প্রেমের পরিণাম নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
প্রেমের পরিণাম নাটকের রিভিউ। |
---|
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | প্রেমের পরিণাম |
---|---|
পরিচালক | জাকারিয়া সৌখিন |
অভিনয় | মুশফিক আর ফারহান, কেয়া পায়েল সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৯ নভেম্বর ২০২৪ |
প্রথমে নাটকটি শুরু হয়ে যায় এবং এখানে নায়ক একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়৷ সেখানে তারা সবাই মিলে অনেক আনন্দ উদযাপন করতে থাকে৷ একই সাথে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। যেখানে নায়ক নায়িকার সাথে কথাবার্তা বলার চেষ্টা করে। একই সাথে নায়িকাকে তার ভালো লেগে যায়। এভাবেই ধীরে ধীরে তারা একে অপরকে চিনতে থাকে। তাদের সম্পর্কে ধীরে অনেকটাই ভালো হতে থাকে। তারা একে অপরের সাথে কথাবার্তা বলতে থাকে। তাদের এই সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভালোবাসার সম্পর্কে পরিণত হয়ে যায়। কারণ নায়ক এবং নায়িকার বাড়ি আশেপাশেই ছিল। তারা আগে থেকে একে অপরকে চিনতো । তবে তখন তেমন একটা কথাবার্তা হতো না। এখন তাদের এই সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এবং তাদের সম্পর্ক তারা খুব ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ধীরে ধীরে যখন তাদের এই সম্পর্ক খুব ভালোভাবে এগিয়ে যেতে থাকে তখন তারা তাদের এই ভালোবাসার সম্পর্ককে খুব ভালোভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছিল৷ তবে সেখানে যখন একদিন নায়ক নায়িকার সাথে দেখা করতে আসে তখন সেখানে নায়িকার মা সেই বিষয়টি দেখে নেন। পরবর্তীতে একদিন নায়িকার বাবাও এই বিষয়টি দেখে নেন৷ তখন তিনি বলেন যে এরকম কোন ছেলের সাথে তিনি তার মেয়ের সম্পর্ক হতে দিবেন না৷ তিনি অনেক প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি ছিলেন। যার ফলে তিনি কোনভাবেই এমন কোন কাজ করতে দিতেন না যাতে করে তিনি অপমানিত হন। অথবা তার মেয়ে কোনভাবে যেন কোন জায়গায় ঠকে না যায়। তাই নায়ককে তিনি সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কখনোই নায়িকার সাথে দেখা করতে যেন সে না আসে এই কথা তিনি বলে দেন।
তবে নায়ক কোনভাবেই এই বিষয়টি শুনতে রাজি ছিল না। সে নায়িকাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। সবসময়ই লুকিয়ে লুকিয়ে নায়িকার সাথে দেখা করার জন্য আসতো। নায়িকাও তার সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করত। তবে নায়িকা বেশি দিন তার সাথে আর দেখা করতে পারল না। তার অন্য এক জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা শুনে নায়ক তার বাবাকে নিয়ে নায়িকার বাবার কাছে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য আসে। তবে সেই প্রস্তাবসহ নায়িকার বাবা অপমানিত করে সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে দেন৷ এর পরবর্তীতে সেখানে নায়ক নায়িকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে৷ তারা পালিয়েও যায়৷ তবে সেখানে নায়িকাকে খুঁজে না পাওয়ার সাথে সাথেই নায়িকার বাবা বিভিন্ন জায়গায় তাকে খুঁজে বের করেন৷ এরপর নায়ককে মেরে এক জায়গায় ফেলে রেখে দেয়। এরপর নায়িকাকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। এভাবেই নাটক শেষ হয়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুব সুন্দর হয়েছে নাটকটি৷ প্রথমে নাটকের নাম দেখে বুঝতে পেরেছিলাম যে নাটকটি ঠিক এরকমই হবে ৷ প্রথমে নায়ক এবং নায়িকার সম্পর্ক খুব ভালোভাবে সৃষ্টি হয়৷ এই সম্পর্ক যখন ভালোবাসায় পরিণত হয় তখন তাদের এই সম্পর্ক আরো অনেক ভালোভাবে এগিয়ে যেতে থাকে। তবে একটা সময় পর যখন নায়িকার বাবা এই বিষয়টি জানতে পারেন তখন তিনি তাদের সম্পর্কে মেনে নিতে পারে না। যখন নায়কের বাবা তাদের বিয়ের প্রস্তাব দেন তখনও নায়িকার বাবা সেটি ফিরিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত যখন নায়ক তাকে বাসা থেকে পালিয়ে নিয়ে চলে যায় তখন তিনি তাকে মেরে সেখানে ফেলে দেন। আসলে বাস্তব জীবনেও আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই। অনেকেই একে অপরকে ভালোবেসে থাকে। তবে বিভিন্ন কারণবশত সেই ভালোবাসা সম্পর্ক টিকে থাকে না। একই সাথে সেই ভালোবাসার অভাবে অনেকে নিজ থেকে মারা যায় আবার অনেকে মেরে ফেলা হয়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
ওয়াও ভাইয়া আপনি দারুন একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।মুশফিক আর ফারহানের অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রিভিউ করা নাটকটি আমি দেখেছি ভাইয়া। তবে আপনার পোস্টে নাটকটির রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
@tipu curate
নাটক দেখতে ভালই লাগে যদি ওই নাটকটি দেখা হয়নি । তবে রিভিউ পড়ে নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন ভাইয়া। তবে নাটকের কাহিনী পড়ে শেষে মন খারাপ হয়ে গেল। নাটকের শেষে যদি নায়ক-নায়িকা কেউ মারা যায় তখন ভীষণ খারাপ লাগে। বাস্তব জীবনেও এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। একে অপরকে ভালোবেসে না পেয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নাই। এখানে নায়িকার বাবা নায়ক কে মেরে ফেলে। ভালো লাগবে নাটকটি। তবে খারাপও লেগেছে নায়ক মারা যাওয়ার কারণে।