ক্রিয়েটিভ রাইটিং || একজন কৃপণ ব্যক্তির গল্প (শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একজন কৃপণ মানুষের গল্প (শেষ পর্ব) আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তবে গল্পটি কোনো কাল্পনিক ঘটনা নিয়ে লেখা নয়,বরং একেবারে বাস্তব। যাইহোক গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,সুজন ভাই যতদিন বাংলাদেশে ছিলো,ততদিন সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ সেই ছেলের সাথে কোনো রকম যোগাযোগ করেনি। মোটকথা একেবারে ভালো হয়ে যাওয়ার অভিনয় করেছে। সুজন ভাই যাতে করে সব টাকা পয়সা সুজন ভাইয়ের একাউন্টে না নিয়ে যায়, সেজন্য তার ওয়াইফ সুজন ভাইয়ের সাথে বিভিন্ন ধরনের অভিনয় করেছে।
আসলে সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ ভীষণ চালাক। যাইহোক কিছুদিন পর সুজন ভাইয়ের চাচার বাসায় ডিভোর্স পেপার পাঠায় তার ওয়াইফ। কারণ সুজন ভাইয়ের মা বাবা নেই এবং উনার চাচা একই বাড়িতে থাকতেন। এসব শুনে সুজন ভাই একেবারের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে দেশে চলে আসে। কারণ অল্প কিছুদিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ছুটি দিয়েছিল কোম্পানি। তাই তারা আর ছুটি দিতে রাজি হয়নি। সুজন ভাইয়ের মাথা ঠিক ছিলো না বলে, সবকিছু ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসে। আসার পর তার ওয়াইফ এর সাথে যোগাযোগ করে সুজন ভাই এবং বুঝিয়ে বলে যে ফেরত আসতে। কিন্তু তার ওয়াইফ কোনো ভাবেই রাজি হয় না।
টাকা পয়সাও ফেরত দেয়নি তার ওয়াইফ। সুজন ভাই অনেক চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেনি। তার ওয়াইফ বলে যে টাকা পয়সা সব খরচ করে ফেলেছি। শেষ পর্যন্ত সুজন ভাই তার এতো বছরের উপার্জন প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হারিয়ে ফেললো এবং ওয়াইফকেও হারিয়ে ফেললো। যদিও এমন মেয়ের সাথে সংসার করার চেয়ে না করাই অনেক ভালো। কারণ চরিত্রহীন এবং লোভী মানুষের সাথে সংসার করা যায় না। আসলে সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ এর চরিত্র আগে থেকেই ভালো ছিলো না। তাইতো সুজন ভাইয়ের সব সঞ্চয় আগে থেকেই নিজের একাউন্টে নিয়ে নিয়েছিল। আমি মনে করি একজন ভালো বউয়ের কাছে তার হাসবেন্ড সবকিছু।
আলাদা করে নিজের নামে টাকা রেখে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ ভালো মন্দ সবকিছু হাসবেন্ড দেখবে। যাইহোক সুজন ভাই সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যায়। সুজন ভাই বর্তমান আমাদের এলাকায় তুলার কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর বিয়ে করেনি সুজন ভাই। হয়তো আর কখনো বিয়ে করবেও না। অতিরিক্ত কৃপণতা করা মোটেই ঠিক নয়। কারণ এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যে,কৃপণ মানুষের টাকা কোনো না কোনো ভাবে শেষ হয়ে যায়। তাই নিজের আত্মাকে কষ্ট না দিয়ে, সমাজের ৮/১০ জনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা যায় এমনভাবে চলা উচিত। আসলে জীবন একটাই, তাই সবকিছুর ব্যালেন্স করা উচিত।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
রাইটার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৫.১০.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আমি আপনার লেখাটি পড়লাম খুবই চমৎকার লেখেছেন আপনি ঠিকই বলেছেন অতিরিক্ত কৃপণতাকে আল্লাহ তায়ালাও পছন্দ করেন না। আমার কষ্ট হচ্ছে সুজন বেচারার জন্য । সে বউও হারালো টাকা-পয়সাও হারালো। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত সুন্দর করে ক্রিয়েটিভ রাইটিং উপস্থাপন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে।
হ্যাঁ আপু সুজন ভাই অবশেষে সব হারিয়ে একেবারে সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছে। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে সুজন ভাইয়ের জন্য খারাপ লাগল। সত্যি ভাইয়া অতিরিক্ত কৃপণতা করা মোটেও ঠিক নয়। কথায় আছে না কৃপণের ধন পিঁপড়ায় খায়।আর একজন ভালো স্ত্রী কখনো চায় না তার নিজের নামে টাকা রাখতে। আসলে স্বামীর টাকাই তো স্ত্রীর টাকা। যাইহোক কৃপণ লোকের শিক্ষা এমন হওয়ার উচিত।
ঠিক বলেছেন আপু, কৃপণের ধন আসলেই পিঁপড়ায় খায়। যাইহোক পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আমাদের এখানে এমন কয়েকটা বাস্তব ঘটনা আছে। প্রবাসী ভাইদের সাথে এমন হলে খুবই খারাপ লাগে,মানুষের নৈতিকতা দিনদিন তলানীতে চলে যাচ্ছে। ধন্যবাদ গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই এমন ঘটনা বর্তমানে অহরহ ঘটে চলছে। আসলেই এমন ঘটনা গুলো হৃদয়বিদারক। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।