লাইফ স্টাইল :- বিয়ে খেতে যাওয়া মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব রমজান মাসে বোনের দেবরের বিয়ে খেতে যাওয়ার মুহূর্ত। আর ও বিগত কয়েক মাস আগে রমজানের সময় আমি বিয়ে খেতে গেলাম তালতো ভাইয়ের। মূলত সেই বিদেশ থেকে আসলো হুট করে রমজানের সময় বিয়ে করলেন। কারণ রমজানের সময় বিয়ে করে ঈদের পরে সে অনুষ্ঠান করবে। এই কারণে লোকসংখ্যা খুব কম গিয়েছে। আর তালতো ভাইয়ের সাথে প্রথম দেখা বিদেশ থেকে আসার কারণে। বিয়েতে আমাকেও দাওয়াত দিল। আর আমি যখন বিদেশ ছিলাম তখন সে দেশে ছিল। আর আমি দেশে আসার আগে সেই বিদেশ গেল। এই কারণে তার সাথে আমার দেখা হয় নাই। আর তার বিয়ের দিন প্রথম তার সাথে আমার দেখা হল।

তবে আমি চারটা বাজে আমাদের বাড়ি থেকে বাইর হলাম। আর তালতো ভাইয়ের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে তিন-চার কিলোমিটার দূরে। প্রথমে তাদের বাড়িতে গেলাম তারপর সবাই একসাথে মেয়েদের বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর মেয়েদের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূর এবং গ্রামের বাড়ি থেকে অনেক দূর। আর গাড়ি করে আমরা ইফতারের আগে চলে গেলাম। আর ওইখানে গিয়ে আমরা বেশিক্ষণ বসতে পারলাম না। আর ইফতার হয়ে যাওয়ার কারণে তাড়াতাড়ি আমাদেরকে ইফতার দিয়ে দিল। আর আমরাও অল্প কিছু মানুষ যাওয়ার কারণে সবাইকে একসাথে বসালেন। এরপর প্রথমে আমাদেরকে ইফতারি দিয়ে দিলেন তারা।

আর তারা ইফতারি দেওয়ার সাথে সাথে ওই সময়ে বিয়ে টি সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। আর ওই সময় বহুদূর থাকার কারণে তাড়াতাড়ি ইফতারের আগে বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। তারপর আমরা আযান দেওয়ার সাথে সাথে একসাথে বসে সবাই ইফতার করলাম। সত্যি রমজানের সময় ইফতার করতে অনেক মজা লাগে। আর সবাই একসাথে ইফতার করে তারপর আমরা তাদের বাসার ছাদের উপরে নামাজ আদায় করলাম। ইফতার খাওয়ার পর পর ভাত খেতে অনেকে পছন্দ করে না। আর আমরা বিয়েতে দূরে এলাকা থেকে যাওয়ার কারণে তারা নামাজের পরপর আমাদেরকে আবার খাওয়া-দাওয়া দিয়ে দিলেন। আর বিয়ে বাড়িতে গেলে তো খাওয়া দাওয়ার কোন কমতি থাকে না।

আর ওই সময় আমরা বসে আবার খাওয়া-দাওয়া শুরু করলাম। আর খাওয়া-দাওয়া করার পর বিয়ের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে লাগলো। তালতো ভাই বিয়েতে কিন্তু একটু লাজুক ছিল। জীবনে প্রথম বিয়ে এ কারণে অনুভূতি তো অন্যরকম আসবে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে তালতো ভাই তার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছেন। কারণ বিদেশ থাকা অবস্থা তার ওয়াইফের সাথে কথা বলতেন এবং পছন্দ করেছেন। এই কারণে বিদেশ থেকে আসলেন এক মাসের ছুটিতে। আর বাড়িতে আসার তিন চারদিন পরে তার বিয়ের তারিখ পড়েছেন। সত্যি বলতে তালতো ভাইয়ের বিয়ে খেতে গিয়ে অনেক ভালো লাগলো। এবং সবাই একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করলাম অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম।

আর তার শশুর বাড়ি এলাকা চারপাশে জায়গা আছে ঘোরার। আর তালতো ভাই বিয়ের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার পর একসাথে আমরা বউকে নিয়ে চলে আসলাম। যদিও বিয়ে-শাদীতে গেলে একটু সময় নিয়ে যেতে হয়। সত্যি ঐদিন আমরা বিয়েতে গিয়ে অনেক খাওয়া-দাওয়া করলাম এবং ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। তবে তালতো ভাইয়ের সাথে বিয়েতে পরিচয় হওয়ার কারণে সে অনেক সুন্দর করে কথা বললে এবং আপনি এসেছেন অনেক আমি অনেক খুশি হয়েছি। যদিও তালতো ভাই আমাদের বয়সে অনেক ছোট। আর রাত্রেবেলা বিয়ে খাওয়ার এটি আবার প্রথম। কারণ দিনের বেলা বিয়ে অনেক খেয়েছি। রাত্রে বেলা খাওয়া-দাওয়া হয়নি বিয়ের। যাইহোক তালতো ভাইয়ের বিয়ের পোস্ট দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।