RE: জেনারেল রাইটিংঃনারী দিবস ও বাস্তবতা।
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, সেই উপলক্ষে আপনার মত আমিও কিছু লিখব ভেবেছিলাম তবে লেখা হয়ে ওঠেনি প্রথমত নিজস্ব কিছু ব্যস্ত ছিল আর কোথাও কি আমার মনে হয় নারীদের জন্য আলাদা খরো দিনের প্রয়োজন নেই। সংসার বা সমাজ শিখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পুরুষের যতখানি অবদান থাকে ততখানি একটি নারীরও অবদান তাই উদযাপন হলে আলাদাভাবে করার দরকার আছে বলে আমার মনে হয়না তার থেকে রোজই আমরা সুন্দর মানসিকতা নিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ালে নারীদের প্রতি সম্মান এবং তাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করা দুটোই হবে।
আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। যার প্রতিটা অক্ষরের সাথে এবং শব্দের সাথে ও সহমত পোষণ করছি। আমি নিজে যেহেতু লিখিনি তাই আপনার কমেন্টে দু-একটা কথা না বলে থাকতে পারছি না। যদিও তা আপনার উদ্দেশ্যে নয় জনসাধারণের জন্য।
নারী দিবসে আমি একজন নারী হিসেবে চাইবো প্রতিটা নারীরই প্রথমত নিজেদের পাশে নিজেদের দাঁড়ানো দরকার। বাড়িতে শিক্ষক হিসেবে প্রধান আমরা যাকে দেখতে পাই তিনি হলেন মা, তাই প্রতিটি মায়ের উচিত নিজেদের কন্যা সন্তানের প্রতি দায়-দায়িত্ব বাধা বিপত্তি সমাজের নানার নিয়ম কানুন শেখানোর পাশাপাশি তাদের পুত্র সন্তানকেও সামাজিক করে তোলা যেন ভবিষ্যতে তার পুত্র সন্তানের জন্য অন্য কোন মেয়ে বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে ভয় না পায়। সংসদে সমান সমান কেউ নয় তাই যার যতটা জায়গা তাকে ততখানি দেওয়া দরকার এবং তা সম্মানের সহিত।
ধন্যবাদ আপু আপনি খুব সুন্দর করে আপনার কথাগুলো লিখেছেন। আমার কথাগুলো যদি আপনার খারাপ লেগে থাকে তাহলে আমি দুঃখিত। তাও জানিনা কেন আপনার পোস্ট করে কথাগুলো লিখেই ফেললাম।
নারী-পুরুষের জন্য যদি সমসুযোগ নিশ্চিত হত, তাহলে আমাদের আলাদা করে নারী দিবসের দরকার ছিলনা। কিন্তু আমাদের সমাজ বাস্তবতায় পদে পদে জেন্ডার বৈষম্য আছে। সব পরিবার বা অবিভাবকের দৃষ্টিভঙ্গিও নারী বান্ধব না! আমরা যদি নারী পুরুষের সম সুযোগ নিশ্চিত করতে পারতাম, তাহলে ঘটা করে আলাদা দিবসের আর দরকার হতো না। জেন্ডার সমতাভিত্তিক একটি সমাজ ব্যবস্থা আমাদের জরুরি। তবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি শ্রদ্ধা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।