রয়েল চ্যালেঞ্জারর্স ব্যাঙ্গালুরুর সহজ জয়!
31-05-2025
১৪ জৈষ্ঠ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন। তো তারই ধারাবাহিকতায় আজকে চলে এলাম আইপিএল এর প্লে অফের ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। তো আইপিএলে প্রতিবারই হট ফেভারিট হয়ে আসে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু! তাদের টিমে আইকনিক সব প্লেয়ার থাকার পরেও বারাবার শিরোপা জেতার কাছ থেকে ছিটকে যায়। এজন্য অবশ্য খারাপই লাগে। ভিরাট কোহলির মতো একজন প্লেয়ার যে টিমে রয়েছে সে টিমের প্লেয়ারদের কনফিডেন্স লেভেল বলতে গেলে অনেক বেশি থাকে। তবে আরসিবি টিমে যেটা লক্ষ্য করা যায়। সেটা হচ্ছে বোলিং এর দূর্বলতা! ভালো বোলিং না থাকার কারণে তারা বরাবরই হেরে যায়।
তো আমি এবার চেয়েছিলাম আরসিবি ফাইনালে উঠুক। একটা শিরোপা ভিরাট কোহলি ডিজার্ভ করতেই পারে। তো টসে জিতে সেদিন বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আরসিবি। শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে আরিয়া এবং সিং! আরিয়ার ব্যাটিং আগেও দেখেছি। যথেষ্ট ভালো স্ট্রোক প্লেয়ার হাতে জোর আছে বলতেই হবে। ইনিংসের প্রথম ওভার দারুণভাবেই শুরু করেছিল! কিন্তু পরের ওভারেই আরিয়া দয়ালের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। খেলায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটে আরিয়া আউট হওয়ার মধ্যে দিয়ে। তারপর মাঠে আসে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার জস ইংলিশ! জস ইংলিশ মারকুটে ব্যাটার! মাঠে থাকতে পারলে রান আসবে এটা বুঝা যায়। কিন্তু ইংলিশ সেদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। তো ওভারর তৃতীয় ওভারে সিং আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে শ্রেয়াসায়ার। ক্যাপ্টেন এর উপর তখন আলাদা প্রেসার। কারণ হারলেই প্লে অফ থেকে ছিটকে যাবে।
কিন্তু শ্রেয়াসায়র ও ব্যর্থ হয়! জস হ্যাজলহুডের দারুণ ইনসুইং ডেলিভারিতে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচের শিকার হয় শ্রেয়াসায়র। বলতে গেলে পাওয়ারপ্লেতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে যায় পাঞ্জাব! পাওয়ার প্লেতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে পাঞ্জাব! খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ১৫০ রান হবে না! কারণ টপ অর্ডারের ভালো ব্যাটারগুলো আউট হয়ে যায়। তারপরে অনেকটা চাপে পরে যায় পাঞ্জাব। শেষের দিকে ওমরজাই ১৮ রান করে। বাকি ব্যাটাররা দুইয়ের কোটায় নাম লেখাতে পারেনি। শেষের দিকে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব। জস হেজলহুড ও সুয়াশ শর্মা তিনটি করে উইকেট নেয়। তাদের ভালো বোলিং এর সুবাধে ইনিংসটা অনেকটা কম রানেই শেষ হয় পাঞ্জাবের! তো ১০১ রান চেইস করা সহজ বলতে গেলে। শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে সল্ট ও ভিরাট কোহলি। ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল দুজন। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৩০ রান তখন ভিরাট কোহলি আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে আগারওয়াল! আগারওয়াল নামার পর সল্টের ব্যাটিং জাদু শুরু হয়ে। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে বোলারদের চাপে রাখে। ২৭ বলে ৫৬ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে। আট উইকেটে জয়লাভ করে আরসিবি। এরই মধ্যে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখে। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় সুয়াশ শর্মা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পাঞ্জাবকে এতো কম রানে আটকে ফেলে সত্যি চমৎকার।ক্রেডিট টা দিতে হয় ব্যাঙ্গালুরু এর বোলারদের। এবং রানটা খুব সহজেই চেজ করে ফেলে কোহলি রা। আবার সেই ফাইনাল। দেখা যাক অবশেষে ব্যাঙ্গালুরু এবং কোহলি আইপিএল এর শিরোপা জিতে নাকী।
হুমম!! দেখা ফাইনালের হাসি হাসতে পারে কি না।