পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ – দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সমতায় ফিরলো ক্যারিবিয়ানরা।

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।

পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ এবং নাটকীয়তায় ভরা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় বৃষ্টির ব্যাঘাতে প্রভাবিত হয়ে, যা শেষ পর্যন্ত ডিএলএস পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এটি ছিল ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ, এবং তারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে দারুণভাবে জয় ছিনিয়ে নেয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তান ব্যাটিং শুরু করে কিছুটা সতর্ক ভঙ্গিতে। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা ক্যাপ্টেন বাবর আজম মাত্র ৩ বল খেলেই শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরে যান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইম আয়ুব ২৩ রান করেন সে ৩১ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কা হাঁকায়। অন্য ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকও ২৬ রানে থামেন ৪০ বলে, ৩ চারে।

Screen short form Tapmad

মধ্যবর্তী সময়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৬ সালমান আগা ৯ এবং হুসাইন তালাত ৩১ রান করো কিছুটা সংগ্রহ করলেও বড় কোনো পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি। শেষদিকে হাসান নবাজ ৩৬ রান করে ৩০ বলে। সে ৩টি চার, ২ ছক্কা হাঁকায়। সে পাকিস্তানকে কিছুটা ভরসা দেন।

৩৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭১ রান। তখনই বৃষ্টি শুরু হয় এবং ম্যাচ দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে।

ডিএলএস টার্গেট ও দ্বিতীয় ইনিংস

বৃষ্টির কারণে ওভারের সংখ্যা কমিয়ে ৩৫ ওভারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়, যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৮১ রান। লক্ষ্যটা ছোট দেখালেও, পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ এবং পিচের অবস্থা ম্যাচটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলতে পারত। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের পরিকল্পনা মেনে ব্যাটিং করে জয় নিশ্চিত করে।

Screen short form Tapmad

শুরুটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ভয়াবহ ছিল। ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং মাত্র ১ রানে এবং এভিন লুইস ৭ রানে আউট হন। দুজনকেই তুলে নেন হাসান আলি। এরপর কেসি কার্টি ধীরে খেলতে থাকেন। সে ১৬ রান করে ৪২ বলে। তিনিও বেশি দূর এগোতে পারেননি।

ক্যাপ্টেন শাই হোপ ৩২ রান করেন ৩৫ বলে। তার ব্যাট থেকে ২টি চার, ১ ছক্কা আসে এবং ইনিংসকে স্থিতি দেন। তবে আসল ধাক্কাটা দেন শেরফেইন রাদারফোর্ড ৩৩ বলে ৪৫ রান করে। যেখানে ছিল ৪টি চার ও ৩ ছক্কার ঝড়ো ব্যাটিং। শেষদিকে রোস্টন চেজ অপরাজিতা থেকে ৪৯ রান করে ৪৭ বলে। এবং জাস্টিন গ্রিভস ২৬ রানে করে ৩১ বলে। তারা ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে দলকে ৩৩.২ ওভারে জয় এনে দেন।

পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলি শুরুতে দারুণ বোলিং করে ২ উইকেট নেন, আর মোহাম্মদ নবাজও ২ উইকেট শিকার করেন। তবে মাঝ ও শেষের ওভারগুলোতে পাকিস্তানি বোলাররা রান চাপে রাখতে ব্যর্থ হন।

Screen short form Tapmad

বৃষ্টির পর লক্ষ্য কমে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সহজ হয়ে যায়। রাদারফোর্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিং পাকিস্তানের বোলারদের পরিকল্পনা ভেঙে দেয়।রোস্টন চেজের ঠান্ডা মাথার ইনিংস জয়ের পথে বড় ভূমিকা রাখে।

প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ৫ উইকেটে জেতার পর সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ছিল। কিন্তু এই জয়ের মাধ্যমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনে ১-১। এখন তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়াল সিরিজ নির্ধারণী ফাইনাল, যা নিঃসন্দেহে দুই দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা সিরিজ ছাড়ার পক্ষে নয়। পাকিস্তান যদিও শুরুতে ভালো বল করেছে, কিন্তু ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা এবং শেষ ওভারগুলোতে বোলিং নিয়ন্ত্রণের অভাব তাদের ম্যাচ হারিয়ে দেয়। বৃষ্টি এই ম্যাচে বড় ভূমিকা রেখেছে, তবে কৃতিত্ব দিতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের, যারা চাপের মুহূর্তেও জয়ের পথ খুঁজে নিয়েছে।

এখন চোখ থাকবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের দিকে, যেখানে দুই দলই ট্রফি জিততে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এই ম্যাচটি যেমন দর্শকদের উত্তেজিত করেছে, তেমনি সিরিজের শেষ ম্যাচে আরও বড় উত্তেজনা অপেক্ষা করছে।

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

Click Here For Join Heroism Discord Server

💖💖💖সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖