মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ভ্রমণ।

শুভ সকাল 🌅
আজ ১৫ ই জুন,
রোজ রবিবার ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ থেকে।

---

---

_{^{"ছবিটি InShot অ্যাপস দিয়ে তৈরি"।}}

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ভ্রমণ মূলক পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

গত সপ্তাহে গিয়েছিলাম মুক্তাগাছার শিশু পার্কে, সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে ছিলাম। প্রকৃতির মাঝে গাছপালায় ঘেরা এবং মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে মুক্তাগাছার শিশু পার্ক। তবে এই পার্ক অনেকের হয়তো অজানা। তার কারণ ২নং আর্মড ব্যাটেলিয়ন পুলিশের তত্ত্বাবধানে এই পার্ক পরিচালনা করা হয়। তাই অনেকে প্রবেশ করতে চায় না। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত তবে তার জন্য খরচ করতে হয় ১০ টাকা। কেননা এ পার্কে প্রবেশ করার জন্য ১০ টাকা টিকিট কাটতে হয়। আমি মেশিনে কাজ করার জন্য গিয়েছিলাম মুক্তাগাছায়, সে সুযোগে পার্কে ভবন করেছিলাম। ঈদের কিছু দিন পর তাই মোটামুটি লোকজন কম ছিল। তবে যেহেতু আমি পরিচিত তাই আমার জন্য টিকেট লাগেনি। মনোরম পরিবেশে সময় টুকু খুব সুন্দর কেটেছিল। সে অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

_{^{ডিভাইস :- রিয়েলমি সি-৫৫
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।}}

সেখানে গিয়ে অবাক হয়েছিলাম চারপাশের পরিবেশ দেখে। বড় বড় বৃক্ষ গাছ,ও গরম পরিবেশের মাঝে গাছ গুলো ঠান্ডা ছায়া দিচ্ছিল। রাস্তাগুলো খুবই পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ। পুলিশগুলো সব সময় এখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করে রাখে। তাই বহিরাগত মানুষ গুলো এসে এখানে অনেক শান্তি পায়। আমি রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। কিছুক্ষণ হেঁটে যাওয়ার পর পার্কের ছোট একটি গেইট দেখতে পাই। প্রকৃতির মাঝে ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর উঠেছিল। আশাকরি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

_{^{ডিভাইস :- রিয়েলমি সি-৫৫
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।}}

পার্কের ভিতরে প্রবেশ করার পর বিভিন্ন ভাস্কর্য দেখতে পাই। তার মধ্যে ছিল হরিণ, হাতি এবং ছোটদের বিভিন্ন খেলার সামগ্রী। ছোট বাচ্চারা এই খেলা গুলো দিয়ে খেলতে ভীষণ পছন্দ করে। কিন্তু আমার কাছে অবাক করা বিষয় ছিল পুরো পার্ক জুড়ে নিস্তব্ধ পরিবেশ। গাছপালা থাকার কারণে বসে অনেক শান্তি পেয়েছিলাম। অনেকেই ঘুরতে এসেছেন তাদের পরিবার নিয়ে। পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করলে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু বাচ্চার জন্য আবহাওয়া খুবই খারাপ। তাই যেখানে সেখানে ভ্রমণ করতে পারিনা। কেননা ছোট বাচ্চাদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায়। যাইহোক সেখানে বসার মত অনেক সুন্দর জায়গা ছিল, অল্প সময় নিয়ে বসে পড়ি ও কিছু সময় আড্ডা দেওয়ার চেষ্টা করি।

_{^{ডিভাইস :- রিয়েলমি সি-৫৫
ছবির অবস্থান :- মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।}}

কিছুক্ষণ বসে ক্যান্টিন থেকে চা অর্ডার করে খেলাম। সেখানের চা গুলো ছিল খুবই কোয়ালিটি সম্পন্ন। পার্কের ভিতর ক্যান্টিন থাকা খুবই জরুরী। ছোট বাচ্চারা মাঝেমধ্যে অনেক কিছুই খেতে চায়। তাই সব মিলিয়ে পার্কের পরিবেশ আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কিছুক্ষণ পর সামনে দেখতে পেলাম সুন্দর একটি হরিণের ভাস্কর্য। দেখে ভীষণ ভালো লাগে তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। তাছাড়া ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন রাইটগুলোতে অনেক আনন্দ করছে সে চিত্রগুলোর কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ বসে চলে যাই অফিসে। অফিসের কাজ শেষে করে বিভিন্ন সময় হাতে থাকে। তাই বিভিন্ন পরিবেশে সময় কাটাতে পারি। চেষ্টা করি নিজেকে মাঝেমধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশে রাখতে। কারণ বিভিন্ন পরিবেশে গেলে মন মানসিকতা ভালো থাকে। আশাকরি আপনারা সকলেই ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞

বিভাগ	ভ্রমণ পোস্ট।
ডিভাইস	রিয়েলমি সি-৫৫।
বিষয়	মুক্তাগাছা শিশু পার্কে ভ্রমণ।
লোকেশন	মুক্তাগাছা, সদর ময়মনসিংহ।
রাইটার	@nazmul01।

_{Posted using SteemPro}