লাইফ স্টাইল :- বিয়েতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পাশের বাড়ির ছোট ভাইয়ের বিয়েতে দাওয়াত খাওয়ার মুহূর্ত। দুই তিন দিন আগে আমাদের পাশের বাড়ি একটি ছোট ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে। যদিও বিয়েটি চৌধুরীহাট কমিউনিটি সেন্টারে হয়েছে। আর আমার বাড়ির পাশে ছোট ভাই বিদায় বিয়েতে আমাদের কে নিমন্ত্রণ করলেন। আবার বরের বড় ভাই আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর বর দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন বিদায় হুট করে বিয়ে ঠিক করেছেন। আর চৌধুরী হাট কমিটির সেন্টার আমাদের বাড়ি থেকে তেমন দূরে না। পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে। আমি যখন মাদ্রাসা থেকে আসলাম তখন বিয়েতে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলাম।
তারপর আমি আর আমার চাচাতো ভাই আমরা একটি অটো রিক্সা নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে চলে গেলাম। এবং ওইখানে যাওয়ার পর খুব ভালো লাগলো আমার প্রিয় বন্ধু সজীব ও বিয়েতে আসলেন। সজীবকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেকদিন পর প্রিয় বন্ধু সজীবকে দেখতে পেলাম। দুইজনে অনেকক্ষণ ভালো সময় কাটালাম। এরপর সজীব বলতে লাগলো বরের বড় ভাই তাকে বিয়েতে দাওয়াত দিলেন। এবং আমাকেও বরের বড় ভাই বিয়েতে দাওয়াত দিলেন। এরপর অনেকক্ষণ আমরা ঘোরাঘুরি করলাম। যদিও দুই পক্ষের লোক একসাথে আসার কারণে খাওয়া-দাওয়া খেতে অনেক ঝামেলা হয়েছে। তারপর আমি আর বন্ধুর সজীব সবাই মিলে একসাথে খেতে বসলাম একই টেবিলে।
আমার পাশে আমার জ্যাঠাত ভাই বসলো। তবে ওইখানে খাওয়া-দাওয়া গুলো খুব ভালো হয়েছে খেতেও বেশ মজা লেগেছে। আর কিছুদিন যাবত আমি অসুস্থ এই কারণে খাওয়াগুলো খেতে একটু কষ্ট হয়েছে আমার। খাওয়া দাওয়া করে আবার আমরা অনেকক্ষণ ওইখানে ছিলাম। তবে আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত ওইখানে ছিলাম ওই সময় পর্যন্ত বর আসে নাই কমিউনিটি সেন্টারে। তবে অনেকে অপেক্ষা করতে লাগলো বর এবং বউকে দেখার জন্য। তবে ওই সময় পর্যন্ত বর এবং কনে কেউ আসে নাই কমিউনিটি সেন্টারে। আর যাদের বিয়ে তাদেরকে না দেখেই আমরা খাওয়া-দাওয়া খেয়ে ফেললাম। এখন কিন্তু বেশিরভাগ বিয়ে শাদি গুলো কমিউনিটি সেন্টারে হয়।
কারণ অনেকে মনে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে কষ্ট হয়। এই কারণে কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে হলে কষ্ট থেকে বাঁচা যায়। আমার অনেকে কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের পক্ষে থাকে না। তারা মনে করে বাড়িতে অনুষ্ঠান করলে সবাই আনন্দ করতে পারবেন। আবার কিছু মানুষ মনে করে কমিউনিটি সেন্টারে করলে তাদের জন্য ভালো। আর ওই দিন বিয়েতে প্রায় দুই পক্ষের ৫০০ জন লোক হয়েছে। ছোট্ট একটি জায়গার মধ্যে লোক একত্রিত থাকার কারণে গরম বেশি ছিল। কারণ সবাই খাওয়া দাওয়া করে পরিচিত লোকদের সাথে কথা বলতে বলতে দাঁড়িয়ে থাকে ওইখানে। আর আমরা খাওয়া-দাওয়া করে নিচে চলে আসলাম।
আমার প্রিয় বন্ধু সজীব সহ চা এবং পান খেলাম। আমরা বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কমিউনিটি সেন্টারে ছিলাম। তখন দেখি গেটের মধ্যে শরবত ও মালা নিয়ে আসলো। আর ওই সময় বর সবেমাত্র আসতে লাগলো। তারপর আমি আর আমার বন্ধু সজীব ওইখান থেকে চলে আসলাম কমিউনিটি সেন্টার থেকে। এই কারণে বর এর ফটোগ্রাফি করতে পারি নাই। সত্যি বলতে পাশের বাড়ির ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে অনেক ভালো লাগলো। কারণ পরিচিত অনেক লোকের সাথে ঐদিন দেখা হল। আর ছোট ভাইয়ের নতুন জীবন যেন সুন্দর হয় এই দোয়া করলাম। আশা করি আমার পোস্ট দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1946200630500184407?t=Xh5BLeP9VqbkD-mCZ3f8fQ&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1946198494718660677?t=_Spp4BOUvIsBsIrwJFo-nA&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1946199049063088433?t=I5KqqP4UTETg2q5oOwdNrw&s=19
বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে খুবই ভালো লাগে। আর সবার সাথে অনেক বেশি আনন্দ করা যায় না। ভাই আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো।
বর্তমানে বেশিরভাগ বিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে হয়। আপনি দেখছি পাশের বাড়ির ছোট ভাইয়ের বিয়েতে গেলেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে কমিউনিটি সেন্টারের পরিবেশ অসাধারণ। আর এখনকার বিয়ে গুলোতে খাওয়া-দাওয়া কিন্তু চমৎকার করা হয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।