হাসির কিছু মুহূর্ত…[১০]

জীবনে হাসি-ঠাট্টা কতটা দরকারি, তা তো আর বলে দিতে হবে না। মন খারাপের দিনে হুট করে কারো বলা একটা দুষ্টুমি, কিংবা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো মজার কাণ্ড মুহূর্তেই আমাদের মন ভালো করে দেয়।তাই ভাবলাম, আগের সপ্তাহের মতো আজকেও আপনাদের জন্য নিয়ে আসি কিছু হাসির মুহূর্ত। মানে পুরাই দম ফাটানো কিছু কৌতুক।

চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক...

সোর্স

গ্রামের বিয়ে আর শহরের লিফট 😄

গ্রামের এক সহজ-সরল ছেলে রফিক। ঢাকায় তার খালাতো ভাইয়ের বিয়ে, সে তো দারুণ খুশি! জীবনে প্রথমবার ঢাকায় যাচ্ছে, তাও আবার বিয়েতে দাওয়াত খেতে!

বিয়ের ভেন্যু শহরের একটা বড় কমিউনিটি সেন্টারে। রফিক ট্রেন-বাসে করে অনেক কষ্টে ঢাকায় পৌঁছাল। কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকতেই তার চোখ কপালে!

রফিক (চোখ বড় বড় করে): ওহ মাই আল্লাহ! এইটা আবার কী রে ভাই?

দেখে একদম বিশাল একটা দালান! আর সবার সাথে উঠতে হলো লিফটে। রফিক জীবনে প্রথম লিফট দেখছে।

রফিক: ভাইরে ভাই, এই কামরার মধ্যে ঢুকলে মানুষ গায়েব হইয়া যায়? আমি কিন্তু নামের আগে দোয়া পড়ে রাখতেছি!

লিফট ওপরে উঠলো, সে তো অর্ধমৃত!

উপরে উঠেই কনের সাজঘরে গেল রফিক। কনে তো শহুরে মেয়ে গাউন পরে, হাতে মেহেদি, গলায় ফুল। রফিক তো চিনতেই পারছে না।

রফিক (খালাতো ভাইয়ের কানে ফিসফিস করে): ভাই, এই মেয়েটারে আপনি চিনেন তো? নাকি ভুল ঘরে ঢুইকা গেছেন?

খালাতো ভাই (হেসে): আরে ব্যাটা, এইটাই তো আমার বউ!

রফিক: ওফ্, শহরে তো বিয়া মানেই সিনেমা!

তারপর খাবারের সময় এলো। রফিক প্লেট হাতে নিয়ে দেখে, খাবারের নামই বোঝে না।

রফিক: ভাই, এই ‘কাবাব’ আর ‘রেজালা’ কইরে? সব তো নাম কইরা লেখা নাই!

তবু সাহস করে একটা কিছু তুলে নিলো। খেতে গিয়ে বুঝলো, জিনিসটা মিষ্টি!

রফিক: হেই হেই হেই! এইডা তো খিচুড়ির রং কইরা সেমাই! ধোঁকা খাইছি রে ভাই!

শেষে পান খেতে গেল। শহুরে কুলারের পান খেয়ে তো রফিক কাশতে কাশতে বললো,

রফিক: ভাইরে, এই পানের ভিতরে তো বোমা রাখছো নাকি! মুখে আগুন লাগছে!

সবাই হাসতে লাগলো। আর রফিক দাঁত বের করে বললো,

রফিক: শহরে আসলে দুইটা জিনিস ছাড়া বিয়া জমে না একটা হইল এই ‘উড়ন্ত কামরা’ (লিফট), আরেকটা হইল এই জ্বলন্ত পান!

সোর্স

আসলে জীবনটা অনেক ছোট। সবসময় সিরিয়াস হয়ে থাকা যায় না। মাঝেমধ্যে এমন হাসি-ঠাট্টা, পাগলামি দরকার। তাতে মনও ভালো থাকে, দিনটাও জমে যায়।তাই বলব - হাসুন, খুশি থাকুন। কারো খারাপ দিনটা একটুখানি ভালো করে দিতে পারলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ।

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। _{আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।}