কংক্রিটের জীবন।
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- কংক্রিটের জীবন
- ০৭,ডিসেম্বর ,২০২৪
- শনিবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।মানুষ চাকরি জীবনে ঢুকলে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে এর মধ্য থেকে সময় বের করা অনেক বেশি কষ্টকর। একটা বাধা জীবনের মধ্যে আটকে পড়ে টাইটেলস দেখে হয়তো ভাবতেছেন জীবন আবার কংক্রিটের হয় কিভাবে। হঠাৎ এই নামটা মাথায় আসলো মূলত আমি চাকরি করি সেখানে কংক্রিটেরই কাজকাম। সেজন্যই জীবনটাও কংক্রিটময় হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে উচু উঁচু দালান কোঠা ফাঁকা জায়গাতেও তৈরি হয়ে যাচ্ছে একটু পর একটু উঁচু উচু বিল্ডিং। আর এ বিল্ডিং এর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই নিয়োজিত আছি। তাইতো জীবনটা কেমন যেন কংক্রিটের হয়ে গিয়েছে।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
সকাল শুরু হয় ইট বালি সিমেন্ট পাথর দিয়ে এভাবে চলতে থাকে সারাটা দিন। মাঝেমধ্যে যখন কাজের অনেক বেশি প্রেসার থাকে তখন তো কংক্রিটের মধ্যেই ডুবে থাকি। বিশেষ করে যখন বিল্ডিং এর ছাদ ঢালাই হবে তার আগে থেকে কাজের প্রেসার টা অনেক বেশি হয়ে যায়। আর যেদিন ছাদ ঢালায়ের দিন নির্ধারণ করা হয় সেদিন তো সকাল থেকেই অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। ওরকম একটি দিন পার করলাম এই মাসের ১ তারিখে। সেদিন ছিল আমি যে বিল্ডিং নিয়ে কাজ করছি চতুর্থ তালার ছাদ ঢালাই। সকাল থেকেই অনেক কিছুই ম্যানেজ করতে হয় আমাদের সাধারণত রেডিমিক্স এর গাড়ি এসে ঢালাইয়ের কাজ করে দিয়ে যায় একটু ঝামেলা থাকে। তারপরেও সম্পূর্ণ সময়টা ছাদেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রডের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ কষ্টও লাগে তারপরও কিছু করার নেই কাজের ভুলত্রুটি যাতে না হয় সে জন্যই পর্যবেক্ষণ করতে হয়।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
সকাল ৯ টা থেকে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। সবাই ব্যস্ত নিজের কাজ করতে আমার কাজ হলো সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা। সকাল সকাল এমন ওয়েদার কাজ করতে বেশ ভালই লাগছিল। বেশ শীত পড়ে গিয়েছে এই শীতের সকালে মিষ্টি রোদটা অসম্ভব ভালো লাগছিল। কাজের মুহূর্তগুলো ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। মিষ্টি ওয়েদারের সাথে সুন্দর সুন্দর পেরে অনেক বেশি ভালো লাগছিল।এভাবে চলতে থাকল দুপুর বারোটা পর্যন্ত মোট ১৪৩০ সিএফটি ঢালাই শেষ করে নিচে নেমে আসলাম লাঞ্চ করার জন্য। পাশের প্রজেক্টের ইঞ্জিনারদের দাওয়াত করা হয়েছিল লাঞ্চের জন্য। সবাই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক বেশি মজা লাগে।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
ছাদ ঢালার সময় সব থেকে বড় বিষয় হলো লেভেল চেক করে নেওয়া সঠিক লেভেলে ঢালাই করছে কিনা অর্থাৎ কোথাও উঁচু হয়ে গেল কিনা লক্ষ্য রাখতে হয়। ওই জন্যই ঢালাই এর সময়টা জুড়েই দিতে হয়। আর আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় ভাইব্রেটর ঠিকঠাক মতো মারছে কিনা। সব মিলিয়ে অনেক দিকেই ফোকাস করতে হয়।কারণ বাড়িটা শুধু থাকার জন্য নয় একজন বাড়ি তার এটা একটি স্বপ্ন আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমাদেরকেই করতে হয়। ঢাকা শহরের ফাঁকা জায়গা গুলো আস্তে আস্তে এভাবে উঁচু উঁচু দালানকোঠায় ভরে যাচ্ছে। কিছুদিন পর এগুলো পরিপূর্ণ হয়ে যাবে কংক্রিটের শহরে। আমার যে স্থানে প্রজেক্ট চলে এই এলাকাটা অনেকাংশই ফাঁকা দিন পর দেখা যাবে ও সব বিল্ডিং হয়ে কংক্রিটের এক শহর নির্মিত হয়ে গিয়েছে। আস্তে আস্তে জীবনটাও কংক্রিটের শহরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যাবে। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এমন ইট পাথরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে এবং গড়ে উঠছে বড় বড় দালংকটা। আজকে আপনি ঘর নির্মাণের এমন ইঞ্জিনিয়ারিং কাজে রয়েছেন তাই প্রতিনিয়ত এর সাথে যুদ্ধ করে চলতে হচ্ছে সকলের স্বচক্ষে দেখছেন এবং করছেন। আসলে যে যেই কর্মস্থল থেকে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। তবে ইট পাথরের এই জীবনটা বেশ কঠিন। বড় বড় দালান কোটা তৈরি করা টার ভেতরে রয়েছে অনেক ঝুঁকি। যাইহোক যেখানে যেভাবে থাকবেন সাবধানে থাকবেন।