সিস্টেল সিম কার্ড এর পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের কনসার্ট

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিস্টেল সিম কার্ড এর পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের কনসার্ট। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই সময় পার করতে হচ্ছে। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা বেশ কয়েকজন মিলে কোম্পানির অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। গতকালকে রাতের বেলায় আমাদেরকে এসএমএস এর মাধ্যমে কোম্পানির অফিসে যেতে বলেছিল। আসলে আমাদের যেতে আসতে সিঙ্গাপুরের ম্যাপ ফলো করা লাগে। আমার যেখানে থাকি সেখান থেকে প্রথমে আমাদের বাসে বেশ কিছু পথ যাওয়ার পরে তারপরে এম আর টি ফলো করতে হয়। সেখান থেকে প্রায় 40 মিনিট মেট্রোরেলে যেতে হয়। অফিসে গিয়ে পৌঁছানোর পরে কাজ শেষ করে আবারো রুমে ফিরে আসি। রুমে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........

আপনার ওপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই সুন্দরভাবে প্লেট খাবারের ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরায় ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমরা মূলত সিস্টেল সিম কার্ড এর পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের কনসার্ট দেখার জন্যই সেখানে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমরা দুপুরবেলায় গিয়েছিলাম তাই আমাদের দুপুরের খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন ছিল। আসলে যে জায়গায় কনসার্ট হয়েছিল সেই জায়গাটির নাম হচ্ছে মোস্তফা। সেখানে রবিবার ছুটির দিন বাঙালি মানুষ সব থেকে বেশি দেখা যায়। আপনারা যদি কখনো সিঙ্গাপুরে আসেন তাহলে এই জায়গাটি দেখতে পারবেন। দুপুরে আমরা আসার পরে সেখানে পুনরায় খিচুড়ি এবং পাঁঠার গোষ খেয়েছিলাম। অনেকদিন খিচুড়ি খাওয়া হয়নি তাই সেই দিন আমরা সকলে মজা করে খিচুড়ি খেয়ে ছিলাম। সেখানে কনসার্ট দেখার জন্য মূলত আমরা সাতজন গিয়েছিলাম সবাই একসাথে বেশ মজা করে দারুন ভাবে আড্ডা দিয়েছিলাম এবং খেয়েছিলাম। এভাবে সেখানে প্রায় অনেক সময় বসে আমরা আড্ডা দিয়েছিলাম।

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা হাঁটতে বের হয়েছিলাম যেখানে প্রত্যেক রবিবার ছুটির দিন বাঙালি মানুষ এক জায়গায় দেখা করে সেই জায়গাটা একটু ঘুরে দেখার জন্য এসেছিলাম। সেখানে আসার পরেই অনেক মানুষের সমাগম দেখতে পেয়েছিলাম সেখানেও বসে আমরা বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলাম।হঠাৎ সেখানে দেখতে পাই সেখানে ড্রিঙ্ক বিতরণ করা হচ্ছে। সেখানে প্রত্যেকটা মানুষকে ফ্রি ফ্রি দিচ্ছিল। নতুন একটি ড্রিংক নিয়ে আসা হয়েছে তাই মানুষের মাঝে প্রচার করার জন্য প্রথম প্রথম বিতরণ করছিল তাই সেখান থেকে আমরা সবাই মিলে একটি করে ড্রিঙ্ক নিয়ে খেয়েছিলাম বেশ ভালোই লেগেছিল। অনেকদিন পর সেখানে নিজ দেশের মানুষদের সাথে দেখা করতে পেরে সত্যি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। এভাবে সেখানে প্রায় অনেক সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

আপনারা আবারও উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে খুবই সুন্দর দুইটি ছবি দেখতে পারবেন আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এরপরে আমরা সকলে সেখান থেকে কনসার্ট যেখানে হচ্ছিল পায়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছে গেলাম। অনেক দূর থেকে আমি খুবই সুন্দরভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরায় একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম। কনসার্ট দেখার জন্য সেখানে পৌঁছানো মাত্রই দেখতে পারি বাদ্যযন্ত্র বাজছে এবং কনসার্ট শুরু হয়ে গেছে। ভিতরে প্রবেশ করে জানতে পারি আজকে এখানে প্রত্যেকটা বাংলাদেশী শিল্পী এসেছে এবং সকল ব্যান্ড পার্টি বাংলাদেশী। এভাবে সেখানে প্রায় অনেক সময় গান শোনার পরে আবার সন্ধ্যায় মেট্রোরেল ফলো করে আবারো রুমে চলে এসেছিলাম। এভাবেই পুরো দিনটা সকলের সাথে আনন্দ উদযাপনের সাথে পাঠিয়েছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।