পারিবারিক আর্থিক পরিকল্পনা: বউ-বাচ্চার থাকা অবস্থায় কিভাবে সঞ্চয় করবেন।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকে আপনাদের জন্য খুবই সুন্দর একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি জানি এই ব্লগ যারা পড়বেন তারা আমাকে নিয়ে হাঁসাহাঁসি করবেন। হাঁসাহাঁসি করার জন্যই ব্লগটি লিখতেছি। কারণ জীবনে বিনোদনের দরকার আছে। অনেকেই কথাগুলো বলতে পারেনা আমি সাহস করে বললাম।
পরিবার মানেই দায়িত্ব। বিশেষ করে বিয়ের পর যখন সংসারে স্ত্রী ও সন্তান যুক্ত হয়, তখন আয়-ব্যয়ের সমীকরণ অনেকটাই বদলে যায়। একসময় যে অর্থে নিজের শখ পূরণ করা সম্ভব ছিল, এখন সেই অর্থ দিয়ে পুরো পরিবারের খরচ সামলাতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় মাসের শুরুতে হাতে টাকা এলেও শেষের দিকে এসে হিসাব মেলে না। তাই সংসার চালানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা অত্যন্ত জরুরি।
সঞ্চয়ের প্রথম ধাপ হলো আয় ও ব্যয়ের হিসাব রাখা। যদিও এটা অনেক কঠিন। বেশিরভাগ মানুষই মাসে কত টাকা খরচ হয়, সেটা জানেন না। অথচ প্রতিটি টাকার হিসাব রাখলে অপ্রয়োজনীয় খরচ চোখে পড়ে এবং সহজেই কমানো যায়। এজন্য একটি ছোট খাতা বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে মাসের শেষে বোঝা যায় কোথায় বেশি খরচ হচ্ছে এবং কোন খাত থেকে সঞ্চয়ের সুযোগ আছে।
পরিবারে অনেক সময় ইচ্ছার খাতিরে এমন কিছু খরচ হয় যেটা আসলে প্রয়োজনীয় নয়। যেমন হুটহাট বাইরে খাওয়া, অপ্রয়োজনীয় শপিং, বা বিলাসী জিনিস কেনা। অন্যদিকে ভাড়া, খাবার, সন্তানের পড়াশোনা ও চিকিৎসার মতো খরচগুলো অপরিহার্য। তাই সবসময় আগে প্রয়োজনীয় খরচ মিটিয়ে পরে ইচ্ছার খরচ করা উচিত। এই অভ্যাস তৈরি করতে পারলেই সঞ্চয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমি অনেক চেষ্টা কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছি। আশা করি আপনারা সফল হবেন।
অনেকেই মনে করেন আজ বাঁচাই, কাল দেখবো এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সঞ্চয় মানে শুধু টাকা জমিয়ে রাখা নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য লক্ষ্য স্থির করা। যেমন-
মাসিক আয়ের কমপক্ষে ১০–১৫% সঞ্চয় করা।জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য একটি Emergency Fund তৈরি করা। সন্তানের পড়াশোনা বা ভবিষ্যতের জন্য আলাদা সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট রাখা।লক্ষ্য নির্দিষ্ট হলে সঞ্চয় করতে মোটিভেশনও বাড়ে।
বিনিয়োগ ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা। শুধু সঞ্চয় করলেই হবে না, টাকাকে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট, সঞ্চয়পত্র, জীবন বীমা কিংবা মিউচুয়াল ফান্ড হতে পারে নিরাপদ অপশন। ঝুঁকি নিতে পারলে শেয়ার মার্কেট বা ক্রিপ্টোতে ছোট পরিসরে বিনিয়োগ করা যায়, তবে তা অবশ্যই সচেতনভাবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার জন্য এসব বিনিয়োগ ভবিষ্যতে পরিবারকে আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে।
আর্থিক পরিকল্পনা শুধু একজনের দায়িত্ব নয়। বউকে সেভিংস পরিকল্পনায় যুক্ত করলে খরচে শৃঙ্খলা আসে। আবার সন্তানদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ের গুরুত্ব বোঝালে তাদের মধ্যেও সচেতনতা তৈরি হয়। পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নিলে একদিকে খরচ কমে, অন্যদিকে সঞ্চয়ের পথ সুগম হয়।
বউ-বাচ্চার সংসার মানেই অনেক খরচ, অনেক দায়িত্ব। কিন্তু তাই বলে সঞ্চয় করা অসম্ভব নয়। নিয়মিত হিসাব রাখা, প্রয়োজনীয় খরচকে অগ্রাধিকার দেওয়া, লক্ষ্যভিত্তিক সঞ্চয় এবং সঠিক বিনিয়োগ। এই চারটি বিষয় মেনে চলতে পারলে সহজেই একটি পরিবার আর্থিকভাবে নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে। মনে রাখতে হবে, টাকার পরিমাণ বড় বিষয় নয়, বিষয় হলো অভ্যাস। আজ থেকেই ছোট ছোট অঙ্কে সঞ্চয় শুরু করলে আগামী দিনের জন্য বড় স্বস্তি নিশ্চিত হবে।
পুশ কয়েনে ইনভেস্ট করতে পারলে ভবিষ্যতে আলোর মুখ দেখবেন। আমি আমার চিন্তাভাবনা থেকে কথাগুলো বললাম। বাকিটা আপনাদের ইচ্ছে। জোর করে কোন কিছু হয় না। যেকোনো কাজ মন থেকে ভালোবেসে করলে অবশ্যই সফলতা আসে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
সবচেয়ে ভালো লেগেছে আপনি মজা করে শুরু করেও শেষে খুব গুরুতর ও প্রয়োজনীয় বার্তা দিয়েছেন। আসলেই পরিবার মানেই দায়িত্ব, আর দায়িত্বশীল হতে গেলে সঞ্চয় ও পরিকল্পনা ছাড়া উপায় নেই।
এক কথায়, আপনার ব্লগ শুধু পড়তে ভালোই লাগলো না, বরং অনেকের জীবনে কাজে লাগবে।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।