প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারও ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝেমধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। সেই জায়গাটা এতটাই সুন্দর যে,দেখে চোখ ফেরানো যায় না। অর্থাৎ একেবারে মনোমুগ্ধকর একটি জায়গা। সেখানকার অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার জন্য, অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ যায় সেখানে। বিশেষ করে বর্ষাকালে মানুষের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সেখানে। আমরা বর্ষাকালেই গিয়েছিলাম বলে,সেখানকার সৌন্দর্য দারুণভাবে উপভোগ করতে পেরেছিলাম। তবে রোদের তীব্রতা ছিলো প্রচুর। প্রায় ৪০° ডিগ্রী তাপমাত্রা ছিলো সেদিন। পানি এতটাই স্বচ্ছ যে, পাথরগুলো স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিলো। আপনারা ভিডিওগ্রাফিটা ভালোভাবে দেখলে সেটা বুঝতে পারবেন। তীব্র রোদ থাকা সত্ত্বেও, পানি কিন্তু বেশ ঠান্ডা ছিলো। কারণ মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় থেকে পানির ঢল নেমে আসছিলো। যেখানে দাঁড়িয়ে সবাই গোসল করে,সেখানে পানির স্রোত ছিলো প্রচুর। সেই ভিডিওটা পরবর্তী সপ্তাহে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক এমন জায়গায় বারবার গেলেও মন ভরবে না। মহান সৃষ্টিকর্তার এমন অপরূপ সৃষ্টি দেখলে, চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে যায়।

ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আশেপাশে সাউন্ড ছিলো বলে, আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে মিউজিক অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন আশেপাশের শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।