সিরিজের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল: পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
ক্রিকেট মানেই অনিশ্চয়তা, উত্তেজনা আর নাটকীয়তার এক অপার মঞ্চ। ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচটি যেন তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। এই ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী, দুই দলই একটি করে ম্যাচ জিতে সমতায় ছিল। তাই শেষ ম্যাচটি হয়ে ওঠে অলিখিত ফাইনাল। আর সেই ফাইনাল ম্যাচে ১৩ রানের দুর্দান্ত জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় পাকিস্তান।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তাদের শুরুটাই ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার, সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আয়ুব মিলে ইনিংসের ভিত গড়ে দেন অসাধারণভাবে।
সাহিবজাদা ফারহান খেলেন ৫৩ বলে ৭৪ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৩টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কা। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৯.৬২, যা পাওয়ারপ্লে থেকে মাঝের ওভারগুলোতে গতি এনে দেয় পাকিস্তানকে।
অপরপ্রান্তে সাইম আয়ুব ও পিছিয়ে ছিলেন না। ৪৯ বলে করেন ৬৬ রান, যেখানে ছিল ৪টি চার এবং ২টি ছক্কা। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৪.৬৯।
এই দুই ব্যাটারের জুটি পাকিস্তানকে এনে দেয় এক শক্ত ভিত্তি। ইনিংসের শেষ দিকে হাসান ১৫ রান, খুশদিল শাহ ১১ রান, এবং ফহিম আশরাফ ১০ রানের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলেন। সবমিলিয়ে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ১৮৯ রান ৪ উইকেটে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জবাব এবং লড়াকু মানসিকতা দেখতে পায়। ১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজও ভালো শুরু করে। উইকেটকিপার জসুয়া অ্যান্ড্রু ১৫ বলে করেন ২৪ রান ৩টি চারের সাহায্যে। তবে দলের মূল ভরসা হয়ে ওঠেন আথানাজে, যিনি মাত্র ৪০ বলে ৬০ রান করে দলকে জয় পেতে সম্ভাবনার কাছাকাছি নিয়ে যান।
তার ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি চমৎকার বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কায়। কিন্তু ইনিংসের মাঝপথে আউট হয়ে গেলে চাপ পড়ে দলের উপর। শার্ফানে রাদারফোর্ড অবশ্য সেই চাপ কিছুটা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন ৩৫ বলে ৫১ রান করে ৪টি চার, ৩টি ছক্কায়। কিন্তু অন্যপ্রান্তে শাই হোপ মাত্র ৭ রান করে আউট হন এবং জেসন হোল্ডার ২ বলে ০ রান করে ফিরলে ম্যাচ আবার পাকিস্তানের দিকে মোড় নেয়।
রোস্টন চেজ অবসর নিয়ে মাঠ ছাড়েন ১৫ রান করে, আর শেষ পর্যন্ত রোমারিও শেফার্ড ৪ রান করে অপরাজিত থাকলেও দলের জয় আর আসেনি।
যেখানে ব্যাটাররা রান করে দিয়েছেন, সেখানে পাকিস্তানের বোলাররাও দায়িত্বশীল ছিলেন। হাসান আলী এবং হারিস রউফ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেন। তরুণ সাইম আয়ুব শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও অবদান রাখেন। আশ্রাফ, সুফিয়ান মুকিম নিজেদের ওভার গুলো ভালোভাবে ব্যবহার করেন এবং রান আটকে রাখেন।
ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল রাদারফোর্ডের আউট। তার উইকেটটি যখন পড়ে, তখন জয় থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ২০-২৫ রান দূরে ছিল ১৫-১৬ বল হাতে রেখেই। সেই সময় রানের গতি থেমে যায় এবং পাকিস্তান তাতে ম্যাচে ফিরে আসে।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ১৩ রানে জয় লাভ করে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয়। এই ম্যাচটি ছিল তরুণ ও অভিজ্ঞদের মিলিত প্রচেষ্টার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ফারহান-আয়ুবের ব্যাটিং, রউফ-আলীর বোলিং ও দলের একতাবদ্ধ খেলাই এনে দেয় এই জয়।
ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি ছিল এক নিঃশ্বাসে উপভোগ করার মতো ম্যাচ। যারা সরাসরি ম্যাচটি দেখতে পারেননি, তাদের জন্য এটি ছিল একটি মিসড ক্লাসিক। তবে ক্রিকেট এমনই পরের ম্যাচ, পরের সিরিজে আরও উত্তেজনা অপেক্ষা করছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1952414158080954614?t=xXIp9aK_ZKtUhu3RZMo7qw&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1952414558217556064?t=vDxjE7XhhHHf83CB9MjgTQ&s=19