লাইফস্টাইল পোস্ট || বন্ধুদের সাথে মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। সপ্তাহ দুয়েক আগে বন্ধুদের সাথে মাওয়া গিয়েছিলাম ইলিশ মাছ খেতে এবং সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছ খেতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। তাই বেশ কয়েকবার বন্ধুদের সাথে এবং পরিবারের সাথে মাওয়া যাওয়া হয়েছে আমার। মোটকথা সময় সুযোগ হলেই মাওয়া চলে যাই ইলিশ খেতে। তো আমার এক বন্ধু কিছুদিন আগে প্রাইভেট কার কিনেছে এবং সেদিন সে বলতেছে মাওয়া যাওয়ার কথা। তো আমরা ৫ বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম মাওয়া গিয়ে লাঞ্চ করবো।
সেই হিসেবে যোহর নামাজ আদায় করে আমরা রওনা দিয়েছিলাম। তো যাত্রাবাড়ী হয়ে মাওয়া এক্সপ্রেস রোড দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছাতে ১ ঘন্টার একটু বেশি সময় লেগেছিল। সেদিন রাস্তা একেবারে ফাঁকা ছিলো বলা যায়। আমরা একেবারে ঘাটের দিকে চলে গিয়েছিলাম। কারণ ঘাটের দিকে যে হোটেল গুলো রয়েছে, সেখান থেকে তুলনামূলকভাবে সস্তায় ইলিশ মাছ কেনা যায়। বেশ কয়েকটি হোটেলে গিয়ে ইলিশ মাছ দেখার পর জানতে পারলাম পদ্মার অর্থাৎ শরিয়তপুরের ইলিশ মাছ নেই তাদের কাছে। শুধুমাত্র চাঁদপুরের ইলিশ মাছ রয়েছে। চাঁদপুরের ইলিশ মাছ শরিয়তপুরের ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু না,সেটা আমরা খুব ভালো করে জানি। কিন্তু বাধ্য হয়ে চাঁদপুরের দুটি ইলিশ মাছ নিলাম। দুটি ইলিশের ওজন হয়েছিল ১,৪০০ গ্রাম।
তারা ২৫০০ টাকা দাম চেয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত দামাদামি করে ১,৪০০ টাকা দিয়ে ইলিশ মাছ দুটি নিলাম। ইচ্ছে করে একটি ডিমওয়ালা ইলিশ নিয়েছিলাম এবং একটি ডিম ছাড়া নিয়েছিলাম। কারণ ইলিশ মাছের ডিম আমাদের সবারই খুব পছন্দ। আসলে তখন প্রায় সবগুলো হোটেলে কাস্টমার একেবারে কম ছিলো। তাই আমার ধারণা ছিলো অল্প দামে ইলিশ কিনতে পারবো। তাই আমি প্রচুর দাম কষাকষি করেছিলাম। অনেক দিন ধরে মাওয়া আসা যাওয়া করা হয় বলে,মোটামুটি অভিজ্ঞতা হয়েছে এই ব্যাপারে। যাইহোক ইলিশ মাছ দুটিকে ভালোভাবে কেটে,বড় বড় টুকরা করতে বললাম। কারণ আমরা যেহেতু ৫ জন ছিলাম, তাহলে ১০ পিস হলেই হবে। তো ইলিশ মাছ কেটে সরিষার তেলে ভাজতে বললাম। পাশাপাশি বেগুন নিলাম ১০ টুকরা।
প্রতি টুকরা ২৫ টাকা করে। তাছাড়া ইলিশের লেজ ভর্তা করতে বললাম। তাছাড়া শুকনা মরিচ ভাজতে বললাম এবং সালাদ তৈরি করতে বললাম। সবকিছু রেডি হওয়ার পর আমরা খাওয়া শুরু করলাম। ইলিশের স্বাদ ছিলো মোটামুটি। কারণ চাঁদপুরের ইলিশ ততোটা সুস্বাদু হয় না। তবে ইলিশের লেজ ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। খাওয়া শুরু করার আগে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। যাইহোক অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেললাম। কারণ আমরা সবাই বেশ ক্ষুধার্ত ছিলাম। তারপর বিল মিটিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে ২,৪০০ টাকার মতো বিল এসেছিল। আমরা সবাই এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন এবং সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৫.৮.২০২৫ |
লোকেশন | শিমুলিয়া ঘাট,মাওয়া,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1959852864266019141?t=ZnJ_k8-f2qvriQi3mqbuzQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1959853348099924131?t=POOv8UQlB_iRIAfr20lIag&s=19
Phttps://x.com/mohin3242127/status/1959950098278101215?t=olFXXcd2VTbiA2XVqZTPng&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসসালামু আলাইকুম @mohinahmed!
আপনার মাওয়াতে বন্ধুদের সাথে ইলিশ মাছ খেতে যাওয়ার লাইফস্টাইল পোস্টটি খুবই চমৎকার হয়েছে! ছবিগুলো দেখে জিভে জল চলে এলো! পদ্মার ইলিশের স্বাদ একটু কম হলেও বন্ধুদের সাথে দারুণ সময় কাটিয়েছেন, সেটা ছবিতে স্পষ্ট। বিশেষ করে ইলিশ মাছের ডিম আর লেজ ভর্তার বর্ণনা শুনে লোভ সামলানো কঠিন। আপনার ফটোগ্রাফি দক্ষতাও অসাধারণ!
আপনার ভ্রমণ এবং খাদ্য বিষয়ক অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এই ধরনের পোস্টগুলো আমাদের কমিউনিটিকে আরও উৎসাহিত করবে। আপনার অন্যান্য পোস্টগুলোর অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন!
মাওয়া দিয়ে বন্ধুদের সাথে কাটানোর সুন্দর অনুভূতির মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতি পড়ে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগলো। বোঝা যাচ্ছে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
আমরা সেখানে গিয়ে সত্যিই খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া ইলিশ মাছ খেতে এমনিতে মজা। আর আপনারা পাঁচ বন্ধু মিলে গেলেন মাওয়াতে ইলিশ মাছ খেতে। আমার মনে হয় ইলিশ মাছ দুটো কম দামে কিনেছেন আপনারা। আমাদের এদিকে ইলিশ মাছের দাম আরো বেশি। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানেও ইলিশ মাছের দাম অনেক। ২/৩ দিন আগে ২৩০০ টাকা দিয়ে এক কেজি ইলিশ মাছ কিনলাম। কিন্তু মাওয়ার ইলিশ গুলো কম দামে পেয়েছি চাঁদপুরের ইলিশ বলে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।