প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত বছর পহেলা বৈশাখে আমার ওয়াইফকে নিয়ে রমনা পার্ক ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করা হয়নি। তাই ভাবলাম এই পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। আর এই বছর পহেলা বৈশাখে তো হসপিটালে থাকতে হয়েছে। কারণ এই বছর পহেলা বৈশাখে আমার টুইন পুত্র সন্তান পৃথিবীতে এসেছে। যাইহোক পহেলা বৈশাখে রমনা পার্কে গিয়ে ঘুরাঘুরি করতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে আমি চেষ্টা করি রমনা পার্কে ঘুরতে যেতে। তো গত বছর পহেলা বৈশাখে আমি এবং আমার ওয়াইফ গিয়েছিলাম রমনা পার্কে।

রমনা পার্কে প্রবেশ করার আগে আমরা টিএসসি চত্বরে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম। কারণ সেখানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ছোট ছোট বাচ্চারা সেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। সত্যি বলতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বেশ উপভোগ করেছিলাম। যাইহোক আমরা তারপর রমনা পার্কে প্রবেশ করেছিলাম। প্রথমে আমরা চলে গিয়েছিলাম রমনা কালী মন্দিরের দিকে। সেখানে গিয়ে দেখলাম বাসন্তী মেলা হচ্ছে। তো ভিতরে গিয়ে দেখলাম মেলা উপলক্ষে বেশ কিছু স্টল দেওয়া হয়েছে। স্টল গুলোতে জামাকাপড় থেকে শুরু করে অনেক কিছু বিক্রি করছে। তবে ভিড় ছিলো অনেক বেশি। বিশেষ করে কসমেটিক্স এর স্টল গুলোতে মহিলাদের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেলায় বেশিক্ষণ সময় কাটাতে পারিনি। কারণ বেশি ভিড় আমার একেবারেই অপছন্দ।

তাছাড়া আমার ওয়াইফ সাথে ছিলো বলে,মেলা থেকে তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছিলাম। তারপর আমরা সেখানে বেশ কিছু খাবারের স্টল দেখতে পেলাম। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে দেখলাম কয়েকটি লোক বল থ্রো করার একটি মজার খেলা খেলছে। ব্যাপারটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার। রমনা পার্কে আমরা সেদিন অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম। আমাদের প্ল্যান ছিলো রমনাপার্কে ঘুরাঘুরি করে, মেট্রোরেলে চড়ে অন্য কোথাও ঘুরতে যাবো। তাই রমনা পার্ক থেকে বের হয়ে, আমরা পরবর্তী গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। সেই গল্প আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক আমরা সেদিন রমনাপার্কে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম। আর এই পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।