গল্প :-কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করতে নেই। (শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজ গল্পের শেষ পর্ব শেয়ার করেছি। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
যদিও ওই সময় আবুল কালাম মিয়া জীবিত আছে। আবুল কালাম মিয়া বন্ধু ছেলেকে বলতে লাগলো জায়গা সম্পত্তি গুলো আমার তুমি কি বলো এগুলো। তখন ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে বলতে লাগলো জায়গার সম্পত্তিগুলো সে কিনেছে এবং তার কাছে দলিল আছে। তখন আবুল কালাম মিয়া বলতে লাগলো এই জায়গা সম্পত্তিগুলো আমি তোমার বাবাকে বলেছি এগুলো ঠিক করার জন্য। আর এ জায়গা সম্পত্তিগুলো তোমার নামে কিভাবে হলো। তখন ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে দেলোয়ার বলতে লাগলো এত কিছু আমি জানিনা সম্পত্তিগুলো আমার আপনারা ছেড়ে দিতে হবে। এবং দলিল ও ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলের নামে।
এই কথা যখন সঠিকভাবে জানতে পারল আবুল কালাম মিয়া সাথে সাথে স্টোক করে ফেলেছেন। যখন স্টোক করে হাসপাতালে গেল বারবার লোকটির জায়গা সম্পত্তির কথা বলতে লাগলো। কারণ সারা জীবনের ইনকাম ও তার বাবার জায়গা এইখানে আছে। আর বন্ধুকে বিশ্বাস করে জায়গাগুলো ঠিক করার জন্য বলে এখন বড় বিপদে পড়লেন। আবুল কালাম মিয়া যখন সুস্থ হলেন তখন ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলের সাথে বসলেন। আর ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে বলতে লাগলো আমি এত কিছু জানি না সম্পত্তিগুলো আমার। আপনি যদি আপনার বন্ধুকে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন তাকে কবরে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন। তবে আমার সম্পত্তি আমি আপনাদেরকে দেব না।
এই নিয়ে দুই ফ্যামিলির মধ্যে অনেক ঝগড়া হলো। হঠাৎ করে একদিন রাত্রে আবুল কালাম মিয়া আবারও স্টোক করে ঘুমের মধ্যে মরে রইলো। আর এই সম্পত্তির কারণে আবুল কালাম মিয়া জীবন দিতে হলো কষ্টের মাধ্যমে। কারণ আবুল কালাম মিয়া তার বন্ধুকে সম্পত্তি দেয় নাই। হয়তোবা সম্পত্তির ঠিক করার জন্য বলেছিল। আর আবুল কালাম মিয়া বন্ধুকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করার কারণে তার আজকে অবস্থা হয়েছে। যদিও আবুল কালাম মিয়া মারা গেল। কিন্তু তার বিশ্বাসের কারণে তার ছেলেমেয়েগুলো আজ রাস্তায় পড়ে গেল। আর এত কিছুর পরও ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলের দেলোয়ার তার জায়গা সম্পত্তি গুলো দখল করে নিলেন।
পরবর্তীতে এলাকার আরো কিছু লোক মিলে দেলোয়ার কে বলতে লাগলো তাদের বাড়িটি যেন তার কাছে বিক্রি করে। কারণ এটি তার বাবার জায়গা এবং তাদের কাছে যেন বিক্রি করে। তবে ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলের দেলোয়ার মানুষ হিসেবে ভালো না। সেই বলতে লাগল এই বাড়ি আমার এবং এই বাড়ি আমি তাদেরকে দেব না। পরবর্তীতে আবুল কালামিয়া ছেলেগুলো যখন আইনের আশ্রয় এবং অন্যান্য লোক দিয়ে ঝামেলা করতে লাগলো। এরপর ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলের দেলোয়ার তাদের কাছে তাদের বাড়িটি বিক্রি করলেন। আর বাইরের অন্যান্য সম্পত্তি গুলো সব দেলোয়ার পেয়ে গেলেন। তবে এসব কষ্টগুলো জীবনে মৃত্যুর আগে ভুলতে পারেনা।
যেমনটি আবুল কালাম মিয়া তার সম্পত্তির শোক করে স্ট্রোক করে মারা গেলেন। কারণ আবুল কালাম মিয়া তার বন্ধুর মিষ্টি ব্যবহারে তাকে বিশ্বাস করেছিল। আর তার বন্ধু তার সেই বিশ্বাস রাখতে পারে নাই। জায়গা সম্পত্তি ঠিক করতে দায়িত্ব দেওয়ার কারণে সে তার বড় ছেলের নামে জায়গা সম্পত্তি গুলো করে ফেলেছেন। আর এই জায়গা সম্পত্তির কারণে একটি পরিবার সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে গেল। যদিও ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে এই জায়গা সম্পত্তি গুলো ধরে রাখতে পারে নাই। সম্পত্তিগুলো পাওয়ার পর সেই কয়েক বছরের মধ্যে জায়গা সম্পত্তি গুলো বিক্রি করে খেয়ে ফেলেছেন। আর এখন ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। আর বলতে গেলে এখন সেই কোন জায়গা সম্পত্তির মালিক নেই। আর তার ছেলেগুলো এখন অমানুষ হয়েছে। দেলোয়ার কে ছেলেগুলো দেখতে পারেনা। এই হচ্ছে কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করার গল্প কাহিনী। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1940754380078403691?t=Im_5Shu_tDZ59PLMZGyaIQ&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1940457172342878251?t=GpaVeAVSaCDEIEBZepghiQ&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1940641607617073500?t=n0sMwNrLnNyE8tOmHl4vSA&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1940642018809860392?t=DIVzbjX6uW1irEIEVvIC3A&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1940642517281919096?t=aX6a8rK3ofbcFOVBNmyAnQ&s=19
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া অতিরিক্ত বিশ্বাস করলে অনেকেই এমন ঠকতে হয়।এটা সত্যি বলেছেন হয়তো বন্ধুকে সম্পত্তি ঠিক করতে দিয়েছি কিন্তু একেবারে দিয়ে দেয় না।তাই আমাদের সবার উচিত কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করা উচিত নয়। বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1940822087700304129?t=p3-xalMt211fro83s-u9Xg&s=19
🎉 Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem ecosystem.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। এটি ঠিক কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করতে নেই। আর আবুল কালাম মিয়া তার বন্ধু ইউসুফকে বিশ্বাস করেছেন। আর সেই সুবাদে ইউসুফ মিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তবে এই সম্পত্তিগুলো ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলেও ধরে রাখতে পারে নাই। এসব মানুষগুলোকে সমাজের মানুষগুলো দেখতে পারে না। আর মন থেকে এই সব মানুষগুলোকে মানুষ ঘৃণা করে।