ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত।
শুভ দুপুর 🌅
আজ ২৭ ই ফেব্রুয়ারী,
রোজ বৃহস্পতিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত মূলক পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
গত ১৩ তারিখে আমার ফুফাতো ভাইয়ের শুভ বিবাহ সম্পূর্ণ হয়, বিয়ে উপলক্ষে আমার ফুফাতো ভাই এক সপ্তাহ আগে থেকে আমাদের পরিবারের সবাইকে দাওয়াত করেছিল। আমি যখন বিশ্ব এজতেমায় ছিলাম তখন আমার ফুফাতো ভাই পাত্রী দেখার জন্য গিয়েছিল। অবশ্য আমাকে ফোন করে আগে থেকে বলেছিল। আমার ফুফাতো ভাই আমার সঙ্গে বন্ধুর মতো সব সময় ডাল হয়ে থাকে। ছোট থেকেই আমার সঙ্গে ময়মনসিংহ শহরে থাকতো। শুধু থাকা বললে ভুল হবে আমি এবং আমার ফুফাতো ভাই ইয়াসিন একসঙ্গে একটি রেস্টুরেন্টে দীর্ঘদিন জব করেছিলাম। এখন বর্তমানে ইয়াসিন ভালো একটি রেস্টুরেন্টে চাকরিরত অবস্থায় আছে। যাইহোক অবশেষে ছুটি নিয়ে আঠারো বাড়ি ইউনিয়ন ঈশ্বরগঞ্জ থানায় বিয়ের দাওয়াতে ফুফার বাসায় উপস্থিত হয়েছিলাম। তবে আমার পরিবার একদিন আগেই চলে গিয়েছিল গায়ে হলুদের জন্য। বিয়েতে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবির অবস্থান :- আঠারো বাড়ি, ঈশ্বরগঞ্জ,ময়মনসিংহ।।
বিয়ের কাজ মোটামুটি ৫০% আগে থেকে সম্পূর্ণ ছিল। মেয়ে পছন্দ এবং কাবিন করা হয়েছিল। এখন শুধু মেয়েকে তুলে আনার পালা। আমি এবং আমার বন্ধু বিপ্লব গিয়েছিলাম বিয়ের একদিন আগে। তবে ছুটির জন্য গায়ে হলুতে যেতে পারিনি তাই আমার অনেক কষ্ট পেয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে সবাই খিচুড়ি নাস্তা করেছিলাম। বাড়ি ভর্তি লোকজন এবং গান-বাজনা নিয়ে হৈচৈ ব্যাপার ছিল। এদিকে ইয়াসিন যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ রেডি। তাই প্রথমেই আমার ফুফাতো ভাই ইয়াসিনের সঙ্গে একটি সেলফি তুলে নিলাম। ইয়াসের বাড়ি থেকে কণের বাড়িতে যেতে প্রায় এক ঘন্টা রাস্তা। যেহেতু হাইস গাড়ি ছিল তাই খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছে আমি এবং আমার চাচাতো ভাইয়েরা সবাই খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমরা দেখতে পেয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়া প্যান্ডেল আগে থেকে খাওয়া-দাওয়া চলছিল।
ছবির অবস্থান :- আঠারো বাড়ি, ঈশ্বরগঞ্জ,ময়মনসিংহ।।
আমি ইয়াসিনের বন্ধুদের সঙ্গে বসে কিছু সময় আড্ডা দিচ্ছিলাম। শুধু তাই নয় সকালের সঙ্গে মত বিনিময় ও অনেক আনন্দ উল্লাস করেছিলাম। ইয়াসিন আমার থেকে প্রায় দুই বছরের ছোট। তাই খুব সহজেই মজার ছলে দুষ্টামি করতে পারি। প্রথম থেকেই আমাদেরকে বসার জন্য মেয়ের গায়ে হলুদের স্টেজে বসার জায়গা করে দিয়েছিল। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর বেশ কিছু সেলফি নিয়েছিলাম আমার ফুফাতো ভাই ইয়াসিন ও তার বন্ধুদের সঙ্গে। কিছুক্ষণ পর খাবারের জন্য ডাক পড়লো চলে গেলেন প্যান্ডেলে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য।
ছবির অবস্থান :- আঠারো বাড়ি, ঈশ্বরগঞ্জ,ময়মনসিংহ।।
খাওয়া দাওয়ার প্যান্ডেলে গিয়ে আমার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে বসে পড়ি একটি টেবিলে। বর্তমান সময়ের বিয়েতে খাওয়া-দাওয়া পর্ব সব সময় থাকে। খাবার খাওয়ার পর্ব সম্পন্ন হলে তারপর কাজি দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। যাইহোক টেবিলে বসে খাবার খাওয়ার আগে আমি আবারও বেশ কিছু সেলফি তুলে নিয়েছিলাম। বিয়েতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ছবি আমার গ্যালারি ফুল হয়ে যায়। বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ছবি তুলতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। কিছুক্ষণ পর টেবিলে খাবার চলে এলো। যথারীতি আমরা সবাই পেট ভরে খেয়ে নিলাম। খাওয়া-দাওয়ার পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর কণের সাজ শয্যা সম্পূর্ণ হলো। এরপর বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়। বিয়ের সম্পন্ন হওয়ার পর হুজুর সকলের জন্য দোয়ায় মাগফেরাত করেন। শেষে মিষ্টি খাওয়ানোর পর ইয়াসিন এবং ইয়াসিন এর বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে আমরা সবাই বাসার দিকে ফিরে আসলাম। অনেকদিন পর এভাবে সম্পূর্ণরূপে আমি বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে পেলাম। সময় সুযোগের কারণে দাওয়াত খেয়ে আমাকে চলে আসতে হয়। যাইহোক আগামীকাল বৌভাত ছিল তাই সবাই বাজারে চলে গিয়েছিলাম কেনাকাটা করার জন্য। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | ভ্রমণ পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত। |
লোকেশন | আঠারো বাড়ি, ঈশ্বরগঞ্জ,ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
X-Promotion