বাচ্চাদের উৎসাহ দিতে পারাটাও বাবা মায়ের শিক্ষার পরিচয়৷ বাচ্চা দেওয়ালে রঙ করলে দেওয়াল খারাপ হয়। কিন্তু সেই জায়গায় বাচ্চাকে অন্য কোন সারফেসও চেনাতে হয়। এই যেমন ধরুন মেঝেতে করতে পারে। আমরা তো মেঝেতেই লিখে অ আ ক খ শিখেছি। এরকম সব কিছুরই রিপ্লেসমেন্ট হয়৷ সেটাও সুন্দর ভাবে হ্যান্ডল করতে হয়।
আমার মেয়ের(১০ বছর বয়স) এখন ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। গতকাল থেকে সে একটা বড় গল্প খানিকটা নাকি উপন্যাসের মতো হবে লিখতে শুরু করেছে। এখন আমি যদি বকাবকি করি প্রথমত মনটা খারাপ হয়ে যাবে যা পরীক্ষার ওপর এফেক্ট পড়বে আবার ওর লেখার ইচ্ছেটাকেও নষ্ট করে দেওয়া হবে। তাই ওকে আমি বললাম কিছু সময় লিখতে, যতটা প্লট মাথায় এসেছে। দেখলাম এক পাতা লিখল। তারপর বলল আবার পরে ভাবতে হবে। তখন বললাম তবে পরীক্ষার পরে ভেবো, মাথাটা তখন খালি থাকবে ভালো ভালো আইডিয়া আসবে। বিষয়টা বুঝে রাজী হল।
এই ভাবেই বাচ্চাদের নানান রিপ্লেসমেন্ট দিয়ে হ্যান্ডল করাটাও দরকার। আসলে আপু আমাদের কালচার তো একটু আলাদা পাশ্চাত্য দেশের থেকে অনেকটাই। তাই আমাদের মতো করেই ভাবতে হবে, যা আবার শিশুর বিকাশে যেন কোন ভাবেই বাঁধা না হয়।
বেশ ভালো লাগলো ব্যাপারটি জেনে।এতো পুচকে একটা বাচ্চা যে লেখালেখি করছে সেটা শুনেও শান্তি।দোয়া রইলো ওর জন্য।আপনার মতোন করে হয়তো আমিও ভাবতে পারবোনা।