লাইফস্টাইল পোস্ট || মি. বাফেট রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত পরশুদিন দুপুরে আমরা ৪ জন মি. বাফেটে লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। মূলত আমার ফ্রেন্ড বিল্লাল বিশেষ একটা উপলক্ষে আমাদেরকে ট্রিট দিয়েছিল সেদিন। যাইহোক গত পরশুদিন সকালে শপিংমল প্রজেক্টে গিয়েছিলাম আমি এবং বিল্লাল। তো প্রজেক্টে থাকা অবস্থায় মারুফ ও মোতালেব বিল্লালকে বললো ট্রিট দিতে। মারুফ মূলত আমাদের শপিংমল প্রজেক্টে জব করে এবং মোতালেবের শপ রয়েছে সেই শপিংমলে। বিল্লাল সাথে সাথে ট্রিট দিতে রাজি হয়ে গেলো।
তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম মি. বাফেটে গিয়ে বাফেট লাঞ্চ করবো। কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন মি. বাফেটে গিয়ে ডিনার করেছিলাম এবং সেই পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক আমরা চিটাগাং রোড থেকে চাষাড়া চলে গেলাম দুপুর ১টার পর। তারপর আমরা সবাই নূর মসজিদে প্রবেশ করলাম যোহরের নামাজ আদায় করতে। নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হতে হতে দুপুর ১.৩০টার উপরে বেজে গিয়েছিল। তারপর আমরা ভাবলাম ক্রাউন বাফেট রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখে আসি সেখানকার আইটেম গুলো কেমন। কারণ কয়েকদিন আগেই মি. বাফেটে ডিনার করেছিলাম যেহেতু, তাই ভাবলাম অন্য বাফেট রেস্টুরেন্টে গেলে ভালো হয়। কারণ এক রেস্টুরেন্টে বারবার খেতে ভালো লাগে না। কিন্তু ক্রাউন বাফেট রেস্টুরেন্টে ঢুকে তো আমরা পুরোপুরি অবাক।
কারণ একজনও কাস্টমার ছিলো না সেখানে। তাছাড়া আইটেমও তেমন ভালো না। প্রায় ২ বছর আগে ক্রাউন বাফেট রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছিলাম। কিন্তু মি. বাফেট রেস্টুরেন্ট হওয়ার পর থেকে ক্রাউন বাফেট রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় না আমাদের। আসলে চাষাড়া তে শুধুমাত্র ২টা বাফেট রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তাই মি. বাফেট রেস্টুরেন্টে সাধারণত যাওয়া হয় আমাদের। যাইহোক আমরা সাথে সাথে মি. বাফেট রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। তারপর একটা টেবিল বুকড করে বসে পড়লাম। আমরা একটু ভিতরের দিকে বসলাম। যাতে করে ৪ জন আড্ডা দিতে দিতে বেশ মজা করে খাবার খেতে পারি। তো প্রথমেই খাবারের আইটেম গুলো দেখার চেষ্টা করলাম। আসলে ডিনারের চেয়ে লাঞ্চের সময় আইটেম কিছুটা কম থাকে। যেমন লাঞ্চে কাচ্চি বিরিয়ানি ছিলো না, বটি কাবাব ছিলো না এবং ফিশ ফ্রাই ছিলো না।
এই তিনটি আইটেম আমার খুব পছন্দ। তবে মাটন তেহারি ছিলো। যাইহোক প্রথমে স্টার্টার আইটেম দিয়ে শুরু করলাম। যেমন থাই স্যুপ,অনথন,চিকেন ফ্রাই,চিকেন মোমো,চিকেন কাটলেট এবং সাথে সালাদ নিলাম। চিকেন ফ্রাই এবং মোমো ছিলো একদম গরম। তাই খেতে দারুণ লেগেছিল। তো স্টার্টার আইটেম খেয়ে একটু আড্ডা দিয়ে, মেইন ডিশ নেওয়ার চেষ্টা করলাম। যেমন মাটন তেহারি,মাটন কারি,চিকেন কারি,ভুনা খিচুড়ি,প্লেইন পোলাও সবই নিলাম অল্প অল্প করে। যাতে সবগুলো আইটেম ট্রাই করা যায়। যদিও সবগুলো খাবার খেতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। কারণ স্টার্টার আইটেম বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম সেদিন। তাই পেট মোটামুটি ভালোই ভরে গিয়েছিল। তো সবাই মেইন ডিশ খাওয়া শেষ করার পর,ভাবলাম কিছু ডেজার্ট আইটেম ট্রাই করা যাক।
সবার জন্য একসাথে কিছু ডেজার্ট আইটেম নিলাম। যেমন পুডিং,জেলি,কুনাফা,বাসবুসা,কেক এগুলো নিলাম। তারপর আড্ডা দিতে দিতে একসাথে খেতে লাগলাম। আসলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও, বাফেটে গিয়ে সেটা একেবারেই সম্ভব হয় না। ডেজার্ট খাওয়ার পর দেখলাম যে ৩টার উপরে বেজে গিয়েছে। যদিও আমরা ৪টা পর্যন্ত খাবার খেতে পারতাম। কিন্তু সবারই পেট পুরোপুরি ভরে গিয়েছে, তাই বিল মিটিয়ে সাথে সাথে বের হয়ে গেলাম। মোট বিল এসেছিল ৩,১৬০ টাকা। যাইহোক সবমিলিয়ে আমরা দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন। আর এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৯.৭.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1946261986037424233?t=zQv5bfumYgTDKoGf4Nc7Dg&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মি. বাফেটের রেস্টুরেন্টের পরিবেশ এবং পরিষেবা সম্পর্কে শুনেছি, আপনার অভিজ্ঞতা শুনে ভালো লাগল।মি. বাফেটের লাঞ্চে আইটেম কম থাকলেও তাদের ফুড কোয়ালিটি তো সবসময় ভালোই থাকে। বিশেষ করে তাঁদের গ্রিল্ড আইটেমগুলো আমার খুব পছন্দ।লাঞ্চের আগে নামাজ আদায় করে নেওয়াটা খুব ভালো লেগেছে! ব্যস্ত জীবনে ধর্মের প্রতি এই যে আন্তরিকতা, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আইটেম তেমন কম না লাঞ্চে,তবে ডিনারের তুলনায় কম। তাই লাঞ্চ ৭৯০ টাকা এবং ডিনার ৮৯০ টাকা। ধন্যবাদ আপনাকে।