করোনায় বাড়ছে বাল্যবিবাহ
বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ হল অপরিণত বয়সে একজন ছেলে ও একজন মেয়ের বিয়ে হওয়া। বাংলাদেশের সাধারণত ১৮ বছর বয়সী মেয়ে এবং ২১ বছর বয়সী ছেলেকে পরিণত যুবক-যুবতী গণ্য করা হয়। এর চেয়ে কম বছর বয়সে বিয়ে হলে তাকে বাল্যবিবাহ বলে গণ্য করা হয়।
দেশে এখন করোনাভাইরাস এর মৌসুম চলছে।সকল পেশার মানুষ ঘরবন্দী জীবনযাপন করছে।অর্থাৎ সব মানুষ ঘরোয়া হয়ে পড়েছে।যার ফলে বাসা বাড়িতে বিয়ের ধুম পড়ে গেছে।পরিণত বয়োসি ছেলে মেয়েরা তো বিয়ে করছেই।সেইসাথে বাল্য বিবাহের সংখ্যা ও বেড়ে গেছে।এই বছর এ মোট বাল্যবিবাহের সংখ্যা ২৮৯ টি।আর গতবছর এ এই সংখ্যা ছিল ২০০ এর কাছাকাছি।যা বিগত বছর গুলোর তুলনায় ঢের বেশি।বিগত বছর গুলোতে যেখানে বছর এ ৫০-১০০ এর মত বাল্য বিবাহ ঘটে।এই দুই বছর যা প্রায় ২-৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বাল্য বিবাহের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।সাধারণত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার এ বাল্য বিবাহের হার বেশি। নিম্নবিত্ত পরিবার আর্থিকভাবে অস্বাবলম্বী হওয়ায় পরিবার এর সদস্যরা তাদের মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তা করে।তারা সব সময় দ্রুত কন্যার বিয়ে দিয়ে দেয়।তারা ভাবে তাদের মেয়ের বিয়ে দ্রুত দিতে পারলে মাথা থেকে বোঝা নেমে যাবে।
বাল্যবিবাহ একটি মারাত্বক সামাজিক ব্যাধি।এই ব্যাধি সমাজ থেকে দ্রুত দূর করতে না পারলে সমাজব্যবস্থা অবক্ষয়ের দিকে চলে যাবে।এজন্য সরকার প্রদত্ত বিধি নিষেধ গুলো মেনে চলতে হবে।এই ব্যাধি দূরীকরণে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।তাছাড়া বাল্যবিবাহ সমাজের উন্নতির পথেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
জি আপু।সচেতনতা বাড়াতে হবে বাল্যবিবাহ রোধ এ।ধন্যবাদ আপু।
কথা গুলোতে বেশ যুক্তি ছিল ।ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ প্রিয় মডারেটর ভাই।আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।