ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে আনন্দ রিভারভিউ পার্ক এন্ড রিসোর্ট ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। মাসেক খানেক আগে আমার ওয়াইফ ও ছেলেকে নিয়ে আনন্দ রিভারভিউ পার্ক এন্ড রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং সেই ভ্রমণ পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে ঘুরাঘুরি করতে আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। সেটা বন্ধু বান্ধব হোক কিংবা পরিবারের সাথেই হোক না কেনো। তবে পরিবারের চেয়ে বন্ধু-বান্ধবের সাথেই বেশি ঘুরাঘুরি করা হয়। আমার মনে হয় এটা প্রায় সবার সাথেই হয়ে থাকে। তবে সবারই উচিত পরিবারকে একটু সময় দেওয়া এবং পরিবার নিয়ে মাঝেমধ্যে একটু ঘুরাঘুরি করা। এতে করে দারুণ সময় কাটানো যায় এবং সম্পর্ক খুব ভালো থাকে। যাইহোক যেহেতু আমার ৫ মাসের ছেলেকে নিয়ে বের হবো। সেহেতু ভাবলাম যে কাছাকাছি কোনো পার্কে ঘুরতে যাওয়া যাক।
তো আমরা বিকেল ৪টার দিকে বাসা থেকে বের হলাম এবং একটি অটো ভাড়া করে, ৩০/৪০ মিনিটের মধ্যেই আনন্দ রিভারভিউ পার্ক এন্ড রিসোর্টে পৌঁছে গেলাম। তারপর টিকেট কাউন্টার থেকে দুটি টিকেট কিনলাম ২০০ টাকা দিয়ে এবং পার্কে প্রবেশ করলাম। শুরুতে আমরা ঘুরে ঘুরে পার্কের চারপাশটা দেখার চেষ্টা করলাম। এই পার্কে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে আমার। তবে এবার খুব সম্ভবত বছর দুয়েক পরে গেলাম সেই পার্কে। তাই অনেক পরিবর্তন দেখতে পেলাম সেখানে। প্রচুর ফুল গাছ এবং কাঠবাদাম গাছ লাগিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। তবে পার্কের মাঝখানের অংশটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। একেবারে খোলামেলা পরিবেশ এবং সিংহ সহ বেশ কিছু আকৃতি রয়েছে সেখানে। তো আমরা সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে, নদীর পাড়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসলাম। যেহেতু তখন বিকেল ছিলো, সেহেতু সেখানে বসতে খুবই ভালো লেগেছিল। কারণ বিকেলে নদীর পাড়ে সময় কাটানোর মজাই আলাদা।
আমরা তারপর রাউন্ড হুইল রাইডে চড়ার জন্য দুটি টিকেট কিনলাম ৩০০ টাকা দিয়ে। এরপর রাউন্ড হুইল রাইডে চড়লাম আমরা তিনজন। রাউন্ড হুইল রাইডে চড়ে উপর থেকে চারপাশের সৌন্দর্য দেখতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। নদীর তীরে পার্ক করলে দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগে। যাইহোক আমরা রাইড থেকে নেমে,ফুচকা খাওয়ার জন্য পার্কের ভিতরে থাকা ফাস্টফুড শপে প্রবেশ করলাম। তারপর আমরা দু'জন ফুচকা খেলাম এবং তারপর চলে গেলাম পার্কের পশ্চিম পাশে। কারণ পশ্চিম পাশে সুইমিংপুল এবং মিনি চিড়িয়াখানা রয়েছে। তো সুইমিংপুলে দেখলাম মানুষ একেবারেই নেই। তাই মিনি চিড়িয়াখানার সামনে চলে গেলাম। বেশ কয়েকটি হরিণ এবং খরগোশ রয়েছে সেখানে। তাছাড়া ময়ূর সহ আরও কিছু পাখি রয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করতে। তো সবমিলিয়ে আমরা সেদিন ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলাম। সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে পার্ক থেকে বের হয়ে, অল্প সময়ের মধ্যেই বাসায় চলে এসেছিলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৯.৯.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1972673668758327483?t=-diWKyDhifGVxNx8tPJ6tQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1972674749101736274?t=nVwG0jUGwvh9schKIvcMnQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1972676267834212852?t=AFUyaaqzKmrkb5mPRGH2Mw&s=19
X-promotion
ঘোরাঘুরি করতে আমাদের সকলেরই ভালো লাগে। আর পরিবারকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা৷ আজকে আপনি যেভাবে এই আনন্দ রিভারভিউ পার্ক থেকে এত চমৎকার একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে বেশ ভালই লাগছে৷ সবাই মিলে খুব ভালো সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন৷ এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।