নাটক রিভিউ || " ভালো থেকো "

আপনাদের সাথে আরো একটি ভিন্ন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। পোস্টে ভিন্নতা আনার জন্য একেক সময় একেক ধরনের পোস্ট করা হয়। আজকে যে নাটকের রিভিউ টি শেয়ার করবো সেই নাটকের নাম হচ্ছে "ভালো থেকো"। নাটকটি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নাটক টি গতকাল রাতে দেখেছিলাম। তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে রিভিউ টা শেয়ার করি। আমি চেষ্টা করেছি পুরো নাটকের গল্পটা সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার। আশা করছি রিভিউটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।

নাটকের প্রথমে দেখা যায় নায়িকা জুতা নিয়ে তার এক্স কে মারছে। সেখান থেকেই শুরু হয়। এমন দৃশ্য নায়ক দেখছে আর ভিডিও করছে। এমন সময় নায়িকা তার ব্যাগটা ফেলে রেখে চলে যায় ভুলে। এরপর নায়ক আর তার বন্ধুরা মিলে ব্যাগটা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে তারা খুঁজেও পায় তাকে। এভাবেই তাদের দুজনের দেখা হয়। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। কিছুদিন প্রেম করার পর তারা বিয়ে করে ফেলে।

বিয়ের পর বেশ কিছুদিন তাদের মধ্যে খুব সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিল। দিন যেতে যেতে তাদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়। নায়িকা হঠাৎ করে একদিন অসুস্থ হয়ে যায় এবং সে বলে ডাক্তারের চেকআপের জন্য যাবে তবে নায়ক তাকে সে সময়টুকু পর্যন্ত দিত না। সব সময় নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। এই ব্যাপার গুলোর কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। নায়িকা নিজে নিজে ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানতে পারে তার থাইরয়েড ক্যান্সার রয়েছে। আর এটার জন্য সে খুব বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারবে না। তবে সে তার রোগের কথা কাউকে জানায় না। নিজের মধ্যে রেখে দেয় কথা গুলো। এভাবে যতদিন যাচ্ছিল তাদের মধ্যে আরো দূরত্ব তৈরি হয় এবং অনেক রকমের ভুল বোঝাবুঝি হয়।

তার কিছুদিন পর নায়কের জন্মদিনে নায়িকা তাকে জানায় যে সে প্রেগনেন্ট। তবে নায়ক এটা শুনে খুশি না হয়ে উল্টো রাগ করে। এরপর নায়িকা সবকিছু খুলে বলে। সে তার রোগের কথা ও তখন বলে দেয়। এটা শুনে নায়ক অনেক বেশি ভেঙে পড়ে। তবে সেদিন থেকে সে নায়িকার অনেক কেয়ার করতো। তারপর তাদের একটা মেয়ে হয়। সেদিনই হসপিটালে নায়কও অসুস্থ হয়ে যায়। তারপর নায়িকা জানতে পারে যে তার মতো নায়কেরও একটা অসুখ রয়েছে যেটা সে গোপন করে রেখেছিল। আসলে সে চাইনি এই কথাগুলো বলে নায়িকা কে কষ্ট দিতে। সে গোপনে চেয়েছে সে মারা যাওয়ার পরে যেন নায়িকার চলাফেরা করতে কোন রকমের অসুবিধা না হয়। নায়ক তার সব সম্পত্তি নায়িকার নামে লিখে দেয়। তবে নায়িকা হিসেবে কিছুই জানতো না। হসপিটালে দুজনে দুজনের কথা জেনে খুবই কষ্ট হয় এবং নিজেদেরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে। এভাবে নাটকটা শেষ হয়।

সকল ছবি মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া।

বরাবরই একটু ভিন্ন ধরনের গল্পের নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভালো লাগে। এটাও সেরকম একটা গল্প ছিল। নাটকটা একদমই নতুন। তবে গল্পটা সত্যি অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে তারা খুব সুন্দর ভাবে অভিনয় করেছে। আসলে বাস্তব সমাজের কিছু চিত্র ফুটে তোলা হয়েছে এখানে। আমরা অনেক সময় মানুষের বাইরে থেকে যেটা দেখি ভিতরে সেরকম কিছু নাও হতে পারে। আমরা সবাই চেষ্টা করে নিজেদের কষ্টগুলো লুকিয়ে রাখতে এবং আমাদের কাছের মানুষ এবং ভালোবাসার মানুষকে ভালো রাখতে। মোটামুটি এই ব্যাপারগুলো নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।