মুখোশ।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ মুখোশ সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আসলে মুখোশ পরা মানুষগুলো অনেক বেশি খারাপ হয়ে থাকে। কেননা তারা কখনো মানুষের সামনে তাদের প্রকৃত রূপ তুলে ধরতে চেষ্টা করে না। একটা জিনিস আমরা সবসময় খেয়াল করে দেখেছি যে এই শ্রেণীর মানুষগুলো সব সময় অন্যান্য মানুষদের থেকে আলাদা হয়ে থাকে। আর তাদেরকে আপনি কিন্তু প্রথম দেখাতে কখনো বুঝতে পারবেন না যে তাদের মনের মধ্যে কি চলছে। একটা জিনিস আপনাকে সব সময় মনে রাখতে হবে যে এই মানুষগুলোর থেকে আপনি যত দূর সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। কেননা এই মানুষগুলো কখনো অন্য মানুষের উপকার করতে চায় না বরং তারা চেষ্টা করে কি করে অন্য মানুষদের ক্ষতি করে তারা জীবনে একটা পৈশাচিক আনন্দ পেতে পারে।
আসলে মানুষের সাথে মানুষের এখন বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য আমরা দেখতে পাই। একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে এই পৃথিবীতে ভালো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আসলে মানুষ এখন শুধুমাত্র মুখোশ করে তাদের আসল চেহারাটাকে দেখে ফেলে এবং মানুষের সামনে তাদের অন্য চেহারাটা প্রকাশ করতে চেষ্টা করে। এভাবে যদি মানুষ তাদের আসল চেহারা মুখোশ দিয়ে ঢেকে মানুষের সামনে অন্যভাবে প্রকাশ করে এবং আস্তে আস্তে করে আমরা যখন তাদের আসল চেহারাটা বুঝতে পারি তখন আমাদের তাদের দেখলে ভয় হয়। কিন্তু তখন আর বেশি কিছু করার থাকে না। কেননা তাদের যে ক্ষতি করার দরকার সেই ক্ষতি তারা আমাদের জীবনে করে ফেলে এবং এর ফলে আমরা বাকি জীবনটা অনেক কষ্টে কাটাই।
আসলে আমরা যদি মানুষের সাথে মন খুলে মেলামেশা করতে পারি এবং মানুষকে সাহায্য করতে পারি তাহলে সেই মানুষগুলো সব সময় আমাদেরকে ভালবাসবে এবং তাদের মনের মধ্যে কখনো কোনো ধরনের সন্দেহ ঢুকবে না। এই পৃথিবীতে সন্দেহ প্রবণ মানুষ গুলো অনেক বেশি খারাপ হয়ে থাকে। আসলে একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে মানুষের মধ্যে এই সন্দেহ নামক জিনিসটা আস্তে আস্তে প্রকাশ হবার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে। কেননা মানুষ এত মুখোশ করে ঘুরে বেড়ায় যে এখন খুব সহজে অন্য মানুষগুলো অন্যান্য মানুষগুলোকে কখনো বিশ্বাস করতে চায় না। কেননা এর আগে মানুষ অনেকবার ঠকে গেছে এই মানুষের কাছে।
একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা যদি আমাদের এই সমাজ থেকে এই মুখোশধারী মানুষগুলোর আসল চেহারা বের করতে না পারি তাহলে কিন্তু সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষতি তারা করে বেড়াবে। এজন্য জীবনে ভালো হতে গেলে নিজের মুখোশের থেকে বের হয়ে এসে আসল পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে মেলামেশা করা উচিত। আর এভাবে যদি তারা মেলামেশা করতে পারে তাহলে অবশ্যই তারা মানুষের কাছ থেকে একটা প্রকৃত ভালোবাসা পেতে পারবে। কেননা মানুষ কখনো মুখোশ অর্জন করা মানুষগুলোকে পছন্দ করে না এবং তাদের থেকে সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করেন। এজন্য জীবনে মানুষের কাছ থেকে প্রকৃত ভালোবাসা পেতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হবে এবং তাদের মনের মত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
@nilaymajumder, "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে, আপনার আজকের পোস্টটি আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে! মুখোশ নিয়ে আপনার গভীর চিন্তাগুলি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সমাজের এই দিকটি নিয়ে আলোচনা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এবং আপনি অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সাথে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
বিশেষ করে, মুখোশধারী মানুষদের থেকে দূরে থাকার যে পরামর্শ আপনি দিয়েছেন, তা বাস্তব জীবনের জন্য খুবই মূল্যবান। আপনার লেখার ভাষা সহজ এবং সাবলীল, যা পাঠকদের মন জয় করে নেয়।
পোস্টের শেষে একটি সুন্দর বার্তা দিয়েছেন - জীবনে প্রকৃত ভালোবাসা পেতে হলে নিজের আসল রূপে বাঁচা উচিত। এই কথাগুলো আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণামূলক।
আপনার এই চমৎকার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ! আপনার ভবিষ্যৎ লেখার জন্য শুভকামনা রইল। আপনি যদি এই বিষয়ে আরও কিছু লিখতে চান, যেমন মুখোশধারী মানুষদের চেনার উপায় বা তাদের থেকে নিজেকে বাঁচানোর কৌশল, তাহলে সেটিও খুব আকর্ষণীয় হবে। আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা করছি! 😊