আমাদের বাড়ির কিছু ফল ও সবজির ফটোগ্রাফি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে ফল এবং সবজির ফটোগ্রাফি গুলি শেয়ার করতে চলেছি সেই ফল সবজি কোনটাই সযত্নে চাষ করা নয়। আমাদের বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় অবহেলাতে বিভিন্ন গাছ জন্ম নিয়ে থাকে এবং সে কাজগুলো অনেক সুন্দর ফলনও দিয়ে থাকে। যদিও পরবর্তীতে আমরা সেই ফল বা সবজিগুলি খুবই আনন্দের সাথে খেয়ে থাকি। বিভিন্ন কাজের চাপের মধ্যে থাকার জন্য খুব একটা শাকসবজি বা ফলের গাছ লাগানো হয়ে ওঠে না। আর সত্যি কথা বলতে সেই সব গাছের যত্ন করাও হয়ে ওঠে না সেই জন্য তেমন গাছপালা নিজের হাতে লাগাই না তবে অবহেলাতেই অনেক জায়গায় অনেক সময় বীজ ফেলে রেখে দিই যে, হলে হবে আর না হলে না হবে এই চিন্তা ভাবনায়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সুন্দর গাছ জন্ম নেয় এবং ফলনও ভালো দেয়। তেমনি আজকে কিছু ফল এবং সবজির ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যার পেছনে আমার কোন অবদান নেই এমনকি কারোরই কোন অবদান নেই বা যত্ন নেই। প্রকৃতির যত্নে গাছগুলো নিজে থেকেই বেড়ে উঠেছে এবং ফলন দিয়েছে। তবে চলুন আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিই সেই সবজি এবং ফলের ফটোগ্রাফি গুলি।
ফটোগ্রাফি-১
প্রথম যে ফটোগ্রাফিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি হল একটি সজনে গাছের ফটোগ্রাফি। আসলে সজনে গাছটি এতটাই লম্বা যে নিচ থেকে ফটোগ্রাফি করা যাচ্ছিল না, আর ভালো করে সজনে গুলোকে বোঝাও যাচ্ছিল না। তাই আমি আমার ঘরের জানালা থেকে এই ফটোগ্রাফিটি ধারণ করেছি যাতে মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে যে গাছে সজনে হয়ে ঝুলে ঝুলে রয়েছে। তবে এটি একটি সুন্দর দৃশ্য কারণ সজনে গাছের উপরে আবার একটি পাখি সুন্দর করে বসে আছে এবং আমি যে সময় ফটোগ্রাফিটি করছিলাম সেই সময়ে সজনে গাছের একদম মাথার ওপরে পাখিটি বসে অনেক বেশি ডাকাডাকি করছিল। সুন্দর একটি মনোরম দৃশ্য দেখে মন জুড়িয়ে গেল। সজনে খাওয়া আসলে অনেক উপকার এমনকি সজনে পাতাতেও অনেক উপকার থাকে বিভিন্নভাবে রান্না করে সজনের পাতাও খাওয়া যায়। এই সজনে গাছটি প্রথমবার লাগানোর পর থেকে কখনোই তার দিকে ফিরে তাকানো হয়নি। তবে গাছটি সুন্দরভাবে বেঁচে আমাদের বহুবার ফলন দিয়েছে।
ফটোগ্রাফি-২
উপরে যে গাছটির ফটোগ্রাফি দেখা যাচ্ছে এটি হলো রয়েল ফল গাছ। এই রয়েল ফল গাছ আমাদের বাড়িতে দুটো রয়েছে। নার্সারি থেকে কিছু গাছ কিনতে গেছিলাম যখন আমাদের এই বাড়িটি প্রথম তৈরি করা হচ্ছিল। নার্সারি থেকে অন্যান্য গাছ কেনার সময় এই রয়েল ফলের দুটি গাছ দেখতে পেয়েছিলাম তখন কিনে এনে শুধুমাত্র মাটিতে লাগিয়েই রাখা হয়েছিল গাছটি । পরবর্তীতে কোনরকমই যত্ন করা হয়নি। যেহেতু আমাদের জমিটি ছিল একটি পুকুর তাই মাটি অনেক বেশি ভেজা থাকার কারণে গাছে জল দেওয়ার প্রয়োজন হতো না। মোটামুটি বলা যায় রয়েল ফল গাছটি অযত্নেই বেড়ে উঠেছে কারণ না তাকে কোন সার দেওয়া হয়েছে না অন্য কিছু গাছটি লাগানোর পরে যেন গাছটির কথা সবাই ভুলেই গেছিল। দীর্ঘ ৭ বছর পর এই রয়েল ফল গাছে ফলন দিয়েছে বর্তমান বছরে অর্থাৎ ২০২৫ সালে। কিন্তু এই রয়েল ফল গাছ প্রথম ফলন দেওয়ার পর থেকে ফলন দিয়েই যাচ্ছে। মনে হয় ১২ মাসের এই রয়েল ফল গাছটি।
ফটোগ্রাফি-৩
এটি হলো কিছু টমেটোর ফটোগ্রাফি। এই টমেটোর ফটোগ্রাফি যেখানে করা হয়েছে সেই জায়গাটা হল আমাদের বাড়ির পেছনের বাগান। তবে এই জায়গাটাতে রান্নার সময় যেসব তরকারি কাটাকুটি করা হয় সেগুলোর খোসা এই জায়গাটিতেই কিছু ফ্যামিলি ফেলে থাকে। ওই তরকারির খোসার মধ্যে হয়তো টমেটো কখনো কেউ ফেলেছে যার থেকে এই টমেটো গাছগুলি জন্ম নিয়েছে। এই জায়গাটিতে প্রায়ই এমন টমেটো গাছ হতে দেখা যায় কারণ প্রায় মানুষই টমেটো খুব খেয়ে থাকে এবং জানলা থেকে এই জায়গাটিতে টমেটোর খোসা বা টমেটোর ভেতরের যে রস সহ বীজ থাকে সেইটা ফেলে থাকে যার ফলে গাছ জন্মায়। আর একদমই যত্ন ছাড়া এই গাছগুলি বড় হয় এবং এই গাছগুলি থেকেও অনেক সুন্দর টমেটো হয়ে থাকে।
ফটোগ্রাফি-৪
উপরে যে কলার ঝাড়ের ফটোগ্রাফি দেখা যাচ্ছে এটিও খুবই অযত্নে একটি কলা গাছ থেকে ঝাড়ে পরিণত হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কিভাবে যে এখানে কলা গাছ জন্ম নিল এবং তার থেকে একটা বড় ঝাড়ে পরিণত হল আমরা নিজেরাও জানিনা। কারণ এখানে কোন কলা গাছ ছিল না। তবে যখন গাছ জন্ম নিয়েছে তখন আমরা কেউ কাটিনি এবং কলা গাছটিকে তার মতো বড় হতে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে একটি গাছ থেকে আরেকটি গাছ আরেকটি গাছ থেকে আরেকটি গাছ করে করে বড় একটি ঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এবং এই ঝাড় থেকে প্রায় আমরা কলার কাঁদি পেয়ে যাই। বর্তমানেও তিন কাঁদি কলা হয়েছে যা হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যে পেকে যাবে এবং একটিতে মোচা সবে ছাড়াচ্ছে। বিষাক্ত সার এবং কার্বাইড ছাড়া একদম পুষ্ট আর স্বাস্থ্যসম্মত কলা আমরা এই কলার ঝাড় থেকে মাঝেমধ্যেই পেয়ে যাই।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
কলা গাছের খুব একটা যত্ন নিতে হয় না। গাছের পাকা কলা খেতে খুবই ভালো লাগে। ফল ও সবজির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
https://x.com/PussFi_FNDN/status/1955283828165013568
https://x.com/pussmemecoin/status/1955287992198893776?s=46&t=nHPwcg_swfA_HF8Tq9ebSw
https://x.com/pussmemecoin/status/1955288982495039839?s=46&t=nHPwcg_swfA_HF8Tq9ebSw
আপনাদের বাড়ির কিছু ফল ও সবজির ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ যেভাবে আপনি এখানে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তা দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ এখানে আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ খুবই চমৎকার ভাবে বর্ণনার সাথে আপনি আজকে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷