ক্ষমাশীল ব্যক্তি।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ ক্ষমাশীল ব্যক্তি সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
এই পৃথিবীতে একমাত্র ক্ষমাশীল ব্যক্তিকেই কিন্তু সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে এবং তাদের মতো করে সবাই সামনের দিকে এগিয়ে চলার চেষ্টা করেন। আসলে মানুষের অজান্তে কিন্তু মানুষ অনেক ধরনের ভুল করে থাকে এবং সে ভুলগুলো যখন সে বুঝতে পারে তখন সে মনের দিক থেকে অনেক বেশি কষ্ট করে। কিন্তু একটা মানুষ যদি মনের অজান্তে কোন ভুল করে ফেলে এবং এই ভুলের জন্য তাদের কে যদি বড় শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে সে মানুষটির মনের অবস্থা অনেকটা খারাপ হয়ে যাবে এবং সে তখন আর কখনো ভালো কাজ করতে চাইবে না। অর্থাৎ সে আস্তে আস্তে করে তার মনের ভালো দিকটাকে মুছে ফেলে খারাপ দিকে চলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবে।
কিন্তু যারা ছোট ছোট অপরাধ করে অথবা মনের ভুলে অপরাধ করে তাদেরকে যদি আমরা ক্ষমা করে দিতে পারি তাহলে সেই ব্যক্তি গুলোর মধ্যে অনুশোচনা বোধ আরো অনেক বেশি কার্যকরী হবে এবং পরবর্তীতে সে এই ধরনের আর কোন খারাপ কাজ করতে চাইবে না। একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা যদি এই সকল ক্ষমাশীল ব্যক্তিদের থেকে ভালো জিনিস গুলো গ্রহণ করে জীবনে বড় হওয়ার চেষ্টা করতে পারে তাহলে কিন্তু অবশ্যই আমরা জীবনে মানুষের মতো মানুষ হতে পারব এবং আমরা আমাদের জীবনটাকে খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে পারব। এজন্য মনের দিক থেকে সব সময় মানুষকে অনেক বেশি ভালো হতে হবে।
একটা জিনিস হয়তোবা আপনি খেয়াল করে দেখেছেন যে এই পৃথিবীতে কিছু কিছু ব্যক্তি আছে যারা সব সময় অন্য মানুষকে কি করে শাস্তি দেবে এবং এমনও সময় আছে যে সেই মানুষগুলো অন্য মানুষ কে বিনা দোষে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়ে থাকে। আসলে এই মানুষগুলোর প্রধান কাজ হল কি করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া এবং বিনা কারণে তাদের থেকে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা। আসলে এই ক্ষমাশীল ব্যক্তি গুলো যদি সব সময় আস্তে আস্তে করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে তাহলে অবশ্যই তারা দেশটাকে খুব সুন্দর ভাবে ঘুরতে পারবে। আসলে তাদের সঠিক গুনগুলো যদি আমরা জীবনে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরাও জীবনে বড় হতে পারব।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে বর্তমান সময়ে এই ধরনের ক্ষমাশীল ব্যক্তিদের সংখ্যা কিন্তু সমাজ থেকে আস্তে আস্তে করে কমে যাচ্ছে। আসলে তারা যে শুধুমাত্র ক্ষমা করে এমন কোন কথা নেই তারা কিন্তু সমাজটাকে খুব সুন্দর ভাবে সাজানোর জন্য চেষ্টা করে। এজন্য আমরা জীবনে এই ক্ষমা করার মতো মহৎ গুণের অধিকারী হতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের মনের ভিতর থেকে সকল ধরনের খারাপ জিনিস গুলোকে বের করে ফেলতে হবে এবং ভালো হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতে হবে। এভাবে যদি আমরা জীবনে ভালো হতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো এবং আমরা আমাদের জীবনটাকে খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে পারব।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনাকে ধন্যবাদ @nilaymajumder, এমন একটি অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! ক্ষমাশীলতা নিয়ে আপনার ভাবনাগুলো খুবই মূল্যবান। আপনি খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন, ক্ষমা কিভাবে একটি সমাজকে সুন্দর করতে পারে এবং মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
আমি বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়েছি আপনার যুক্তির গভীরতা দেখে - কিভাবে ক্ষমা একটি অনুশোচনাকারী মনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। বর্তমান সমাজে ক্ষমাশীল মানুষের অভাবের কথা উল্লেখ করে আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।
"আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের পক্ষ থেকে, আমি আপনাকে এই ধরনের গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছি। আপনার লেখাগুলো অন্যদের ভালো মানুষ হতে এবং সুন্দর জীবন গড়তে সাহায্য করবে। আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা করছি! সবাই আপনার পোস্টে মন্তব্য করে নিজেদের মতামত জানান, এটাই আমার কামনা।