ট্রাভেল পোস্ট- "মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব" II written by @maksudakawsarII

in আমার বাংলা ব্লগ27 days ago

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।‍

Add a heading (5).png

মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব

WhatsApp Image 2025-06-21 at 22.09.54_2cb9864a.jpg

WhatsApp Image 2025-06-21 at 22.09.57_70a384eb.jpg

আজকাল জীবনের ব্যস্ততা এতটাই বেশী যে মানসিকতা একদম ভালো রাখতে পারি না। অফিসের অযথা কাজের চাপ, সাংসারিক, পারিবারিক সব কিছু মিলিয়েই যেন জীবনটা হয়েগেছে দূর্বিসহ। এমন দূর্বিসহ জীবন কে যদি কিছুটা স্বস্থি দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু জীবন ফিরে পায় কিছুটা শান্তি আর নতুন ঠিকানা। আর তেমন একটু স্বস্থি আর শান্তির জন্যই কিছুদিন আগে পরিবারের সকল কে নিয়ে বেড়িয়ে ছিলাম একটি ডে ট্যুরে। মানে ঢাকার কাছেই মাওয়া ঘাট আর পদ্মার পাড়ে সারাটা দিন সবাই মিলে ঘুরে বেডিয়ে ছিলাম কিছুটা আনন্দ নিয়ে। আজ সেই ঘুরে আশার গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। হয়তো পুরো গল্প শেষ করতে করতে ১০০ পর্ব ও লেগে যেতে পারে। তাতে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই। তাহলে চলূন আজ আমরা মাওয়া ঘাট আর পদ্মা নদীর পাড়ে ঘুরে আসার দ্বিতীয় পর্ব দেখে আসি।

WhatsApp Image 2025-06-21 at 22.09.55_0257827b.jpg

WhatsApp Image 2025-06-21 at 22.09.56_e2eba5f4.jpg

মাওয়া নদীর ঘাটে নেমে আমরা একটু দাড়িঁয়ে পড়লাম। তারপর উপর থেকে আমরা বিশাল পদ্মার দৃশ্যটাকে একটু উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। দেখলাম যে কি সুন্দর প্রকৃতি। নদীর ঘাটে দাঁড়ানো বেশ কিছু রং বে রং এর নৌকা, বোড। যাত্রীরা এসব ভাড়া করে পুরো পদ্মা নদী ঘুরে বেড়ায় আর উপভোগ করে পদ্মার দৃশ্যগুলো। আমরাও ভাবলাম যে আমরাও একটু নদীতে ঘুরবো। কিন্তু কেন জানি সেদিন নদীর পাড়ে গিয়ে বেশ মনটা ভরে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম যে আজ সারাটাদিন পদ্মার মাঝে হারিয়ে যাবো। কিন্তু ততক্ষনে সবার মনে ঢুকে গেল একটু চা খেতে হবে। মানে সবার তখন চা খাওয়ার নেশা জেগে উঠেছে। আর সে কারনেই আমরা খুঁজতে লাগলাম মালাইয়ের চাযের দোকান। আমরা কি সেদিন মালাইয়ের চা খুঁজে পেয়েছিলাম পদ্মার পাড়ে? জানার জন্য আমার এই ভ্রমন পোস্টের আগামী পর্বের দিকে চোখ রাখুন।

WhatsApp Image 2025-06-21 at 22.09.56_7dd36710.jpg

পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে গেলে কিন্তু মনের ভিতরে একটু শান্তি পাওয়া যায়। কারন পরিবারের মানুষগুলো যখন একটু আনন্দ উপভোগ করে তখন কেন জানি মনটা ভরে যায়। আর তাই তো সেদিন যখন আপন মাযের পেটের বোনদের সাথে পদ্মা নদী ঘুরতে দেখতে গিয়েছিলাম আমার মনটাও ভরে গিয়েছিল তাদের আনন্দ দেখে। বন্ধুরা আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা অবশ্যই জানেন যে আমি ইতিমধ্যে মাওয়া ঘাটে বেড়াতে যাওয়ার দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আজ আবার চলে আসলাম মাওয়া ঘাটে ভ্রমন যাওয়ার তৃতীয় পর্ব নিয়ে।

WhatsApp Image 2025-06-21 at 22.09.58_d1e22221.jpg

সেদিন ছিল প্রখর রোদ। আর সেই প্রখর রোদের মধ্যে আমরা চা খাওয়ার জন্য মালায়ের চা খোঁজ করতে লাগলাম পুরো মাওয়া ঘাট জুড়ে। কিন্তু হায়রে মালাইয়ের চা। কোথাও আর খোজেঁ পেলাম না। অবশেসে খুজঁতে খুজঁতে পেলাম দুধের চা। মানে গরুর দুধের চা। তাও আবার একেবারে ঘাটের কাছে। সুন্দর একটি রং করা টুল বসানো। যেখানে বসে চা খেতে খেতে পদ্মার দৃশ্যও কিছুক্ষন উপভোগ করা যাবে অনায়াসে। আমরা সেখানেই বসে পড়লাম চা খাওয়ার জন্য। মামাকে আমরা ৬টি চাওয়া দেওয়ার জন্য অর্ডার করলাম। মামাও আমাদের কে চা বানিয়ে দিতেছিল। তবে চায়ের দাম কিন্তু অন্য কোন জায়গা থেকে এতটুকুও বেশী না। আমার মনে তো এমন সুন্দর জায়গায় এককাপ চায়ের দাম কমে হলেও ৫০ টাকা হওয়া দরকার। যাই হোক যতক্ষনে মামা চা বানাচ্ছিলো ততক্ষনে আমরা চারদিকের পরিবেশ কে একটু উপভোগ করতে ছিলাম। দারুন একটি পরিবেশ।

WhatsApp Image 2025-06-21 at 22.09.55_04610cbd.jpg

এক সময়ে আমরা চায়ের কাপ পেয়ে গেলাম। বসে গেলাম টুলের উপর আর পদ্মার দৃশ্য উপভোগ করতে করতে চা খেতে লাগলাম। সাথে কিন্তু আবার ড্রাই কেকও ছিল। বেশ মজা পাচ্ছিলাম চায়ের মধ্যে ড্রাই কেক ভিজিয়ে ভিজিয়ে খেতে। আর সেই সাথে পদ্মা নদীর এমন সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে। মনটা কেন জানি বেশ ভালো লাগছিল। সত্যি বলতে এত বড় নদী কখনও সামনে বসে এমন করে দেখা হয়ে উঠেনি। সুন্দর সময় আর সুন্দর দিন জীবনে আসাটা কিন্তু বেশ কঠিন। আর যদিও আসে সেই স্মৃতিগুলো মনের মাঝে গেথেঁ যায় দিনের পর দিন। মুছে যায় না সহজে। যাই হোক এক সময়ে আমাদের চা খাওয়া শেষ হয়ে যায়। তারপর আমরা শুরু করে দেই আমাদের ভ্রমনের স্বাদ নেওয়া। তো আমরা সেদিন আর কি কি করেছিলাম তা জানার জন্য আমার আগামী পর্ব গুলোর দিকে চোখ রাখুন। আশা করি নিরাশ হবেন না।

WhatsApp Image 2025-06-21 at 22.09.57_0b1ac778.jpg

আশা করি আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারবো যে আমরা কত টাকা ভাড়া দিয়ে কেমন করে সেই স্বপ্নের মাওয়া ঘাটে পৌঁছেছিলাম। আর মাওয়া ঘাটে পৌঁছে সেদিন কি কি করেছিলাম। সে পর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীভ্রমণ
ক্যামেরাVivo y18
পোস্ট তৈরি@maksudakawsar
লোকেশনবাংলাদেশ

আমার পরিচিতি

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।


3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM (1).gif

VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

1000206266.png

1000206267.png

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️

Sort:  
 26 days ago 

মাওয়া ঘাট এবং পদ্মার পাড় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন আপু। এই জায়গাগুলোতে কখনো যাইনি। আমি সময় পেলে যাওয়ার চেষ্টা করব আপু।