসান! সাইফ হাসান নামার পরে তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৯ রান তখন তানজিদ তামিম আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায় বাংলাদেশের রানরেইট তখন আটের মতো প্রায়। তানজিদ তামিম আউট হওয়ার পর জাকের আলী আসে। জাকের আলী এতো বাজেভাবে স্ট্রোক খেলতে থাকে। ফাইনালি সে মুজিবের বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। তারপর সোহান ও সাইফ হাসান চমৎকার ব্যাটিং করে। বিশেষকরে সাইফ হাসানের ছক্কাগুলো চোখে জুড়িয়ে দেয়ার মতো ছিল। শেষ অবধি সাইফ হাসানের ৬৪ রান এর সুবাধে বাংলাদেশ জয় লাভ করে। ৬ উইকেটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
সাইফ হাসান আফগানদের সাথে এই সিরিজে অত্যন্ত দারুণ ফর্মে ছিল শুধু আফগানদের সাথে নয় এশিয়া কাপেও চমৎকার ফর্মে ছিল। যাই হোক অবশেষে টাইগার টিম আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় করেছে জেনে ভালো লাগলো আশা করি আগামীতে আরো ভালো করবে।
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের তিনটি সিরিজ ম্যাচে আমি দেখেছি।তবে বাংলাদেশ আমাদের কে এমন একটি উপহার দিয়েছে যে আমরা কখনো কল্পনা করিনি। যাইহোক তিনটি ম্যাচের খেলা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।