সিঙ্গাপুর সন্তোষা বিচে কাটানো কিছু মুহূর্ত

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিঙ্গাপুর সন্তোষা বিচে কাটানো কিছু মুহূর্ত । আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় প্রথমেই ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে মাছের খাবার দিতে গিয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে আবারো মিলে গিয়েছিলাম মাছের খাবার বানানোর জন্য। আসলে আমাদের প্রত্যেক মাসে অনেক মাছের খাবার প্রয়োজন হয় তাই প্রায় মাসের শেষের দিকে আমরা মাছের খাবার বানিয়ে থাকি। আজকে মাছের খাবার বানানোর জন্য মিলে আমি অর্ডার দিতে গিয়েছিলাম। মিলে অর্ডার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে রুমে আসার পরেই বেশ কিছু সময় রেস্ট নিয়ে আসলাম। তারপরে ভাবলাম যেহেতু এখন ফ্রি আছি তাই আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট লেখা যাক। মোবাইলের গ্যালারিতে ঢুকেই বেশ কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরে সন্তোষা বিচে গোসল করতে গিয়েছিলাম সেখানকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য হাজির হয়ে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আরো বিস্তারিত বর্ণনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরা যাক.........

আপনারা উপরের লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। যেহেতু সিঙ্গাপুরে প্রায় পাঁচ মাস আমি অবস্থান করেছিলাম তাই সিঙ্গাপুরের ঐতিহাসিক জায়গাগুলো ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছি এবং সেসব জায়গাগুলোর ফটোগ্রাফি আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে রাখার চেষ্টা করেছি সেগুলো দিয়ে আপনাদের মাঝে চেষ্টা করছি এখন পোস্ট শেয়ার করার জন্য। যেহেতু প্রত্যেক রবিবার সিঙ্গাপুর হলিডে তাই আমি এবং আমার এক বন্ধু দুজন মিলে আমরা সিঙ্গাপুরে সন্তোষা বিচে গোসল করার জন্য গিয়েছিলাম। আসলে সিঙ্গাপুরের প্রধান যাতায়াত ব্যবস্থা মেট্রো রেল। আমরা ঠিক দুপুরবেলায় রুম থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বের হয়ে পড়েছিলাম ঘোরাঘুরির জন্য যেহেতু আমরা বিকেল বেলায় গোসল করার জন্য গিয়েছিলাম। আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে সন্তোষা গিয়ে পৌঁছাতে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় লেগেছিল। আমরা যখন পৌঁছেছিলাম তখন সেখানে বেলা তিনটা বাজে রোদের তাপমাত্রা ছিল প্রচুর তাই আমরা তখন গোসলের জন্য বিচে নেমে ছিলাম না। সেখানে আমরা ঘুরে দেখেছিলাম অনেক মানুষ গোসল করছিল তাদের সকলের সাথে আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। এভাবেই সেখানে বেশ কিছু সময় অতিক্রম করেছিলাম।

আপনারা উপরে আবার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে খুবই সুন্দর দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। সন্তোষা বিচে গিয়ে পৌঁছানোর পরে আমরা সেখানে অনেক মানুষের ভিড় এবং সমাগম দেখতে পেয়েছিলাম সকলে গোসল করতে নদীতে ব্যস্ত ছিল। নদীর মাঝখান দিয়ে ঝুলন্ত রশির একটি ব্রিজ রয়েছে আমরা ব্রিজ অতিক্রম করে পাশে আরেকটি সুন্দর বিচ ছিল সেখানেও হাঁটতে হাঁটতে গিয়েছিলাম। আসলে সেখানে পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। পরে সেখানে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম আমি আমার নিজেরও একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। যেহেতু দুপুর বেলা ছিল তাই রোদের প্রচুর তাপমাত্রা মানুষ নদীতে গোসল করে এসে বসার জন্য একটি গোলচপ্ত রয়েছে অনেক মানুষ সেখানে বসে ছিল। তবে আমি এবং আমার সেই বন্ধু আমরা শুধুমাত্র বিচের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম এবং সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম। সত্যি বলতে আমি সিলেটে গিয়েছিলাম আমার কাছে মনে হয়নি সিলেটের থেকেও সিঙ্গাপুরের বিচ সুন্দর। সেখানে থাকা চারিপাশের সুন্দর দৃশ্যগুলো সত্যি আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছিল সেখানে আমরা বেশ কয়েক ঘন্টা অবস্থান করেছিলাম এবং সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম তার মধ্যে থেকে কয়েকটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।

আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে দুইটি ছবি আমার মোবাইলে ধারণ করে শেয়ার করেছি। বিচের পাশ দিয়ে আমরা দুজন যখন হাঁটতেছিলাম তখন হঠাৎ সেখানে থাকা একটি টিয়া পাখির দিকে আমাদের চোখ পড়ে। সেখানে দেখে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে টিয়া পাখির সাথে কথা বলছিল এবং ছবি তুলছিল আমিও সেখানে গিয়েছিলাম আমরাও সেখানে গিয়ে টিয়া পাখির সাথে কথা বলেছিলাম এবং ছবি তুলেছিলাম ইংলিশে সত্যিই বেশ ভালই কথা বলে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সিঙ্গাপুরের পর্যটক কেন্দ্র উন্মুক্ত প্রত্যেকটা মানুষের জন্য এটা আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লেগেছে। তবে আমিও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পর্যটক কেন্দ্র ভ্রমণ করেছি তবে সেগুলোতে প্রত্যেক জায়গায় হেনস্তার শিকার হতে হয় এটা আমার কাছে সত্যি লজ্জা জনক ব্যাপার। পুরনো দিনের ছবিগুলো দেখলেই সিঙ্গাপুরে কাটানো সেই স্মৃতিময় মুহূর্তগুলোর কথা মনে পড়ে। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।