$PUSS ও আমার অনুভূতি

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী

কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা বেশ ভালোই আছেন। আমিও খুবই ভালো আছি। আপনাদের সবার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।

Onulipi_09_02_05_15_43.jpg

রোজ কিছু না কিছু নতুন নিয়ে আসার চেষ্টা করি কিন্তু আজকে ভাবলাম বর্তমানে আমার বাংলা ব্লগের যে উৎসব চলছে তা নিয়ে দু কথা বলি। উৎসবের নাম $PUSS কয়েন। যেদিনটা প্রথম লঞ্চ হয় সত্যি বলতে কি কিছুই বুঝতে পারিনি। ক্রিপ্টো ওয়ার্ল্ড তো অনেক দূরের কথা ব্লগিং করতে এসেছি এই আমার বাংলা ব্লগে হাত ধরে। এর আগে যাবতীয় লেখার কাজ করতাম সমস্ত সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে এছাড়াও নানান ধরনের পত্রপত্রিকায়। যেখানে লেখার বিনিময় কিছু পাওয়া যায় সে কথা যেন অত্যাশ্চর্য। কোন দেশে কি হয় বলতে পারবো না তবে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে কবিদের কবিতা লিখিয়ে কেউ এক কাপ চাও খাওয়ায় না। তো সেই জায়গা থেকে ব্লগ লিখতে এসে একটা স্যাটিসফেকশন তো আছেই। আসলে নিজের সমস্ত কাজকে গুছিয়ে তুলে ধরার মতো জায়গা এই প্লাটফর্ম আমায় দিয়েছে।

এতদিন জানতাম আমি শুধু লেখা টুকুই লিখতে পারি। আমার দ্বারা বোধহয় আর কিছু হয় না। বিশেষ করে টাকা পয়সা এইসব ব্যাপারগুলো খুবই জটিল লাগতো। টাকা লেনদেন বলতে প্রয়োজন পড়লে আমি সবটাই করি কিন্তু যখন প্রয়োজন হয় না তখন মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় আমি এটিএম কার্ড থেকেও টাকা তুলতে পারি না। টাকা-পয়সার বিষয়ে আমার কোন দিনই খুব একটা যে হুঁশ ছিল সে কথা মনে পড়ে না। আসলে আমার চাহিদাগুলো হয় একেবারে নেই আর নইলে এতই বড় বড় যে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তা সম্ভব হয় না। এই যেমন ধরুন আমি স্বপ্ন দেখি একটা ইকো ফ্রেন্ডলি বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলার। যাদের আশ্রয় নেই তাদের নিরাপদ ঠাঁই দেওয়ার৷ আবার দেখুন ভাবি পৃথিবীর শেষ রাস্তায় গিয়ে একবার দাঁড়িয়ে থাকবো।

পুশ কয়েন যখন এলো সবাই বারবার বলছে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার কথা। আমি ভাবছি এও কি সম্ভব? যেদিন দাদা বললেন সামান্য কিছু কয়েন কিনে রাখাই যায়, সেদিন চোখ বন্ধ করেই কিনে ফেলেছিলাম। অবশ্যই আমি সাধ্যের বাইরে কখনো পা ফেলতে চাইনি সেটা আমার স্বভাবও নয় । কারণ দিনশেষে তে অনেক টাকা হয়, আমি অত টাকা নিয়ে কোথায় যাব? কি করব? সেসব ভাবতে গেলে টেনশনে শেষ থাকবে না। আর এখানে তো সাধ্যের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। সামান্যে কয়েক মাস ব্লগিং করার পর যেটুকু উপার্জন হয়েছিল তার থেকেই আমি কিছু কয়েন কিনেছি।

আর কেনার পর আশ্চর্য রকমের সব অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। টাকার অংকটা যখন দেখছি উড়ে উড়ে বাড়ছে সে এক অদ্ভুত অনুভূতি। ভারতীয় ব্যাংকে চার পার্সেন্ট সুখ দেয়। আর ক্রিপ্ট ওয়ার্ল্ডে এই প্রথম আমি। এবার বুঝতেই পারছেন অনুভূতি ঠিক কেমন হওয়া উচিত! অনেক কথা সব সময় বলে ব্যক্ত করা যায় না এটাও অনেকটা সেরকম হয়ে গেছে।

তবে আমাদের কমিউনিটিতে এই কয়েনটা আসার পর যেন দারুণ একটা উৎসবের আমেজ নিয়ে এসেছে। দিনরাত এক আনন্দের খুশির হাওয়া বইছে। একটু একটু করে পৌষের দাম বেড়ে চলা অনেকটা বাগানে ফোটা ফুলের সংখ্যা বেড়ে চলা। আর পুশ তো যেন চাঁদেই পৌঁছে গেছে৷ পুশ যদি কথা বলতে পারতো তাহলে জিজ্ঞেস করতাম "চাঁদে কেমন লাগছে! এরপর কোথায় যাবে?"

এখানে অনেকেই কয়েন নিয়ে অনেক ব্লগ করেছেন এবং আমাদের কমিউনিটির আড্ডায় যা আলোচনা হয় সব থেকে বুঝি পুশ কয়েনের একটা ভবিষ্যৎ আছে৷ সর্বপরি আমাদের প্রতিষ্ঠাতা দাদা অনেক দূরদর্শী মানুষ৷ উনি যখন ভাবছেন তখন বড় কিছু হবে বলেই আমি আশা করি৷ আর আমার কথা যদি বলি আমি তো সবসময়ই আলো দেখতে পাই। হাজার অন্ধকারের ভেতরেও আমি সব সময় আশাবাদী থাকি। তো সেই জায়গা থেকে আমার সমস্ত পজিটিভ এনার্জি দিয়েই আমি চাই পুশ অনেক বড় হোক৷

$PUSS কে ঘিরে যখন নিজের কথা বলছি একটা কথা না বললেই নয় তা হল আমাদের এডমিন মডারেটর প্যানেল। সিয়াম, নির্মাল্য এরা প্রত্যেকে পাশে না থাকলে আমি কিভাবে সমস্তটা করে উঠতাম জানি না৷ অনেক বেশি পাশে পেয়েছি সিয়াম কে। প্রতিটা মুহুর্ত্র সিয়াম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং উৎসাহও দিয়ে যায়৷ ধন্যবাদ সিয়াম। @al

Sort:  
 last year 

বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর অনুভূতি করে। পুশ আমাদের কমিউনিটির কয়েন কে আপনি চাঁদের দেশে তুলে ফেলেছেন দেখছি। অবশ্য একদিন পুশ কথা বলবে। শুধু হাসি আনন্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ভবিষ্যতে বিশেষ প্রয়োজনীয় পাশে থাকবে এই কয়েন।

 last year 

অবশ্যই থাকবে৷ প্রয়োজনে বা দরকারে পাশে পেলে তখনও কিন্তু মুখে হাসিই আনে৷ তাই না?

 last year 

বেশ সুন্দরভাবে আপনার অনুভুতি লিখেছেন $PUSS নিয়ে। বেশ ভালো লাগলো পড়ে আপনার লিখাটি। আপনার মতো আমারও মনে হতো লিখা লিখি করে ও বিভিন্ন ধরনের আর্ট করেও যে ইনকাম করা যায় তা জানা ছিলো না। এই প্ল্যাটফর্মে এসে জেনেছি। আর $PUSSসে তো চাঁদে পৌছে গেছে বয়স যখ্ন ৫ দিন। আর এখন সে পৌছে যাবে সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে।

 last year 

পুস ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব এইটে আজ বুঝি।

 last year 

পুশ যদি কথা বলতে পারতো তাহলে জিজ্ঞেস করতাম "চাঁদে কেমন লাগছে! এরপর কোথায় যাবে?"

আপনার মতো আমিও পুস কয়েনকে এটাই জিজ্ঞেস করতাম 😂। যাইহোক পুস কয়েন নিয়ে বেশ ভালোই লিখেছেন। আসলে মানুষ চাইলে সবই পারে। আপনি শেষ পর্যন্ত পুস কয়েন কিনেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আমাদের সবার উচিত পুস কয়েন কিনে রাখা। কারণ এটা আমাদের কয়েন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

শেষ পর্যন্ত না ভাই আমি শুরু থেকেই কেনার টার্গেটে ছিলাম। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি কিনেছি আর সেটা শুরুর দিকেই কিনেছি, খুব বেশি দেরি করিনি।

 last year 

আসলেই আমাদের কমিউনিটিতে সবাই খুবই হেল্প করে আর সেটাই সবথেকে ভালো লাগার বিষয়।আপনি পুস কয়েন নিয়ে সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।পড়ে খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ঠিকই বলেছো গ্রীন। কমিউনিটি সবাই সবার পাশে থাকে বলেই আমরা সবকিছু শিখে যাই। তোমার পুস কেনার অভিজ্ঞতা পড়লাম। সত্যি খারাপ লাগছে।

"চাঁদে কেমন লাগছে! এরপর কোথায় যাবে?"

অনেকেই কয়েন নিয়ে অনেক ব্লগ করেছেন এবং আমাদের কমিউনিটির আড্ডায় যা আলোচনা হয় সব থেকে বুঝি

পুশ কয়েনের একটা ভবিষ্যৎ আছে৷