DUCSU-২০২৫।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের সব থেকে আলোচিত বিষয় হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা ডাকসু নির্বাচন। সে কারণে আজকে এ বিষয়টি নিয়ে একটি ব্লগ লেখার চিন্তা করলাম। আশা করি সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ব্লকটি সাজিয়ে লিখতে পারবো।
ডাকসু-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ও আন্দোলনের এক অসামান্য মাইলফলক। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু স্বাধীনতা ও ১৯৯০-এর পর থেকে নিয়মিত DUCSU নির্বাচন বন্ধ থাকায়, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ফিরিয়ে আনা ছিল এক স্বপ্ন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকট ও সরকারের উদ্যোগে ২০১৯ সালে ফিরে আসে DUCSU নির্বাচন, তবে তা দীর্ঘায়ু হয়নি। এরপর ২০২৪ সালের “জুলাই ছাত্রবিক্ষোভ” এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে বিলুপ্তি, সব মিলে ডাকসু ভোট এবারের নির্বাচনকে এক ‘যুদ্ধোত্তর নতুন সূচনা’র পক্ষে পরিণত করেছে।
২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই DUCSU ভোটে অংশগ্রহণ করবে ৩৯,৭৭৫ জন ভোটার, যেখানে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবেন ২৮টি পদে- যেমন উপ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহকারী সাধারণ সম্পাদক।
আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটা যেন এক রাজনৈতিক তীর্থস্থান। প্রার্থীরা দোরগোড়ায় প্রচারণায় ব্যস্ত, হোস্টেলে পোস্টার, লিফলেট বিলি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিধি খুঁজছেন ভোটার মন জয় করার জন্য। VP প্রার্থী আবিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, কেউ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে, এখন সাইবারবুলিং করছে,ফলে নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতাও প্রকট। অন্যদিকে, NCP-র Mahin Sarker দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে GS প্রার্থী বাকের মোজুমদারকে সমর্থনের ঘোষণা করেছেন যা এই ভোটের রাজনৈতিক মসৃণতা ও চাপকে তুলে ধরে।
আইনের দরজা বন্ধ নয়। প্রথমে হাইকোর্ট নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেয়, কিন্তু ব্যাপক ছাত্রী, শিক্ষক ও প্রার্থীদের প্রতিবাদের পর আপিলেটে ফের নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হয়।
নিরাপত্তা ও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে কঠিন সিদ্ধান্ত। প্রথমে চারদিন বন্ধ ঘোষণা এলে পরবর্তীতে কেবল ৯ সেপ্টেম্বরকেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। সেই দিন ৩৪ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে সাধারণ প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র ID-ধারী ছাত্র, শিক্ষক, জরুরিভাবে যুক্ত সবাই, সংশ্লিষ্ট পরিবারের কিছু সদস্য এবং জরুরি বাহিনী প্রবেশ করতেএ অনুমোদন পাবে।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে হয়তো আমরা দেখতে পাব, DUCSU কতটা ফিরে আসছে “দ্বিতীয় সংসদ” হিসেবে শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের প্রতিনিধি হিসেবে, রাজনৈতিক যুক্তুকে পাশে রেখে, নাকি আবারও শক্তিশালী রাজনীতিকৃত ছাত্র সংগঠনের হাতিয়ার হিসেবে? DUCSU-র ভবিষ্যত নির্ভর করছে এই নির্বাচনের সাফল্য, স্বচ্ছতা ও শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার উপর।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server